সমন্বয়হীনতা, পরিকল্পনাহীনতা এবং অপরিনামদর্শীতার ধারাবাহিক চর্চার স্বর্ণযুগ বর্তমান তত্ত্বাবদগায়ক কাল, সাংবিধানিক বৈধতা নেই তবুও তারা বাৎসরিক বাজেট প্রণয়ন করবেন, রাজনৈতিক এবং ছদ্ম রাজনৈতিক শাসনামলে বাজেট আলোচনার সূচনা হতো অর্থমন্ত্রীর বাগাড়ম্বরে, এবার সংসদে বাজেটালোচনা থাকছে না তবে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পেশ করবেন গণমাধ্যমের সামনে, খাতওয়ারী বরাদ্দকৃত ব্যায় এবং এসব ব্যায়ের লক্ষ্য জানাবেন সবাইকে, এরপর ১৪ই জুন পর্যন্ত বাজেট আলোচনা চলবে- এ বাজেটের একটা প্রতিলিপি পাওয়া যাবে ওয়েব সাইটে-
পরামর্শ, সংশোধনি প্রস্তাব কিংবা বাজেট বিষয়ে নানাবিধ বক্তব্য প্রদানের সুযোগ থাকলেও পরামর্শ মেনে নেওয়া কিংবা না মেনে নেওয়ার স্বাধীনতা তাদের উপরেই থাকছে- গাঁয়ে মানে
আমাদের শ্রমিকের সংখ্যা যতই হোক না কেনো তারা অধিকাংশই যে পরিমাণ পারিশ্রমিক পায় তাতে তাদের কোনোমতে বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর। শ্রমশোষিত হওয়া এবং সরকারের বিমাতাসুলভ মনোভাবের কারণে যখন দেশের শিল্পায়নের পরিমাণ কমছে- এবং যেহেতু সরকার কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে না তাই চালু কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- প্রাকৃতিক উৎসে শ্রম দিয়ে জীবনধারণ করা মানুষের জন্য দুর্ভোগ হয়ে এসেছে প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্ষীণধারা হয়ে যাওয়ার বিষয়টা-
এ সময়ে উদ্যোক্তাদের ভেতরের ঐক্য একটা বিষয় নিশ্চিত করেছে- তারা সবাই শ্রমশোষণের নিমিত্তে একটা কৃত্রিম নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে- শ্্রমবাজারে এখনও নারী পুরুষ বৈষম্য আছে- শিশু নারী বৈষম্য আছে- এসব মিলিয়ে আমাদের হঠাৎ করেই একটা মানবিক মজুরি আন
নিজেদের নীচতায়, নিজেদের হিংস্রতায় বিষন্ন বিমুঢ় নির্বাক হয়ে যাই সময় সময়, কখনও নির্মম আক্রোশ অনুভব করি।কখনও নৃশংস অমানবিক বর্বর আচরণ করতে ইচ্ছা করে।
গুয়ানতামো বেতে বন্দী নির্যাতন হচ্ছে এইসব বন্দী নির্যাতনের বিষয়ে পড়তে গিয়ে বন্দী অপরাধী ও রাষ্ট্র বিরোধীদের নির্যাতনের অতীত বর্তমান নিয়ে পড়েছিলাম মাঝে বেশ কয়েক দিন। আফ্রিকার আদিবাসীরা যুদ্ধবন্দীদের ধরে কেটে খেয়ে ফেলে- তবে এর পেছনেও একটা কুসংস্কার ভিত্তিক ব্যাখ্যা আছে-
মধ্যযুগে ইউরোপের বন্দী ও রাষ্ট্র দ্রোহীদের নির্যাতনের যান্ত্রিক কৌশল কিংবা সভ্যতায় অগ্রসর- অবধারিত ভাবে অসভ্য বর্বরতায় অগ্রসর চীনের অনুসৃত বন্দীদের নির্যাতন কৌশলের বর্ণনা পড়ে হতবাক, শিউরে উঠেছি।
আধুনিক যুগে বন্দী আর অপরাধীদের উ
আজ মহান মে দিবস, সারাদিন শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা বিষয়ে নানাবিধ বক্তব্য আসবে, সেমিনার হবে- সভা হবে- আমাদের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষের ভীড়ে নগন্য কয়েকজন শ্রমিকের মুখপত্র আসবেন তাদের কথা বলবেন, আমাদের মধ্যবিত্ত কবলিত শাসন ব্যাবস্থা থেকে তাদের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
এই রীতিটা এত বেশী প্রতিষ্ঠিত যে এর অকার্যকরতা এবং উন্নাসিকতা বিষয়ে সবাই অবগত। আজও তেমনটাই হয়েছে- এর ভেতরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্য রেখেছেন- লক্ষ্য অবশ্য গার্মেন্টস কর্মীরা- বুঝলাম আমাদের পোশাক শিল্পে অধিকাংশ শ্রমিকই নারী- এটা নারী অধিকারেরও বক্তব্য হতে পারে তবে আমাদের উন্নয়নভিত্তিক পেশাজীবি সমিতি যারা বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের দরিদ্র অবস্থাকে পুঁজি কর
আমাদের সততা আর সদগুনের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে যিশুর জন্মেরও কয়েকশত বছর আগে যখন আলেকজান্ডার আসলো সিন্ধু উপকূলে- সে সময়ের ঐতিহাসিক বিবরণীতে লিপিবদ্ধ আছে এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সৎ এবং সবাই স্বাধীন-
আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় এটা- আমরা সবাই স্বাধীন ছিলাম- কাউকে কোনোদিন দাসবৃত্তিতে বাধ্য করি নি- আমাদের পৌরাণিক গাঁথায় আর্যগ্রহন হওয়ার আগে আমাদের গাঁথাগুলো কেমন ছিলো- সাঁওতালী মানুষের বিশ্বাসের মতো? নাকি চাকমা আদিবাসীর বিশ্বাসের মতো- ওদের পৌরাণিক গাঁথাগুলো- ওদের সরল বিশ্বাস কিংবা ওদের সততা এখনও অক্ষুন্ন, যদিও দারিদ্র ওদের পিছু ছাড়ে নি এরপরও এইসব আদিবাসী মানুষের সারল্য আর সততার ঐতিহাসিক বাস্তবতা মিথ্যে হয়ে যায় নি-
পৈরাণিক যুগে যখন আর্যরা ক্ষমতা
সব মানুষের সমান অধিকারের কথা ইশ্বর নির্মাণকারী কোনো ধর্মই বলে নি, নিরীশ্বর নৈতিকতাই সব সাম্যতার বোধের জন্ম দিয়েছে- নিরীশ্বর নৈতিকতাই সকল মানুষের সাম্যের কথা বলেছে- মানুষের অপরিমিত সম্ভবনার কথা বলেছে, বলেছে মানুষের জন্মগত যোগ্যতা আছে- এসব নীতির পেছনে কোনো শিখন্ডী ইশ্বর ছিলো না।
ইশ্বরপ্রধান ধর্মে মানুষের বর্ণাশ্রম প্রকারান্তরে মেনে নেওয়া হয়, কেউ কেউ বেশী যোগ্য হয়েই জন্ম নেয়, কেউ কেউ ক্ষীণযোগ্য হয়ে জন্ম নিবে- এটাই ইশ্বরের অভিপ্রায়= তিনি এভাবেই মানুষের পরীক্ষা নেন- এ অসমতা আসলে মানুষের ইশ্বরপ্রণততার পরীক্ষার নিমিত্তেই তৈরি করা হয়েছে। এমন একটা অর্থনৈতিক- যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক অসমতাও মেনে নেওয়া হয় ইশ্বর প্রধান ধর্মে- এই মৌলিক নীতি ধর্মে প্রোথি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর সামরিক খবরদারি সমালোচিত হওয়ার পর যেভাবে সুশীল সমাজের দ্বারা নির্ধারিত নিষ্কলুষ বৃদ্ধ শিশু উপদেষ্টারা "তোমার সঙ্গে আড়ি আমার যাওÓ মনোভাব দেখাচ্ছেন তাতে কাষ্ঠ হাসি হাসতে পারি, তবে কোbI ভাবেই আমোদিত হতে পারছি না। তাদের শিï বলছি কারণ তারা নিজেদের কর্মকান্ডের পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ, সেটা ইচ্ছাকৃত সামরিক শক্তির আস্ফালন হতে পারে কিংবা তাদের নির্বুদ্ধিতার স্মারক হতে পারে। তবে তাদের এই কাদায় পড়া ভঙ্গি আর ন্যুজ্ব মেরুদন্ড দেখে আমি বিরক্ত।
আত্ম সম্মান বোধ নামক চেতনাটা তাদের নেই। এই চেতনার সাথে অবশ্য সুশীল সমাজ পরিচিত না। মতাধরদের পদলেহন করতে করতে তাদের জিহ্বা মসৃন। সেখানে বিবেচনাহীন উক্তি জমে থাকে, মানসিক বিকলাঙ্গদের মতো অবো
বিজ্ঞ মানুষেরা বলেছেন জরুরী অবস্থা চলাকালে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে, ২ বার সংশোধন করে যে জরুরী বিধিমালা প্রচলিত হলো বাংলাদেশে সেখানে ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে মৌলিক অধিকার বলতে আমার যে ধারণা বাংলাদেশের সংবিধানে সে ধারণার অস্তিত্ব নেই। জনকল্যানমুখী রাষ্ট্র ধারণার গলদ কিংবা অন্য কোনো দায় থাকতে পারে এর পেছনে- তবে বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার প্রসঙ্গে আমার চোখে যা পড়েছে সেখানে মানুষের
বাক স্বাধীনতা- সমাবেশ, রাজনৈতিক দলগঠন, নিজস্ব মতাদর্শে বিশ্বাস ও তা প্রচারের স্বাধীনতা আছে- এমন কি বাংলাদেশের সংবিধান বিদ্যুতকেও বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বলেছে- তবে সকল নাগরিককে উপার্জনক্ষম করে তোলার কোনো মৌলিক নির্দেশনা নেই সং