বিজয় কি ভাবে আসলো এটা বিবেচ্য নয়, জয়ী হওয়াটাই সবকিছু, এমন ভাবনা সঙ্গত নয় এখন, বিজয়ের লক্ষে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে ভাববার কারণ বিদ্যমান এখন। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এমনটাই মনে হচ্ছে আমার।
বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা দিয়ে সেটাকে নিয়ন্ত্রনের অপচেষ্টা করেছিলো সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গতকালের হাইকোর্টের আদেশে সে নাগপাশ থেকে মুক্ত হলো বিচার বিভাগ।
জরুরী অবস্থার সময়সীমার শেষ পর্যায়ে এসে সব লেজে গোবরে করে ফেলেছে সরকার, তবে এত কিছুর পরও ব্য মইনুল হোসেনের হাসি অমলিন। নির্লজ্জ বেহায়া আইন উপদেষ্টা গত কাল সরকারের রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি এখনও জলপাই মামাদের তালে তাল মিলিয়ে যাচ্ছেন।
যৌথ বাহিনীর হাতে আটক রা
ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে যৌথ বাহিনী বেশ কিছু সাজানো মামলা করেছে- ভিত্তিহীন মামলাগুলোর পেছনে কোন অসুয়া ক্রিয়ারত ছিলো তা এখনও স্পষ্ট না।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা উঠেছে- তাকে সৈদি আরব কিংবা দুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হবে- খালেদা জিয়া শর্ত দিয়েছেন তিনি পরিবার পরিজনসহ নির্বাসন নিবেন-
তবে যোগাযোগ উপদেষ্টাকে এইসব প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন- বললেন এমন কোনো প্রস্তাব আসে নি বিবেচনার জন্য-
তিনি বলেছেন " সরকার কোনো চাপ দিচ্ছে না" তাদের নির্বাসনে পাঠানোর বিষয়টা আলোচিত হয় নি কোনো সভায়-
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হচ্ছে- এ জন্য সরকারের কোনো উস্কানি নেই এমন একটা অভয় দেওয়ার চেষ্টা থাকলেও আদতে তার বলার ভঙ্গিতে তেমন আত্মবিশ্বাস নেই-
তবে
পুরোনো একটা কৌতুক মনে পড়লো,
একটি ছবি চলছে , একজন দর্শক প্রতিদিন প্রতিটা শো দেখছে। টিকিট চেকার পঞ্চম দিনে এক শো শেষ হওয়ার পর পরের শো এর টিকেট হাতে প্রবেশের সময় সেই লোককে জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা ভাই বলেন দেখি এই রদ্দি মার্কা ছবি আপনি এতবার দেখছেন কেনো? কি আছে এই ছবিতে?
লোকটা মাথা চুলকে কিছুক্ষণ পর বললো আসলেই ছবিতে দেখার কিছু নাই কিন্তু হাফ টাইমের আগে একটা সুন্দরী মেয়ে গোসল করতে নামে- কাপড় খোলার সময় একটা ট্রেন চলে আসে-
আমি প্রতিদিন আশায় আশায় থাকি একদিন তো ট্রেনটা লেট করবে-
আমরা আসলেই আশাবাদী হয়ে উঠার প্রবল প্রচেষ্টা করছি। যদিও প্রতিটা রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই এর পরও আমরা প্রতিটা রাজনৈতিক পরিবর্তনে আশায় বুক বাধি-
অমঙ্গল আশংকা সত্য প্রমাণিত হলে বিহ্বল লাগে। সামরিক বাহিনী নিতান্ত বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক সংস্কার করছে, গভীর খনন চলছে, আগামি 18 মাস নির্বাচনের কোনো সম্ভবনা নেই।
মতার আনন্দ এমনই। সাখাওয়াত সাহেব খুব নিশ্চয়তা দিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন তার অনেক অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উর্দিবাজ সাখাওয়াত বলেছিলেন ছবিসহ ভোটার তালিকা তিনি প্রযুক্তির কল্যানে 90 দিনের ভেতরেই করে দিতে পারবেন। তার বিস্তারিত পরিকল্পনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ না দিয়ে বলি যখন সবাই ভোটার তালিকা ভূমিষ্ট হওয়ার সময়কাল নির্ধারণ করছিলো 12 মাস, 10 মাস, যখন কেউ কেউ এটাকে অপচয় বলছিলো তখন তার এই বানী- স্বল্প সময়ে স্বল্প মূল্যে ছবিসহ ভোটার তাল
বিকৃত ঐশী গ্রন্থ তাওরাত বা ওলড টেস্টামেন্ট হিসাবে পরিচিত মুসার বানী সংকলিত হয়েছিলো তার মৃতু্যর হাজার বছর পরে।
সেখানে একটা তথ্য আছে- মুসাকে কিংবা মুসার আত্মাকে তৈরি করার পর ইশ্বর বিশ্ব তৈরিতে আগ্রহী হলেন। তার আত্মা বয়েসে মহাবিশ্বের চেয়ে বড়। তার উপর ইশ্বরের অনুগ্রহ এবং তার সাম্ভাব্য পূর্বপুরুষদের নিয়ে বিশাল মাপের সংকলনটা যেহেতু হাজার বছর পরে করা হয়েছে তাই সেখানে আসল কথাবার্তা নেই। এটা বিকৃত হয়েছে সেজন্যই। সেই একই কারণে নিউ টেস্টামেন্ট গ্রহন যোগ্য না। ওটা আবার কতিপয় ইশা সাহাবাদের রচিত জীবনিগ্রন্থ।
এ কারণেই কোরান মহান। এটা অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সমস্যা অনেকগুলো আছে। সুমেরীয় আর ব্যাবীলনীয় সভ্যতার গালগপ্পের সাথে এই সব গ্রন্থের বর্ণনার মি
মানুষের বিশ্বাস অচেতন প্রক্রিয়া। সেখানে যুক্তিবাদিতা নেই, অনেক সময় কোনো লিখিত ভিত্তি নেই। উৎসের নির্দেশ না করে যেকোনো বক্তব্য দেওয়াটা যখন কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য আচরণ না তখন আমার ভেতরে একটাই প্রশ্ন জাগলো- এই যে আমাদের নশ্বর, ববর্র মানুষের জন্য যুগে যুগে প্রতিটা জাতিকে পথপ্রদর্শক পাঠানো হলো- কিংবা কোরানের একটা আয়াতে বলা আছে- সবার জন্য সকল জাতির জন্য পথপ্রদর্শক পাঠানো হয় নি- তাদের সম্মিলিত সংখ্যা 1 লাখ 24 হাজার কিংবা মতান্তরে 2 লাখ 24 হাজার- এই সংখ্যাটা কিভাবে আসলো? এর ভিত্তি আসলে কোথায়?
অনেক জায়গায় বলা আছে আমরা অসংখ্য নবী রসুল পাঠিয়েছি এবং অচেতন মানুষ সব সময়ই তাদের মিথ্যাবাদী বলেছে, অবিশ্বাস করেছে- অস্বীকার করেছে- সেই নবীদের তালিকায় ইব্রাহি
" নিখিল ভারত মুসলীম লীগের এই অধিবেশনের বিশেষ সুচিন্তিত অভিমট এই যে, নিম্ন লিখিত মৌলিক নীতির ভিত্তিতে রচিত না হলে কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা এ দেশে চালু করা সম্ভব নয় বা তা মুসলিম জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না। যথা প্রয়োজন মতো আঞ্চলিক পুনর্বিন্যাসের ভিত্তিতে ভৌগলিক বিচারে সনি্নহিত এলাকাগুলো নিয়ে এমন অঞ্চল গঠন করতে হবে যেনো সেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ট যেমন ভারতের উত্তর পশ্চিম ও উত্তর পুর্বাঞ্চল, সেখানে তাদের নিয়ে এমন " স্বাধীন রাষ্ট্রসমুহ" গঠন করা যায় যার অংশগুলো হবে স্বায়ত্ব শাসনের অধিকারী ও সার্বভৌম-----" এই ছিলো লাহোর প্রস্তাবের প্রস্টাবনা, এবং এর পরে আছে
" এই মৌলিক নীতিসমুহের ভিত্তিতে একটি শাসনতন্ত্রের পরিকল্পনা রচনা করার জন্য এই
জগতের সব প্রানীই নিজের বুদ্ধিতে জীবনযাপণ করে তবে কতিপয় নির্বোধের কপালে বুদ্ধিজীবির তকমা জোটে। বিষয়টা অনেক আগে থেকেই মনে হতো তবে ইদানিং আরও হতাশ লাগে। আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি বিষয়ে এত নিচু ধারণা পোষণ করেন তারা মানে আমাদের বর্তমান সামরিক সরকারের তত্ত্বাবধানে চলা ফখরুদ্দিন সরকার আমার নিজের জন্য করুণা হয়।
রাব একটা নির্দিষ্ট ফর্মা তৈরি করে নিয়েছে, তারা নিয়মিত মানুষকে ক্রস ফায়ারের নামে হত্যা করে এবং সাথে সাথে একটা প্রেস রিলিজ আসে, ওত পেঁতে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়, সেখানে কখনও কখনও কয়েক রাউন্ড গুলিও পাওয়া যায়, পাওয়া যায় কিছু বন্দুক কিংবা পাইপ গান। তবে হাত পা বাঁধা সন্ত্রাসী কালা ফারুক, ধলা মিলন ওরা এটই নির্বোধ যে সেই অবস্থায় গাড়ী থেকে লাফিয়ে
আমাদের আসলে কেমন আচরণ করা উচিত এটা বুঝতে পারি না। গত রাতে চ্যানেল ওয়ানে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাাৎকার প্রচারিত হলো। তিনি পেশায় মুড়ি বিক্রেতা, তার আবাসস্থল ভেঙে যাওয়ার পর দয়াবান একজন তার দোকানে পাশে একটা ছাপড়া তুলে তাকে থাকতে দিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে ্মন বিষয়ের উপস্থাপনা যেমন হয় ঠিক তেমনই বিষয়টা, স্মৃতিসৌধের সামনে তার অশ্রু ভরা চোখ আর পেছনে হায়দারের 30 বছর গানটা চলছে-
তবে প্রশ্নটা হলো আমাদের আসলে কি করা উচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করা গ্রামের কিংবা শহরের দরিদ্র মানুষগুলো এখনও দরিদ্র, তাদের অর্থনৈতিক কোনো উন্নয়ন ঘটে নি। এটা বাস্তব সত্য, এর সাথে এটাও বাস্তব সত্য যে তারা কোনো রকম পারিশ্রমিক দাবি করেন নি। তাদের বিবেচনায় মনে হয়েছিলো
বিভিন্ন সময়ে এমন ভাবে বিষ্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছে, এমন কি সাহিত্যেও বিষয়টা এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যেনো মুক্তিযুদ্ধ একটা হৈ হৈ রৈ রৈ বিষয়।হঠাৎ একদিন 26 শে মার্চ সকালে কেউ বলে গেলো তোমরা স্বাধীন। গনহত্যা হলো সারা রাত, বর্বরতায় মেরুদন্ড কুঁচকে যাবে ভয়ে এমন প্রত্যাশার রাত শেষে বেতারে ইয়াহিয়ার ভাষণ। মুজবিকে রাষ্ট্রোদ্রোহী ঘোষণা, আওয়ামীলিগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা।
ইতিহাসের সরল নির্মাণে আমরা নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেই মুক্তিযোদ্ধা মানেই ধোয়া তুলসি পাতা পুতপবিত্র মানুষ না, পাকিস্তানপন্থি মানেই ববর্র নীচ চরিত্রের মানুষ। বিষয়গুলো কোনো যুদ্ধেই এমন না। মানুষের মানবিকতার সবটুকু যুদ্ধ নষ্ট করে দিতে পারে না। তবে সরল নির্মাণের ফলেই হয়তো ম