রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমেরিকা গেলেন। প্রথম। ১৯১২ সালে। লন্ডনে উইলিয়াম রোদেনস্টেইনের হাতে ইংরেজি গীতাঞ্জলির পাণ্ডুলিপি রেখে আমেরিকার দিকে পা বাড়িয়েছিলেন। পা ফেলার আগে লন্ডনে তার অল্পবিস্তর আলোকসঞ্চারী খ্যাতি অর্জন হয়েছিলো। তিনি সেখানে থাকতে থাকতেই তো ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিলো গীতাঞ্জলির ইন্ডিয়া সোসাইটি সংস্করণ প্রকাশের ব্যবস্থা। তা বেরুনোর আগেই পৌঁছে গেলেন আমেরিকায়। নভেম্...
কোনো মহাদেশে এখনো জানা যায় নাই মনের ক্ষমতা আছে কি-না
টাকার মতো মর্মন্তুদ। মানুষ নির্দ্বিধায় মাছি-মশা মারে। আর বলে
হাতির দাম মরা হলেও লাখ টাকা। সব মহাদেশের মানুষে মানুষে
টাকার দাম বিষয়ে মনোমতে মিল আছে।
আর মানুষ সভ্য হয়ে যাওয়ার পরে বনের পশুপাখির মরণের খবরেরও
তার কাছে দাম আছে। বনে কেউ মারা গেলে খবর হইতেছে। মানুষের চাকরি
চলে যাচ্ছে বনে কেউ মরার দায়ে। মরা প্রাণীর কারণে মানুষ হার...
ফুলের গন্ধ
উপহার দেয় ভাই-বোন-ছেলে-মেয়ে
আর প্রেয়সীকে।
বলে- নাও রজনীগন্ধার ফুলগন্ধ
তারপর বয়সে
মনে পড়তেছে রবীন্দ্রনাথ
না কোন লেখায় না কোন মুখবার্তায়
কোথাও বলে নাই ‘শরীর, শরীর’
তবু কোন স্যাকরা একলা
নিছিলো তালিম, জানছিলো তোমাকে তীব্র
শুষে ছিবড়ে নেয়া শিল্পের অন্তিম
তবু ফুলের রজনীগন্ধ
উপহার দেয়া ভালো-
বলে গেলো ব্যবসা
আর গোপন ঈপ্সা॥
[right]মন্দাক্রান্তা নাম্বার আমি ফেলে আসছি ভুল জঙ্গলে। নতুন নতুন
আইডেন্টিটি কার্ড আর পায়ের ছাপে ঢেকে গেছে জঙ্গলের রাস্তা
পরিষ্কার হয়ে গেছে। পথে কোনো দূরত্ব নেই ওই রাস্তায়।
যেখানে গ্রামের শেষ হয়নি সেখানেও অচেনা মোটর সাইকেলে চ’ড়ে
নতুন আসা জঙ্গল ঘোরে বরাভয়। পুরনো প্রতিবেশিরা চ’লে গেছে
প্রত্যেকের নিজস্ব জঙ্গলে
যার যার নাম্বারের খোঁজে।
সেখানে আবার সবার দেখা হলো একা একা
জঙ্গল...
নিউ ইয়র্ক টাইমসে রবীন্দ্রনাথ :: নোবেল থেকে মরণ (প্রথম অংশ)
নিউ ইয়র্ক টাইমসে রবীন্দ্রনাথ :: নোবেল থেকে মরণ (দ্বিতীয় অংশ)
================================
৬
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎকার/সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন ছাপায় ব্যস্ত ছিলো নিউ ইয়র্ক টাইমস। তবে কোনো সাক্ষাৎকারই কবিতাকে ঘিরে বা ভিত্তি করে নয়। ২৭ জুন ছাপ হওয়া খবরে রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ইওরোপের ...
বিকালে লেকের পানিতে
তোমরা বিনোদন নিতে
কালো-কালো পানিতে নৌকা
চলতেছে পায়ের প্যাডেলে!
পুকুরে-পানি না দেখার দুঃখ
ভুলে যাবে তোমাদের বাচ্চা
ভাববে পানি মাত্রই এমন কালো
যাতে মুখ দেখা যায় না
তবু তো বিনোদন হবে
বাচ্চা পানি দেখবে
৩
১৯৪১ সালের আট আগস্ট রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে দুটি লেখা ছাপা হয়েছিলো নিউ ইয়র্ক টাইমসে। একটি হলো খবর যে রবীন্দ্রনাথ মারা গেছেন। অন্যটি সম্পাদকীয়।
খবরটার শিরোনাম ধীমান পাঠকের জন্য আগ্রহোদ্দীপক : TAGORE DIES AT 80; NOTED INDIAN POET. ১৯৪১-এ এসে রবীন্দ্রনাথকে আর হিন্দু কবি বলা হচ্ছে না। তবে তাকে কবিও বলা হচ্ছে না কিন্তু। পত্রিকাটির ভাষায় তিনি ‘উল্লেখযোগ্য ভারতীয় কবি’। এবং শিরোনামটি লক্ষ...
==============================
এই লেখায় সংযুক্ত রবীন্দ্রনাথের ছবিটা ছাপা হয় শিকাগো
ডেইলি ট্রিবিউনে, ১৯১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে।
একটা নেতিবাচক খবর ছাপতে গিয়ে এই ছবিটা ছাপা হয়।
সেই গল্প আজকের এই প্রকাশিত লেখাংশটুকুতে নাই।
==============================
আমেরিকা তখনো আমেরিকাই। আমেরিকানরা তখনো আমেরিকানই। সাধারণ আমেরিকানরা কেমন তা যেমন আমরা এখন জানি না, তখনো জানা যায়নি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক আমেরিকা তখনো এখন...
আমেরিকান পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটা মহা-উদ্বেগজনক (!) খবর বেরিয়েছে গতকাল। আমি দেখতে পাই পত্রিকাটির ওয়েব-সংস্করণ (তবে এখানে ছাপা সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠাটা দিয়ে দিলাম)। সেইখানে প্রধান/প্রথম খবরটিই সেই খবর।
খবরে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। (!) নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই প্রতিবেদনের একটা বাংলা রূপ ছেপেছে দৈনিক সমকাল। সেটা পড়া যাবে [url=http...
এই পোস্টে কেউ আহত হবেন না অনুগ্রহ করে
=======================
সচলায়তন নিয়ে ভাবনাটা বেশ কিছুদিন ধরে মনের মধ্যে ঘুরতেছে : সচলায়তন কি একটা
সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতেছে? কিন্তু এইখানে তো
রাজনীতি-সমাজ নিয়েও লেখেন অনেকে। তাহলে এই ভাবনা কেনো?
সাহিত্যধর্মী লেখার আধিক্যের কারণে? সম্ভবত।
এরই মধ্যে গতকাল রাতে (৩০ জুলাই) দেখি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে
একটি প...