জানে, নগরী এখনো, ওঠে
নাই স্বপ্ন ছেড়ে।
সুন্দরের আস্বাদ
চকচকে চোখে খেলছে, নগরের
মুখে। গত্যন্ত হাসি লেগে রয়
মেকি অন্তরের
সুস্পষ্ট শীতে। তাকে কি আর পায়
মিথ্যের এ-শহরদ্বীপ?
এইখানে নম্র প্রার্থনার বিলয়
ঘটায়েছে মাত্র
কবছরের শীত; নিজে আগে
ছোঁয় সফলতার ভিত
তাতে সুনিশ্চিত কোমলের মৃত্যু?
কীইবা আসে যায়?
এ শহর, কঠিন বড়ো, মায়াময় রূপ
চারপাশে শুধুই
দৌড়ের টান। কী আর
করা বলো, বাঁচাই তো ব...
এই কবিতাটা লিখলাম দিনতিনেক আগে।
সাধারণত একটা কবিতা লিখে অন্তত মাস ছয়েক না গেলে
তা পড়তে দিই না কাউকেই। এদিকে সচলায়তনে পোস্ট
দেয়া হয় না বেশ অনেকদিন। ইচ্ছা হলো কবিতাটা
দিই এখানে।
======================================
মঙ্গল
অনেকগুলো ইচ্ছা অপ্রকাশ্য থেকে যাক
যেমন সত্য আমাদের মরণ।-
মঙ্গলের আকাঙ্ক্ষায়
এই ইচ্ছাও হোক না বিশ্বাসের যোগ্য;
তোমাদের ভুল বুঝে যে-অবিশ্বাসের পথে
ডানা মেলে চলতেছি কাল
...
রাতের রজনীগন্ধা
আসলে এক সিনেমার নাম
ওই সিনেমা দেখতে
ভালো লাগতেছিলো তোমার
বিকেলের বাতাস তার
কোনো ভূমিকা রাখে নাই তাতে?
রিকশায় যেতে-যেতে
ভয় লাগতেছে এখন
এই রিকশায় চড়া-
পড়ে যাবো নাকি রাতের রজনীগন্ধা?
এ-জীবন কে
চাইছিলো মানুষের মতো
রাতের রজনীগন্ধা সামান্য
একটা সিনেমা মাত্র
আমারও আর
পাওয়া হলো না তোমায়-
আহা ভাতের যোগাড়যন্ত
শিশু হে, তোমাকে সামনে পেলে
এ-দুর্দিনে মানুষের মন
নির্ভার হয় একটু
ভাত-মাথার ছাদ
সব অস্বস্তি ভুলে
নির্দোষ ফ্যান্টাসাইজার
হয়ে উঠতে পারে
ছেলেধরার সাজে সে,
তোমাকে পার করে
চেনা সব ফেরিঘাট
তোমার সঙ্গে যাচ্ছে ব'লে
আসলে সে নিজে
লুকায়ে পড়তেছে
এই আজকের
সমস্ত দুর্দিন থেকে
শিশু হে,
তোমাকে সামনে পেলে
আরো ফ্যান্টাসি হতে পারে
দুঃখী এ-মানুষগুলির
বেঁচে যাওয়ার কৌশলে
দক্ষ লোকের খেলা ফুটবল। মন যেদিকে চায়
ঠেলে নিতে হবে পায়ে। মনের কথা মন
নিজেই শোনে না, তায় আবার পা
হাতে হলে সহজ যেমন মুঠভরা টাকায় পাকস্থলীর সান্ত্বনা
আসলে বল-কন্ট্রোলই সব, শক্ত হলে সাক্ষী ছাড়াই সহজ
আটকানো যায় সব বিপদ
পদে-পদে ছড়ানো সম্পর্ক-জালে
প্রিয় মানুষ গোল খেলেও আনন্দ তো হয় প্রতিপক্ষ-গ্যালারি
রেফারি পক্ষপাত করতে পারে যদি সে দর্শক এই খেলার
কিন্তু জন্মেই তুমি হেরেছিলে টস
সৌ...
কবিতাগুলির ভাষান্তরিত পাণ্ডুলিপিটি নিজের সঙ্গে বেশ ক’দিন বয়ে বেড়িয়েছিলেন উইলিয়াম বাটলার ইয়েট্স্। ট্রেনে-বাসে-রেস্টুরেন্টে ব’সে পড়েছেন দিনের পর দিন। আর সামনে অপরিচিত কোনো মানুষ পড়লেই লুকিয়ে ফেলেছেন সযতনে। তিনি চাইছিলেন না যে কেউ টের পাক ওই কবিতাগুলি তাকে কী অসম্ভব নাড়া দিচ্ছে। কবিতাগুলি কেনো তাকে এতোটা আলোড়িত করছিলো তার একটা কারণও অবশ্য খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি : সারা জীবন ধ’...
অপুর সঙ্গে আমার পরিচয় বছর আটেক আগে। আজ সেই অপুর জন্মদিন ফিরে এসেছে। সত্যিকথা বলা ভালো : ফেসবুক- যে-জিনিসটি আমি পছন্দ করি না!- না থাকলে আমি জানতাম না আজ অপুর জন্মদিন। এতো ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও আমরা কেউ কারো জন্মদিন জানার কথা মনে করিনি কখনো।
সিলেটের একটা নতুন দৈনিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম। পরিচয় তারও আগে থেকে। পত্রিকাটিতে কাজ করার সময় থেকেই প্রবল সখ্যের শুর...
লুকাস মারান্ডি। ১৯২২ সালের ৪ঠা আগস্ট দিনাজপুরের বেনিদুয়ার গ্রামের মধ্যপাড়ায় তার জন্ম। তার বাবা মাথিয়াস মারান্ডি ও মা মারীয়া কিস্কু। দুই ভাইয়ের মধ্যে লুকাস ছিলেন বড়ো। ছোটো ভাই পিতর ১৯৫২ সালে যক্ষ্মায় মারা যান।
জাতিতে লুকাস ছিলেন সাঁওতাল। তার বাবা ছিলেন তার গোত্রের হেডম্যান। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী বাবার মৃত্যুর পর তিনিই হেডম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার কথা। গোত্রপ্র...
কবিতা স্বতস্ফূর্তভাবে আসে। কবিতা স্বতস্ফূর্তভাবে লিখি।
ওপরের কথাগুলি অনেক কবির কাছ থেকেই আমরা শুনেছি। আমাদের মতো তরুণ কবিতাপ্রয়াসীরাও তো বলে থাকি এমন কথা।
কিন্তু 'স্বতস্ফূর্ত কবিতা' মানে কী?
কবিতায় স্বতস্ফূর্ততার ভূমিকাই বা কী?
ভাবছি বিষয়টা নিয়ে। কেউ কি ভাবনা বিনিময় করে সাহায্য করবেন?
ও আবহাওয়া, পূর্বাভাসে কেনো এই কথা বলা হয় নাই!
পানিতে থাকলে পানি দ্যাখা যায়-
জলদস্যূর ঘরে কোনো সীমানা নাই-
সে রবিনসন ক্রুসোর মতোন;
একলা বটে, ওইরকম বুদ্ধি আর কোথায় পায়?
পানির ভেতর ডাকাত পড়ছে
বঙ্গোপসাগরে চুরি যাওয়া শেষ ট্রলারে আমি
আর আমার জাল
বন্ধুরা শ্রদ্ধার গালিতে লিখে ফেলতেছে সব কথা
বোকা জলদস্যুরা না-বুঝেই আমাকে দিছে পানিশাস্তি
আমি ভিজে যাচ্ছি
কিন্তু আমার জাহাজ কই!
জাহাজ ...