যখনকার ঘটনা বলছি তখন আমার বয়েস সাতাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্সটা শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছি। কলাবাগানের মোড়ে এখন যে বড় মার্কেটটা উঠেছে তার সামনেই অফিস। অফিস মানে একটা কাঠের চেয়ার আর একটা টেবিল। নতুন চাকুরি জীবন। একটা উত্তেজনা কাজ করত সবসময়। মাসের শুরুতে মাইনে নিয়ে নাকের সামনে ধরতে অন্যরকম একটা আনন্দ হতো। যদিও বাবার অনুপস্থিতি এবং পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ার কারণে ম...
ছেলেটার মন বড় নরম। কাউকে না বলতে পারে না। তাই মাঝে মধ্যে রুমে উঁকি দিলে দেখা যায়- মনিটরে কয়েক পদের মেসেঞ্জার চালু রয়েছে আর লাল নীল বাতি জ্বলছে তো জ্বলছেই। কাঁধের একপাশ দিয়ে কায়দা করে ধরে রাখা মোবাইলটা তার কাজ করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে যখন ইচ্ছে হয় তখন নোটপ্যাডে কয়েকটা লাইন লিখে ফ্যালে- আর কিভাবে যেন সেই লাইনগুলা ছন্দে বাঁধা পড়ে যায়।
আজ সেই ছেলেটার জন্মদিন! ছন্দ যার হাতে যেন না চাইলে...
রাজ্যের নাম সুখময়ীতাল। দেয়ালে বাঁধানো ছবির দিকে চট করে একবার তাকিয়ে বুঝে নেয়া যায়- বাঁধানো ছবির মানুষটি ক্যামেরাতে সত্যিকারের সুখী মুখ নিয়ে তাকিয়েছে কিনা। সুখময়ীতাল রাজ্যের পানে একবার চেয়ে দেখলেই বুঝা যায়- রাজ্যের নামটি কত সত্যি! চারদিকে শুধু সুখ আর সুখ! সেই সুখকে ঘিরে সুর আর তালেরা খেলা করে।
সকাল বেলা ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে পাঠশালায় যাবার বেলায় যে ছন্দের শুরু - বি...
কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা চৌদ্দ বছর বয়েসে নারী হতো।
শেফু নামের মেয়েটা-
তেরো'র শেষ দিনেও রান্নাবাটি খেলায় ডালে লবণ কম দিয়েছিল বলে
আমরা যার কোঁকড়ানো চুলকে কাকের বাসা বলতাম।
মুন্নি- অলকা- শাহেদা-
যাদের পুতুলের ঘর ধ্বংস করে দিয়ে হাসানুল নদীতে ঝাঁপ দিত- বলতো-
পারলে আমারে ধর দিখি নি।
চৌদ্দ বছরের প্রথম দিন তারা আর এলো না।
আমরা তখনো পুরুষ হইনি-
তাই ঠিক ঠিক দলবেঁধে চলে যেতাম শেফুর জা...
- বুঝলি! আমাদের সময় তো ফেসবুক ছিল না। আমরা ফটো দেখতাম পাতা উলটে। একটা ছবি তুলতে গেলেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হতো। সে জন্যই বোধহয় একেকটা ছবি অমূল্য ছিল। এরকম পাতা উলটোতে গিয়েই তো তোর মাকে আমার খুঁজে পাওয়া। গল্পটা শুনবি নাকি?
সামনে একটা ওজন কিংবা ভর মাপার যন্ত্র। পেছনে একটা মানুষ। রাস্তার ঠিক এক কোণায়।
আমরা ডাকি ওজন আলী ভাই। পাড়াতুতো বন্ধু অয়ন খুব চেষ্টা করেছিল অন্য নামটি প্রচলন করতে। ওজন আলী না। এটা হবে ভর আলী।
আরে ব্যাটা, ওজন হতে হইলে তো মেশিনের সবগুলা সংখ্যারে নয় দশমিক আট দিয়ে গুণ করতে হবে- আর একক বলতে হবে নিউটন। এতদিন সায়েন্স পড়ে কী লাভটা...
ভর আলী অবশ্য খ্যাতি পেল না। তাই ওজন আলীই রয়ে গেল। বিড়ি টা...
১৯৯৮।
টাইটানিক নামের একটা ইংরেজি সিনেমার নাম খুব শোনা যাচ্ছে তখন। বিল্লাহ বলত এই ছবিতে নাকি অনেক ''সীন'' আছে। ''সীন'' বোঝার অবস্থা তখনো আমার হয় নি। ছবিতে মাঝে মধ্যে নায়ক নায়িকার হাত ধরাও আমার কাছে কম্পিউটারের কারসাজি! হাত ধরাই অনেক কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু হলেই মাথা আপনা আপনি নিচু হয়ে যেত। কখনো কখনো দেখেও ফেলতাম। রাস্তার পাশে স্টুডিওতে কোন হিন্দী নায়িকার উদার কোন ছবিতে মাঝে মধ্যে চ...
এক.
ভালোই হলো ঘোড়াশাল ট্যুর। সকালে ক্লাসে বসে ঘুমালাম- সন্ধ্যায় রাস্তায় শর্টপিচ ক্রিকেট খেলা হলো- রাতে সিনেমা হলে গেলাম ছবি ভক্ষণ করতে আর এক টাকা বোর্ডে থ্রি কার্ড খেললাম সারারাত। সুখ যেন উথলায়ে পড়লো এই ছয়দিন।
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশাল এলাকা জুড়ে। মেইন গেট থেকে আমাদের ক্লাসরুমের রিকশা ভাড়া পঁচিশ টাকা - এমনই তার দৈর্ঘ্য। প্রথম দিন যাওয়ার সময় অবশ্য একটু বুকটা খালি খালি ল...
- আন্টি। আমি একটু ওদিকে যাই। দেখা হবে আবার...
- কী আশ্চর্য! আমাকে আন্টি ডাকছেন কেন?
বুদ্ধিমতী-পর্যবেক্ষিকা- রূপবতী খ্...
সবুজ রাজ্যের রাজা বড়ই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। সমস্যা সদ্যজাত রাজকন্যাকে নিয়ে। রাজকন্যা অতিশয় রূপবতী। এমন রূপবতী যে রাজকন্যার জন্মের সময়ে চাঁদের আলো কি...