মকদ্দস আলম উদাসীর কথা প্রথম কোথায় শুনেছিলাম সেটা অনেক চেষ্টার পরও স্মরণ করতে পারলাম না। তবে বিস্তারিত জানতে পারি কবি মোস্তাক আহমাদ দীনের কাছে। ততদিনে মোস্তাক আহমাদ দীন ও শুভেন্দু ইমামের সম্পাদনায় লোকচিহ্ন থেকে বের হওয়া উদাসীর পরার জমিন বইখানিও আমার হস্তগত হয়েছে। পেপারব্যাকে ছাপানো ৩২ পৃষ্ঠার এই বইখানির শুরুতেই ভূমিকা হিসেবে কবি মোস্তাক আহমাদ দীনের একটি গদ্য ছাপা হয় মকদ্...
ব্যাক্তিগতভাবে অনেক কৃতজ্ঞ এই মানুষটার কাছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এটা সেটা নিয়ে বিরক্ত করেছি এবং করছি। তাতে বিন্দুমাত্র বিরক্ত হতে দেখিনি কখনো। মানুষের সমস্যাকে তিনি বরাবরই নিজের সমস্যা ভাবতে পছন্দ করেন।
মুস্তাফিজ ভাইয়ের জন্মদিনে আজকে উনার নিকেতনের বাসায় বিশাল আয়োজন হয়েছে খানাপিনার। চাইলেই আজকের সচলাড্ডাটা উনার বাসায় হয়ে যেতে পারে।
কারা যাচ্ছি সেই আড্ডাতে চলুন এক...
পর্ব-১
শোনা যায় যান্ত্রিক সভ্যতা যত এগোয় সভ্য মানুষ তত কৃত্রিম হতে থাকে। তার মুখে এঁটে বসে যায় এক মুখোশ শিষ্টতার, সৌজন্যের। পরে অনেক চেষ্টা করলেও তার সত্যিকারের মুখশ্রী আর দেখা যায় না, সে নিজেও এমনকি দেখতে পায় না। বলা হয় গাঁয়ের মানুষ নাকি অন্যরকম। সভ্যতার কৃত্রিমতার আঁচ যদিও তাদের গায়ে লাগছে একটু আধটু, তবু তারা সরল প্রাণবন্ত আতিথ্যপ্রবণ।
এ সম্পর্কে অবশ্য আমার অভিজ্ঞতা মিশ্র...
হাত ধরার নামে তুমি ছুঁয়ে দিচ্ছ বিষাদ, ফলে
তেতে উঠছে ক্রোধ--অদৃশ্য কাটা দাগ
ভোর হবার আগেই লিখে ফেলছো
কুয়াশামাখা পাখিদের গান; আর
তাদের ফেলে যাওয়া পালক থেকে
তুমি তুলে নিচ্ছ ভয়--গতিপ্রবাহ
আকাশযাপনের নামে আজ যদি কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
ভুল করে ঢুকে পড়ে গোটানো জামার ফাঁকে
কিংবা আজ যদি গতিপ্রবাহের নামে
কিছু পাখি ঝরে যায়
তার পতনরীতি তোমায় কতটুকু ভাবাবে--
সন্ধ্যাভাষা বুঝে ভালো পাখি--পাখির নিকট তাই বার্তাবাহী মেঘেদের ভীড়--
পাঠ নিতে গিয়ে বুঝে ফেলি কীসব অদ্ভূত শলাকায় বাঁধা পড়ে আছে আমাদের প্রত্যাবর্তন। তাতে রহস্য ঘনীভূত হলে আমার বারবার মনে পড়ছে অচেনা পাখিটির ছুটাছুটি এবং তার ভেতর থেকে উঠে আসা ক্রুদ্ধ চিৎকার
আজ লুকিয়ে রেখেছি ভয়--চোখে কৌতুহল। আমার চোখের উপর ধাই ধাই নেচে বেড়াচ্ছে অচেনা পাখিটির মৃতদেহ
আমাকে নিয়ে গেল ভোর--রাত্রিযাপনে
পথে কিছু মেঘখণ্ড পড়ে আছে ফাঁকা--নিমিলিত
তুলে নিতে গিয়ে তাতে ঢুকে গেল হাওয়া
হাওয়াদের কথা তাই বারবার ফিরে-ফিরে আসে
এইসব হাওয়া ভারবাহী
রেখা হতে কিছুটা তফাতে ছুটে গেলে
তাতে নির্জনতা ঘনীভূত হতে থাকে--ফলে
কামবোধ আরও তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে ভোর
আর চোখের সামনে তাই বারবার বদলে যাচ্ছে
কাম ও ক্রোধের মহিমা
কোনো কোনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি অন্ধকারের ফাঁকে ফাঁকে জ্বলে-ওঠা আগুনের দিকে ছুটে যাচ্ছি আমি,
আমাকে তাড়া করছে শীতরাত্রি, আমাকে তাড়া করছে মৃত্যুভয়
আর দেখি শরীরে আগুন নিয়ে তুমি ছুটে আসছো আমার দিকে...
এ কি কোনো বিভ্রম নাকি বিস্ময়চিহ্ন !
কে কাকে চমকাচ্ছে আজ,
কে কাকে মুগ্ধ করছে অবিরত
দীর্ঘ আলাপচারিতার পর
কে বেশী অন্ধকার নিয়ে ফিরে যায়
তোমার চুল ভর্তি লুকানো কথার ছুরি--স্পর্শ...
ভেবেছি মোহনা থেকে ফিরে আসা দ্বিধাগ্রস্থ মেঘ ঠেলে নিয়ে যাবো অন্য কোনো মোহনার দিকে
ছেঁড়া চিঠির মতো সেইসব এলোমেলো মেঘ--শিমুল তুলোর মতো সেইসব সাদাকালো মেঘ স্কুলফেরত বালিকাদের সোনালী চুল ছুঁয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে দূরগামী জাহাজের মতো নতুন মোহনার দিকে
শুধু পথ ভুল করা কিছু বোকা আলু-থালু মেঘ মাথা হেট করে ফিরে আসে বারবার
আজ অকারণে ছুঁয়ে যাচ্ছে ভয়--রাত্রিজ্বর
আমি তাতে বিবর্ণ ঘাসেদের প্রকারে ছড়িয়ে দিচ্ছি অবসাদ
ফলে ক্লোজশট--দীর্ঘরাত্রি
তাতে খলবল করে উঠে আসছে নিদ্রাভয়-ঋতুপ্রবাহ
বর্ষাযাপনের নামে আমি তাই বার-বার ছুঁয়ে ফেলছি জল
না ছুঁয়ে দিলে জল কি তবে বরফের মতই স্থির--নির্বোধ!
শুক্রবার সারাদিন কি করা, এই বিষয়ক চিন্তাভাবনা আমাকে পুরো সপ্তাহ তাড়িয়ে বেড়ায়। অনেক প্ল্যান করি। মোবাইলে নোটস লিখে রাখি। কিন্তু এর কোনোটাই শেষ পর্যন্ত করা হয় না একমাত্র ঘুম ছাড়া। বুকসেলফটা মাথার কাছাকাছি। হাত বাড়ালেই যাতে বই নাগাল পাওয়া যায় এই উদ্দেশ্যে।আজকে বই ঘাটতে গিয়ে একটা কবিতার বই হঠাৎ করে চোখে পড়লো। বইটা অনেকদিন ধরেই খোঁজছিলাম। না পেয়ে ভেবেছিলাম কেউ নিয়ে আর ফেরত দেয়নি হয়তো বরাবরের মতো।