জুন ২৩, ২০১৩।
সবুজ সাগরের তীরে ছোট্ট শহরটি ঝিমিয়ে আছে। চারদিক গরমে পুড়ছে। আর আমি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে। সাথে দুই মেয়ে--একটা স্ট্রলারে বসে আরেকটা তাকে ঠেলছে। আমার কাঁধে একটা বড় ঝোলা, আর গলায় একটা অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়ে পাখি সহ অনেক কিছু শিকার করা যায়। আজকাল ছবি তোলার কথা বলতেও ভয় লাগে, পাছে বানর খেতাব পেয়ে যাই।
অনেক দিন লেখা হয়না। কারণটা মূলত সময়াভাব। তার উপর আমি যেসব বিষয় নিয়ে লিখি তার জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ। শতশত মৃত্যু, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আবারো মৃত্যু, পিটিয়ে হত্যা, গুলি করে হত্যা, আগুন দিয়ে হত্যা ইত্যাকার ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম-ট্রেম মানুষ খুব একটা পছন্দ করে না। তার উপর আমি দিনকে দিন মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। এত মৃত্যু আর হতাহতের ছবি কিংবা খবর সবই সযতনে এড়িয়ে চলি। নিজেকে ফাঁ
এই যাত্রায় আমিও আমার ক্ষুদ্র সম্বল নিয়ে যোগ দিলাম। মূল উদ্দেশ্য অংশগ্রহণকারীদের আরো উৎসাহিত করা। #shahbag হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করুন। এ আগুন ছড়িয়ে যাক সবখানে। নীচের ছবি দুটি প্রতিদিন আপডেট করবো আশা করি।
সর্বশেষ আপডেট: বাংলাদেশ সময় রবিবার ফেব্রু ১০ ২০১৩ রাত ১০:৩০।
আমেরিকা-আমেরিকা-আমেরিকা। আমার এবং আমার চারপাশের অনেকের জীবনেই আমেরিকা এমন একটা স্থান দখল করে নিয়ে আছে যার প্রভাব উপেক্ষা করা যায়না। একবার এক বন্ধু বলছিল দেশে থাকতেও আমরা ভারতের দিকে মুখ করে থাকতাম, আর বিদেশে (কানাডায়) এসেও সেই একই অবস্থা; ভারতের বদলে কেবল আমেরিকা। বন্ধুটি সম্ভবত দূরদর্শন থেকে শুরু করে কোরবানীর ভারতীয় গরুর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কেবল সময়ের স্কেলে-- নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর জন্য অনেকেই এখানে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। চার লিটার দুধ এপারে সাড়ে পাঁচ ডলার আর ওপারে আড়াই ডলার। অবিশ্বাস্য, কিন্তু সত্যি। তাই বন্ধুটি প্রায়ই দুধ আর গ্রোসারি থেকে শুরু করে বাক্স-বাক্স চিকেন কিনে আনে আমেরিকা থেকে। ওখানে সবকিছুই নাকি সস্তা।
মেসেজটা গেল কিনা বুঝলাম না।
অনেক সময় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও অনেকে দেখেনা। অনেক আবার দেখতেও চায় না। অনেকে দেখে ; দেখে শুনে কাজের সময় কর উল্টোটা।
হিমুর পর্যটন শিল্পে বেলুন নিয়ে লেখাটা চুরি করে পোস্ট করেছিলাম। সাথে ছিল কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে প্রকাশ করা একটি ছবি। লেখাটির নীচে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম "নেট"-এর কথা। এই নেট এত সাধারণ একটা সূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে যে পত্রিকা এবং ব্লগে প্রায়ই দেখা যায় এই "নেট"-সূত্রের ব্যবহার।
অনেকদিন ধরেই লিখব লিখব করেও লেখা হয়না। এবার ঠিক করলাম লিখেই ফেলি।
এক দশক আগে বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ট্রেকিঙের সূত্রে বহু দুর্গম ও নয়নাভিরাম জায়গা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, কিন্তু সেসব অভিযান যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিলো। ট্রেকিং বা হাইকিং বাংলাদেশে এখন মোটামুটি জনপ্রিয় হলেও পর্যটনের একটা ক্ষীণ ধারা হিসেবেই রয়ে গেছে। সিংহভাগ মানুষই চায় বেড়াতে গিয়ে কিছু আয়েশ করতে। বারো কেজি ব্যাকপ্যাক নিয়ে টানা ২১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে ৬০-৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ টপকে কোথাও যাওয়ার মতো তেল বেশিরভাগ পর্যটকেরই থাকে না। তবে এ কারণেই হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গা এখনও ছবির মতোই সুন্দর রয়ে গেছে। কারণ বাঙালি পর্যটকরা কোথাও গেলে সেই জায়গাটা যথেচ্ছ নোংরা করে দিয়ে আসে।
"কত টাকা হলে চলে?"-- প্রশ্নটা কি অবান্তর?
কারো কাছে হয়তো অবান্তর, কারো কাছে নয়। জীবন ধারণ করতে কত টাকা দরকার তার কোন সঠিক উত্তর সম্ভবত দেয়া সম্ভব নয়। টাকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কোন এক সময় পণ্যদ্রব্য বিনিময়ের মাধ্যমেই জীবন-জীবিকা চালানো সম্ভব হলেও এখন কুলোটা দিয়ে মুলোটা নেয়ার দিন শেষ। বিনিময় এখন কাগজের নোটে। চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে ক-টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে।
২০০৩ সনে টিম হর্টনের মিডিয়াম এককাপ কফি খেয়েছিলাম ১ ডলার দিয়ে। কয়েকজনে কী একটা কাজ শেষ করে সেখানে ঢুকি। সদ্য বাংলাদেশে থেকে এসেছি। দল বেঁধে খাওয়ার দোকানে ঢুকলে বিল একজনই দেবে তেমনটাই ভেবেছিলাম। অবাক হওয়ার পালা যখন সবাইকে আলাদা আলাদা বিল দিতে দেখি।
সে সব দিন এখনও স্মৃতিতে উজ্ব্বল। মনে হয় গত বছরের কথা।
আজকের নেদারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের খেলা যে দিবারাত্রির নয় সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম। সাড়ে এগারাটার দিকে যখন একটা হালকা ঘুম দিয়ে শেষ রাতে ওঠার চিন্তা করছিলাম, ঠিক তখনই টিভির স্ক্রীনের নীচের কোনায় দেখাচ্ছে নেদারল্যান্ড ১/০ ১.২ ওভার। আ-হা, খেলা তো দিনের বেলায়!
সন্ধ্যায় ৪ ঘন্টা ঘুমিয়ে রাত বারোটায় উঠলাম শুধুমাত্র বাংলাদেশের খেলা দেখব বলে। দেখি, আজ আয়ারল্যান্ডকে হারাতেই হবে। শুরুটা তো ভালোই হচ্ছে মনে হয়।
আমার মতো যারা দেশের বাইরে বসে আছেন, তারা লিংক শেয়ার করতে পারেন। আমি দেখছি
www.cricvid.com -এ। ল্যাপটপের সাথে টিভির সংযোগ দিয়ে এই রাত সাড়ে তিনটায় বসে আছি সামনে।
নজরুল ভাই নাই দেখে আমিই পোস্ট দিলাম। দরকার হলে সরিয়ে দেবো।