নামে ছোটোগল্প হলেও আকারে সামান্য বড়ো, অন্তত ব্লগের হিসেবে। পাঠকেরা পড়তে গিয়ে দমছুট না হলেই বাঁচি। যে বেচারা মডুরা আমাদের কাঁড়ি কাঁড়ি লেখা দুব্বোঘাসের মতো চিবিয়ে রোজ তাঁদের পরিপাকযন্ত্রের বারোটা বাজান, এ গল্প তাঁদের জন্য আমার সমবেদনার যৎসামান্য প্রকাশ।
----------------------------------------------------------------------------
বৃক্ষারূঢ় গল্পগাভীটির পৃষ্ঠে ডোরা ডোরা দাগ, পেনসিলটাকে দাঁতনের মতো করে চিবোতে চিবোতে বললে ...
[০]
তিন বছর বয়সী বালিকাটি ফোনে আমার সাথে আলাপ শুরু করলো এক দিন, অ্যাই তুই কী করছিস?
- খাচ্ছি।
-কী খাচ্ছিস, জিব্রা? (আজকালকার বাচ্চারা আমাদের মতো জেব্রা বলে না, একেবারে z দিয়ে জিব্রা বলে, শুনে শুনে আমরাও শিখছি আর কি।)
- নাঃ, এই একটু জিরাফ খাচ্ছি।
এই শুনে সে হেসে কুটিপাটি। যেন জিব্রা খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু জিরাফ খাওয়াটা ঘোর বাজে একটা কাজ! তো সেখানেই আলাপ শেষ না, এরপর বলে, আচ্ছা তুই কি এক ...
অনেক দিন পরে লিখতে বসে লেখকদের কলম সরে না বলে শুনেছি। লেখক নই বলেই বোধ'য় আমার অন্য রকম সমস্যা হচ্ছে, মাথায় নানা কথা একসাথে ভিড় করছে। লেখায় যে একটা ফোকাল পয়েন্ট থাকবে তার জো নেই, কোন দিক থেকে শুরু করি সেটাই হয়েছে ফ্যাসাদ।
এতো কথা যা নিয়ে সেটা একটা সিনেমা। রাত্তির জেগে দেখলাম, এমন সিনেমা যা ঘুমটুম উড়িয়ে তো দেয়ই, উপরন্তু সিনেমা থামিয়ে নেট ঘেঁটে পড়তে বসতে হয়, এ সব পরিচালকের কষ্টকল্পনা ...
এক একটা লেখা পড়ে থেকে থেকে আর দিনের আলোয় আসতে সুযোগ পায় না। এই লেখাটাও সেই রকম। এক এক অনুচ্ছেদ করে লিখে লিখে এগিয়েছে। যে গান নিয়ে লেখা সেও খানিক পুরোনো হয়ে গেছে। তবু পোস্টাতাম, কিন্তু সে গান অনুবাদ করতে গিয়ে দুর্দশার একশেষ। বাণী খটোমটো হলে কাজটা সোজা হয়, কিন্তু সরল হিন্দি অনুবাদ আরও বেশি কঠিন। যাক, সচলের কথা ভেবে লেখা যখন, পোস্ট করে দিলাম। তৎপর অনুবাদক কেউ থাকলে গানের বাকিটা করে দি...
[justify] নজরুল ইসলামের আয়োজনে বাংলাভাষা নিয়ে ই-বইয়ের জন্য লিখেছিলাম এই লেখাটা। তাড়াহুড়ো করে ডেডলাইনের মধ্যে শেষ করে জানলাম সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে আর কাটছাঁট করা হয়নি বিশেষ। পরে বইটা যখন বেরোলো না যথেষ্ট সংখ্যক লেখার অভাবে, তখন একে ভাঁড়ার থেকে বের করে আনা যাক।
একান্নবর্তী না হলেও কলকাতায় আমাদের বাড়িতে একপাল লোক এক ছাদের নিচে একসাথে থাকে। বাংলাভাষ...
[justify] আমি কলকাতায় যে পাড়ায় বড়ো হয়েছি সেটা ছিলো পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষদের আস্তানা। পারস্পরিক চেনা-পরিচয়ের পথ ধরে পরিবারগুলো এক পাড়ায় এসেছিল, সেজন্য সরকারি জমিবন্টনের সময় সামাজিক স্টেটাস নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে নি। এর ফল দাঁড়িয়েছিলো এই রকম যে পাড়ার ডেমোগ্রাফিটা একেবারে পাঁচমেশালি খিচুড়ি, ডাক্তার, প্রফেসর, মাস্টার যেমন আছে তেমনি আছে বাজারের সব্জিওলা, গৃহপরিচারিকা ইত্যাদ...
[justify] এ লেখাটা লেখা উচিত ছিলো অনেক আগেই, কিন্তু লেখা হয় নি কয়েকটা কারণে। সংবেদনশীল বিষয়ে লেখার সময় যে পরিমাণ যত্ন নেওয়া দরকারি, তার জন্য যথেষ্ট সময়ের অভাব: সচলের ভাষায় যাকে বলে "দৌড়ের উপর থাকা"। এছাড়া একটা বিশাল দ্বিধা, অনধিকার-চর্চা হয়ে যেতে পারে এই নিয়ে। এবং সর্বোপরি লেখার পরে উত্তপ্ত আলোচনা শুরু হওয়ার আশঙ্কা। আলোচনায় অসুবিধা নেই, কিন্তু উত্তর-প্রত্যুত্তর দিতে চাইলেও আবার সেই সম...
[justify] বেশ কিছু দিন আগের কথা। একটা বই পড়ছিলাম, "জিওগ্রাফি অফ ব্লিস" বলে (নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিভিউ এখানে)। দুনিয়া বদলে দেওয়া বই কিছু নয়, তবে চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। তাতে ভূটান নিয়ে একটা অধ্যায় ছিলো। আমি ভূটানে বিশেষ ঘুরি নি, সামচি ছাড়া কোত্থাও যাই-ই নি আদতে। তা বলে বিভূতিবাবুর উদাহরণ মানা যাবে না সে কথা কেউ বলে নি, ভূটান তো কিলিমাঞ্জারোর চেয়ে ঢের ঢের কাছ...
[justify] প্লেনটা একেবারে থিকথিক করছে মানুষে। সব আসন ভর্তি, হাঁকডাকে সরগরম চারিদিক, প্রায় মাছের বাজার, স্রেফ আঁশটে গন্ধটুকু বাদ দিলে। অ্যাটলান্টা থেকে পোর্টল্যান্ডগামী সরাসরি ফ্লাইট বেশি নেই, তাই বিশেষতঃ সোমবার সকালের ফ্লাইটটা সবসময়ই প্রায় ভর্তি থাকে। আর আমার যেহেতু দু মাস আগে থাকতে টিকিট কাটার উপায় নেই যেহেতু গন্তব্যের খোঁজই পাই দু দিন আগাম, কাজেই অবধারিতভা...
[justify] এই সিনেমাটা দেখেছিলাম বেশ কিছু দিন হলো। তখন এটা নিয়ে লেখা হয় নি মূলত সময়াভাবে, যদিও গৌণ ও গুরুত্বহীন হয়েও ছবিটি প্রভূত আনন্দ দিয়েছিলো দেখার সময়। সে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যথাসময়ে না হলেও এখন করা যেতেই পারে। স্পয়লার অ্যালার্টের দরকারও কমে গিয়েছে অনেকটা এর মধ্যে, কারণ যাঁরা এখনো দেখেন নি, আশা করা যাচ্ছে তাঁদের আর বিপদে পড়তে হবে না।
১) বলিপ্রদত্ত
ছবিটি হিন্দিতে, নাম "কুরবান"। বিষয় ...