"অ্যাফেয়ার অফ দ্য নেকলেস" মুভি দেখে লিখতে বসেছি ঠিকই, কিন্তু এই লেখা ফিল্ম রিভিউ নয়। বরং ছবির মূল চরিত্র ইতিহাসের পৃষ্ঠার যে সাহসিনী নারী তাঁকে নিয়ে লেখাই মূল উদ্দেশ্য। Jeanne of Valois-Saint-Rémy বা সংক্ষেপে জিন, শৈশবে হারিয়ে যাওয়া বাড়িঘর পারিবারিক উপাধি ও সম্মান পুনর্দখল করতে যা সব দুর্ধর্ষ কাণ্ডকারখানা করেছিলেন সে যুগে, উইকি খুলে তার বিবরণ না পড়লে সন্দেহ হতো গোটাটাই ফিকশন কি না! গল্প ...
[justify] পড়াশোনা বাবদ একটা ছোটো মার্কিন শহরে আসার আগে অবধি আমি হিন্দি ছবি দেখার ব্যাপারে খুব নিয়মিত ছিলাম। এই শহরে যেহেতু ভারতীয় ছবি থিয়েটারে দেখা যায় না তাই ভালো ছবি যা বড়ো পর্দার জন্যই লাগসই সেগুলো দেখা হয় না সুযোগের অভাবে। আর বাজে ছবি দেখে লাভ নেই বলে সেগুলোও বাদ যেতো। সেজন্যেই জার্সি এসে থিয়েটারে গিয়ে 'লাভ আজ কল'দেখতে যাওয়াটা একটা বিশেষ ব্যাপার মনে হচ্ছিলো। বিরহে প্রেম বাড়ে কথাট...
[justify] আজ মেঘবৃষ্টি কিছু নেই, সামান্য তুষার পড়ছে, এর জন্য অফিস কামাই করার মানেই হয় না। তবু যাই নি কাজে, আজ অফিস যাবার দিন নয়, আমার জন্য। কাল সন্ধের পর থেকে আমার আকাশ ভার করে আছে।
অফিস থেকে এইমাত্র চারু ফোন করেছিলো। গোটা অফিসে একমাত্র ভারতীয় সে, আমার খোঁজখবর নেয়, আমিও নিই। আমাকে না দেখে ফোন করে হৈচৈ জুড়ে দিয়েছিলো, অনু তোর শরীর ভালো তো? জ্বরজ্বারি নয়? দেখ সিরিয়াস কিছু হলে বল, আমি নিয়ে যাবো ড...
আজকাল মাঝে মাঝেই সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখা হয়ে যাচ্ছে। সেটা কিছু খারাপ কথা নয় মানছি, যেমন মাঝে মাঝে আকাশ কালো করে মেঘ করলে মনে কাব্যভাব জাগে, তাতে জগতের উন্নতিই হয়। প্রচুর নবপ্রেমিক যারা কাব্যগুণাণ্বিত নয় তাদের মুখে ভাষা জোগায় এই সব কবিরা, আর কবির মুখে ভাষা ফোটে ঐ মেঘের ঘনঘটায়। কিন্তু সত্যি করে বলুন, ঘন ঘন আকাশ গম্ভীর হলে সেটাও বেশ বোরিং হয়ে যায় না? আজ তাই একেবারে নির্মল হাস্যরসের এক ...
[justify] আমার নাম পরেশ। অধমের নাম পরেশ বলিলেই সঙ্গত হইত, তবে অকারণ বিনয় প্রদর্শন আমার স্বভাব নহে। আমি, নরেশ, হরেশ ও বীরেশ চার জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নামেই প্রকাশ, সকলেই 'দেশি' ভদ্রসন্তান। কর্মোপলক্ষ্যে প্রবাসে আসিয়া আলাপ। বিদেশে যেইহেতু দেশিই দেশির বন্ধু হয় (এবং বৈদেশিকগণ আমাদিগকে পাত্তা দেয় না বলিয়া আমরাও উহাদের পাত্তা দেই না) তাই আমরা একে অপরকে আপন করিয়া লইয়াছি। সন্ধ্যায় গৃহে ফিরিয়া...
আরেকটা ছোটো গল্প লিখে ফেললাম, একেবারে নিরামিষ এটা, কোনো নষ্টামির কথা নেই। কাল একটা গল্প লিখে আজ আরেকটা নামিয়ে দিলাম, নিজের কেরামতিতে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।
যে ধরনের গল্প লিখে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি হয় এটা ঠিক সে ধরনের নয় (যে গল্পের কথা স্নিগ্ধা বলেছেন), তবে সে সব লিখতে আমার মতো লেখকের এক হপ্তা করে সময় লাগে, কাজেই আপাতত এটাই পড়তে থাকুন। কেমন লাগলো সে কথা জানাবেন অবশ্যই, প্রতীক্ষায় র...
গল্প লেখার প্রচুর হ্যাপা, একে তো অনেক টাইপ করা, তার উপর কাহিনীরস-টস নিয়ে প্রচুর কিছু ভাবতে টাবতে হয়। নাজেহাল অবস্থা হয় একেবারে, ভূতের গল্প লিখতে গিয়েই বুঝেছি। তাই ঐ পথ আর মাড়াচ্ছিলাম না, কিন্তু মৃদুল আর সুজঞ্চৌধুরি আবার মনে করিয়ে দিলেন। এমন প্রশংসা শুনেও যদি না লিখি তো নেহাত অসভ্যতা হয়। অতএব লিখলাম, তবে অণুগল্প, খাটনি কম। মতামত জানান, এ জাতীয় প্রচেষ্টা আর করা ঠিক হবে কি না ...
যদিও এই বিষয় নিয়ে অনেক খুচরো ছড়ানোছিটানো ভাবনা অনেক দিন ধরেই মাথায় ছিলো, সম্প্রতি সিরাতের 'সচলায়তন সম্পর্কে' পড়ে লেখার ইচ্ছেটা আকার নিলো। সিরাত শুরু করেছেন সচলায়তনে লিখে তিনি যে ব্যাপক আনন্দ পান সে কথা দিয়ে। আমি সচলে লিখে যে আনন্দ পাই না তা নয়, তবে আনন্দটা মূলত লিখেই পাই। প্রশ্ন থেকেই যায়, তাহলে সচলেই লেখা কেন। তার কারণগুলো খুব যে সার্বজনীন তা বলতে পারি না, তাই সে সব উল্লেখ করলে পা...
আসন্ন সন্ধ্যার কোলে মাথা রেখে মানবমানবী
বসে আছে নীরব প্রেমের ভঙ্গিমায়,
শান্ত নদীর জল স্মৃতির মতন বযে় চলে
পাখিরা ফিরেছে ঘরে বাতাসের পথ চিনে চিনে
আবছা চাঁদের ছাযা় আকাশের গায়
অন্ধকার এসে ঢাকে শরীর তাদের
চোখের জটিল ভাষা সহজ হযে়ছে তাই এতো পথ এসে
মানুষের হাত
আশ্বাস খুঁজে নেয় মানুষীর হাতে,
প্রেমকথা শেষ হযে় আসে
রাতের আকাশে তারামণ্ডল লিখে রাখে আগামী অধ্যায় ॥
পাখি হলো একটা অডিও-ভিস্যুয়াল ব্যাপার, তার ছবি অসম্পূর্ণ থাকে যদি ডালে বসে পুচ্ছ নাচিয়ে সে কিচিরমিচির না-ই করলো। তবে কি না সুন্দরী ললনাদের ক্ষেত্রে দুর্জনে বলে (আমি কিন্তু বলি না একদম, কেউ রাগ কইরেন না) হিস্ট্রি জিওগ্রাফি দুটো একসাথে ভালো হওয়া একটু কঠিন। পাখির ব্যাপারটাও খানিকটা তাই, দেখতে সুন্দর পাখিগুলোর ডাক একেবারেই এলেবেলে, আর যারা গান শোনায় তারা পাতার ফাঁকে লুকিয়ে থাক...