মেহেরজানের আজ মন খারাপ। গোলাপী মলাটের ডাইরির শূণ্য পাতার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকে সে। পাতার উপরে কোণায় ডিসেম্বরের ৩ তারীখটা যেন তার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে থাকে। পাশেই খোলা আজকের প্রথম আলো। আবার খেলার পাতাটা হাতে নেয়। কয়বার পড়া হলো আজকের খেলার খবরগুলো?
ইউনুস খান হাতটা এমনভাবে মুশফিকুর রহিমের কাঁধে রাখলেন যেন বড় ভাই সাহস দিল ছোট ভাইকে। একটু পর ট্রফি উন্মোচন পর্বে মিসবাহ-উল-হকের পাশেও আকৃতি-শরীরী ভাষায় ছোট ভাইয়ের মতো লাগল মুশফিককে।
ঠিক কবে থেকে যে চশমা পরি তা নিজেও অনেক চেষ্ঠা করে মনে করতে পারলাম না। ট্যানলাইনের মতন, আমারও নাকের উপরে চশমা তার ছাপ রেখে গেছে। বললে তো হাসবেন, কিন্তু মাঝে মাঝে চশমাতেও চুলকাতো। ভালোই ছিলাম, কিন্তু বিপত্তি ঘটালেন আমার উনি, শুভ। ল্যাসিক করলে বলে আর চশমা পড়া লাগবেনা, এই নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করে মাথা খারাপ করে দেওয়ার জোগাড়। আরে ব্যাটা বিয়ের আগে
জনৈক অতিথির মন্তব্য থেকে আজ জানতে পারি সচলায়তনের প্রথম পাতায় যে মাত্র ১০টা সাম্প্রতিক লেখা দেখা যায় সেটা নাকি বিরাট লজ্জার ব্যাপার। এটা কিভাবে লজ্জার ব্যাপার হতে পারে, তা অবশ্য মাথায় আসেনি কিন্তু লজ্জাবতী গাছের মতন কেউ যদি নিজে থেকে লজ্জা পেয়ে যায় তাহলে তো আর আমার করার কিছু থাকেনা। নীড়পাতায় চাইলেই যতখুশী লেখা দেখানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করা যায়, কিন্তু তাহলে সার্ভারের উপরে যেমন চাপ পড়ে, তেমন
কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক - "শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?" যাত্রা শুরু করেছিলো মুর্শেদ ভাইয়ের উদ্যোগে এবং পরে তাতে শামিল হয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক-ও, সেই সাথে শোমচৌ-এর কারসাজির ক্যামেরাবাজি সিরিজ মিলিয়ে সচলায়তনের ক্যামেরাবাজি ইস্কুল বেশ ভালোই চলছিলো। আলোচনা হয়েছে অ্যাপারচার বা আলোকছিদ্র, পর্দাগতি বা শাটারস্পীড, সংবেদনশীলতা বা ISO, উন্মুক্ততা বা এক্সপোজার, ফোকাল লেংথ, HDR ছবি, বাবুর ছবি, বোকে/বোকেহ (Bokeh) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু সময়ের সাথে ইস্কুলের ক্লাস অনিময়িত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা করলাম সিরিজটাকে নিজের স্বার্থেই পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরই মাঝে সচলে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের সমাবেশ হওয়ায় আমার চেষ্টা থাকবে আলোচনার সূত্রপাত করা, বাকী আলোচনা এগিয়ে নেওয়া এবং আমাকে শেখানোর কাজ আপনাদের সবার ।
বিজ্ঞানী.org এর নাম আমি প্রথম জানতে পারি সচল বিপ্রতীপের লেখা একটি পোস্ট থেকে। মাঝে মাঝে ঢু মারতাম, আর দেখতাম ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো সব পাগলাটে লোকদের কান্ডকারখানা। মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞানকে আমাদের মাঝে আরও সহজবোধ্য করার জন্য কি অক্লান্ত পরিশ্রমই না করছেন এই [url=http://www.sachalayatan.com/
যাই হোক এই লেখার আসল উদ্দেশ্যে আসি। এখানে আপনাদের একটা অসম্ভব সহজ বুদ্ধি শিখাবো। কিভাবে সহজে আপনার বন্ধুকে বোকা বানাতে পারেন এই দিনে
আমেরিকায় যাব, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে। একথা কাউকে বলতে গেলেই মুশকিলে পড়ে যাই। সবার প্রশ্ন একটাই - মানুষ পড়তে যায় লন্ডন আমেরিকায় তা বাবা তুমি কেন মেক্সিকো যাচ্ছ? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া মুশকিল। দ্বারস্থ হতে হয় প্রথমে টেক্সাসের। টেক্সাসের পাশেই যে নিউ মেক্সিকো আর সেটা যে আমেরিকাতেই এটা কষ্ট করে বোঝাতে পারলেও চোখ সরু করে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকানোটা অগ্রাহ্য করতে পারিনা। কেউ কেউ টেক্সাসটা কোন দিকে জানতে চান, তাকে তখন নিউইয়র্ক থেকে টেনে নিচে আনা লাগে। সৌভাগ্যের বিষয়
শুরুতে একটা কৌতুক –
ক আর খ দুইজন সৈনিকের হঠাৎ পরকালে দেখা। প্রাথমিক কুশলাদি বিনিময়ের পরে খ জিজ্ঞেস করে
-তা তুই মরলি কি করে?
--আর বলিসনা মাথায় গুলি লেগেছিলো।
- যাক বাবা, চোখটাতো বেঁচে গেছে।
বেশ অনেকটা সময় ধরেই
সচল শুভশীষদা'র লেখা ছয় শব্দের গল্প পড়ে হেমিংওয়ের বিখ্যাত ছয় শব্দের গল্পের(For sale: baby shoes, never worn) সাথে পরিচিত হই। সেই সাথে গল্পের এই ধারা মাথায় গেঁথে যায়। ফেসবুক যুগে যখন সাম্প্রতিক ঘটনা কিছু ঘটলেই মাথায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মকশো করতাম, সেটা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে ছয় শব্দের বাক্যগুলো। সেরকমই কয়েকটা নিয়ে ষড়ল গল্প লেখার এই প্রথম চেষ্টা। নামকরণ ষড়ল গল্পটাও শুভাশীষদা'রই করা।