দিনের শেষেঃ
এখন কাঁদছি। সশব্দে। নিজের কানেই কিরকম বেসুরো লাগছে। তারপরও কাঁদছি। আর লিখছি। লিখে রাখছি এই দিনটার কথা। বাঙালির আটপৌরে একটা দিনই প্রায়। স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন প্রায় পুরোটা পূরণ হতে গিয়েও হয় না। দিনশেষে প্রাপ্তির খাতা শূন্য। একবারেই শূন্য?
পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিলাম। আমার এই অ্যাকাউন্টের। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় তবে প্রবেশ এইখানে অনেকদিন বাদে। লিখছিও আজ। অনভ্যাসের কারণে বানান ভুল হতে পারে; দুঃখিত সেজন্যে। আর এ লেখা একবারেই সাদামাটা। অসাধারণ কিছু লেখার ক্ষমতা আমার নাই।
আমি শুধু বলি, আমি সেইসব মানুষদের একজন নই যারা অনেক অপেক্ষার পর হাতে পেয়েছে ছোট্ট একটা প্রবেশপত্র, সরাসরি মাঠে বসে উপভোগ করতে পেরেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বকাপের।
রাত পোহালেই পর্দা উঠছে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন বাংলাদেশ' - বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমরা সবাই। যতটা উদ্বোধনের তার চেয়েও হয়তো বেশি আমাদের লাল-সবুজে বর্ণিল ঐ ১১ জনের মাঠে নামার অপেক্ষা।
ইউ.এস ওপেন দেখছিলাম। অনেক কাজ আছে কিন্তু কোনটাই করতে ইচ্ছে করছিল না বলে বসে বসে টেনিস দেখা। জোকোভিচের খেলা দেখাচ্ছিল। তাচ্ছিল্যভরে দুয়েকবার তাকিয়ে আবার খোমাখাতায় মন দিলাম। হঠাৎ করেই বিশেষ একটা নাম শুনে সম্বিৎ ফিরলো। আমার এককালের অতি প্রিয় টেনিস কন্যা শারাপোভার নাম শুনে।
শারা-পোভার(!) সাথে কার যেন খেলা। আগে কখনও নামও শুনিনি। সে না কী আবার এক নম্বর বাছাই এবারের। তাহলে তো ...
ঘড়িতে সাড়ে আটটা। কাল রাতে জানালার পর্দা সরিয়ে রেখেছিলাম। জানালার স্বচ্ছ কাঁচের এপাশ দিয়ে দেখলাম অঝোর বৃষ্টি। আমি ওপাশ ফিরে খুশি হয়েই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। সাড়ে দশটার দিকে উঠেই পড়লাম। বৃষ্টির এখনও থামার কোন লক্ষণ নেই। ভাবলাম, আজ না হয় একটু দেরি করেই বের হই।
কোথাও যাওয়াই হয়নি আজ। সারাটা দিন ধরেই অনেক কাঁদলো আকাশটা। কখনও খুব উচ্চঃস্বরে আর কখনওবা ধীর লয়ে। সারাটা দিন ...
প্রায় একমাস চলে গেল। আমার জন্য দিনগুলো গিয়েছে খুব দ্রুত। শুধু আমি কেন? সব ফুটবল অনুরাগীদের জন্যই মনে হয় প্রযোজ্য এই কথাটা। অফিসে থাকতেই বিকেলের প্রথম খেলাটা (বাংলাদেশ সময় রাত আটটার) কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতাম। সন্ধ্যায় বাসায় এসে তাড়াহুড়ো করে রাতের খাওয়ার পর্ব শেষ করেই অপেক্ষা আবার খেলার জন্য। হুড়মুড়িয়ে চলে গেল দিনগুলো। যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!
দিন গড়ানোর সাথে সাথে দুটো দল ব ...
পোস্টটির ভিতরে যাওয়ার আগে কিছু কথা এখানেই বলে নেই। প্রথমতঃ, আমি একদমই ফুটবল বোদ্ধা নই। আমার কিছু ভালো আর মন্দলাগা নিয়েই এই পোস্ট। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি আমি যে আর্জেন্টিনার সমর্থক এটা জানানো। আমার ভালোলাগায় তাই আকাশী-নীলের ভাগটা অনেক বেশিই থাকবে। যদিও প্রকাশের বাড়াবাড়িটাকে বেড়ি পরিয়ে রাখার চেষ্টা জারি থাকবে পোস্টের হিট বাড়ানোর জন্য।
[justify]
পত্র-পত্রিকার খবর আ...
[justify]
এবার সঠিক উচ্চারণে জায়গার নামটা বলতে পারে রেহান। সাথে যেহেতু প্রমাণ সাইজের দুটো সুটকেস আছে তাই এটাও শুনে নেয় সরাসরি ঐ শহরেই যাবে কোনটা এবং কখন। বেশ কিছুটা সময় হাতে পেয়ে যায়; সিগারেটের নেশাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ওর।
ঘটনাগুলো ঘটেছিল ঠিক একবছর আগে। রেহান ভাবছিল তাই। তারও প্রায় ৪/৫ মাস আগে এখানে ও এসেছিল প্রথমবার, ইন্টারভিউ দিতে। দিন তিনেকের জন্য। সেবার ট্রেনের টিকিট কাটতে যেয়...
[justify]
বিকেল পেরিয়ে যাচ্ছে বলে প্রায়। বাইরে এখনও বেশ আলো। আলোটুকু আটকে যায় জানালা দিয়ে ঢোকার পথেই। ভারী পর্দাগুলো ভিতর থেকে কেউ সরিয়ে দেয় না বলেই বোধহয়। রুমের ভিতর তবুও কিছুটা আলো-আঁধারী খেলা করে খানিকটা শূন্যস্থান পর্দার পাশে থেকে যায় বলেই।
হঠাৎই খুট করে শব্দ পাওয়া যায়। কী-হোলে চাবি ঢুকিয়ে মোচড় দেওয়ার আওয়াজ। দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে কেউ একজন। চেয়ার টানার শব্দ। তারপর কিছু ইতস্তত এ...