[justify]
'গলায় আমার নেই যে কোন রেওয়াজ করার স্বভাব, এই অভাব আমার থাকবে চিরদিন..' ♪♫
[justify]
'বেলজিয়াম গ্লাস'
মেহগনি রঙ ফ্রেমের বাঁ ধারে খোদাই করে লেখা। আয়নাটা ঝুলছে পশ্চিমের দেয়ালে, অনেকগুলো বছর ধরে.. শাহানা এ বাড়িতে আসা অবধিই তো দেখছেন। দিন গড়িয়ে দেয়ালের রঙ বদলেছে, বদল এসেছে বাসিন্দাদের অবয়বে, আচরণে। নিরেট পাথরের মতো একই রকম রয়ে গেছে ঐ আয়না কেবল।
[justify]
[justify]
ইশকুলের গ্রীষ্ম ছুটিতে ভাঁড়ার ঘরে বসে লুকিয়ে পড়ে ফেলা ন হন্যতে..
পুরোপুরি না বুঝেই অনেকবার শুনতে শুনতে অবেলাতেই মুখস্ত হয়ে যাওয়া সুনীলের বরুণা আর একশ আটটা নীলপদ্মের বেহিসেবী কারুকাজ।
অসীম মুগ্দ্ধতায় গেলা জেন আয়ার আর শবনম।
[justify]
'শেষ রোদ এখন মাঠের পরে খেলা করে, নেভে।
ঝাউফল ঝরে ঘাসে...
সেইসব বাসনার দিনগুলো, ঘাস রোদ শিশিরের কণা..
নক্ষত্ররা চুরি করে নিয়ে গেছে, ফিরিয়ে দেবে না তাকে আর।'
#জীবনানন্দ দাশ
______________________________________________
[justify]
'ইতাক তুকে মানাইছে না গ, ইক্কেবারে মানাইছে না গ’
''লিখে লিখে এইসব; আর যদি নাই লিখি---
নিত্যদিনের অর্থহীন এই প্রাত্যহিকী?
না-ই বা যদি লিখি আর যা কিছু বেদনার ও বিষাদের,
বিজন ব্যথা তোমার-আমার, আমাদের.....''
শ্রীমান ভজহরি মুখুজ্যে বলেছিলেন ‘তত্ত্বাবধান মানে জীবে প্রেম!’
[justify]
ছেলেবেলায় ছোড়দার নেশা ছিল ডাক টিকেটে।
বড়মামা তখন বিলেতে থাকতেন। কী যেন পড়তেন সেখানে, আফিসিফিয়াস--বলতে গিয়ে আমি গুলিয়ে ফেলতাম।
[justify]
‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা..’
প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার ভাল্লাগে না.. একেবারেই না। তবু প্রতিদিন অসংখ্যবার অনেক ক’টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ক্যাম্পাসের চৌকাঠ মাড়িয়ে ঢুকতে কিংবা বেরুতে গিয়ে সম অথবা অসমবয়সী কারো ঠোঁটে ‘কেমন আছো’ নামের সরল জিজ্ঞাসাটি আমাকে আপাদমস্তক বিব্রত করে।
কেমন আছি আসলে? বেঁচেই তো আছি.. বেঁচেবর্তেই তো থাকি আমরা, কোনোমতে।
[justify]
‘মুড়ো হয় বুড়ো গাছ, হাত গোন ভাত পাঁচ… দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে
ফাল্গুন তাল জোড়, দুই মাঝে ভুঁই ফোড়.. সন্ধানে ধন্দায় নবাবে’
অংশীদারী কারবারের ‘অসীম দায়’ বৈশিষ্ট্যখানা নিয়ে পড়তে হয়েছে কখনো? আমার স্বভাবে দোষের ভাগটা আনলিমিটেড!
[justify]
বুবুনের ঘরের জানালা দিয়ে একটা পাহাড় দেখা যায়।
একটা গোলগাল নীলচে মতো কাঠখোট্টা পাহাড়। শীতের বেলায় পুরো পাহাড়টা ঘোলাটে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে।
দুপুরে মা ভাতঘুমে কাবু হয়ে পড়েন, বুবুন দখিনের ব্যালকনিতে পুরোনো ইজিচেয়ারটার হাতলে বসে দাদাভাইকে খবরের কাগজ পড়ে শোনায়।
বার বার ওর চোখ চলে যায় পাহাড়টার দিকে....
রোদ-রং মাখা বিতিকিচ্ছিরি একটা পাহাড়, কেমন গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সারাক্ষণ..