মিউনিখ শহর আজকে লন্ডন হয়ে গেছে। সকাল থেকে টিপির টিপির বৃষ্টি। আকাশে সূর্যের ‘স’ও নাই। সব মিলিয়ে কেমন একটা বিষণ্ণ পরিবেশ। কিছু কাজ জমে আছে, যেগুলি আজকে শেষ না করলেই নয়। তারপরও কেন যেন ইচ্ছা করছে না। মেঘলা দিনের অলসতা আমাকে কব্জা করে ফেলেছে। এই কব্জায় আটকা পড়ে আমার যে খুব খারাপ লাগছে, তা না। কিন্তু অস্থির লাগছে। অস্থিরতা বিড়ালের বাচ্চা না যে কোলে নিয়ে পুষতে হবে। এটাকে তাড়াতে হবে। এক কাপ মিন্ট চা বানালাম খুব আয়োজন করে। চায়ের সাথে টা হিসেবে বাদামের কোটা। যেনতেন বাদাম না। বাদামের গায়ে ওয়াসাবি’র কোটিং। ওয়াসাবি হল জাপানিজ হর্সর্যাডিশ। চরম ঝাল। এই ঝালের কোনো মা-বাপ নাই। আমি আবার ঝালখেকো মানুষ। মিন্ট চায়ের সাথে ওয়াসাবি দেয়া বাদাম খেতে ভালোই লাগছে। কিন্তু অস্থির ভাবটা কমছে না। কিছু একটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
বিচিত্র লাগছে। বাস ছুটে চলছে। চারপাশ ধবধবে সাদা। গাছপালা রাস্তাঘাট কোনটা কি কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পাশে বসা শেন জ্যো খুব আগ্রহ নিয়ে ল্যাপটপের মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে। তার কাছে নাকি বাংলা ফন্ট খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। সে এক টুকরা কাগজ নিয়ে তার নামের বানান লিখে নিয়েছে আমার কাছ থেকে। এখন বার বার বাংলায় নামটা লিখে লিখে প্র্যাকটিস করছে। কি আজব!
গরম লাগছে। হাত বরফের মত ঠান্ডা ...
সংগ্রাহক
রংচটা একটা বিকেলকে কাঁচের বোতলে পুরে শোকেসে রেখে দিয়েছি,
ধূসর কোনো মেঘলা আকাশ গুড়ো করে রেখেছি রূপার অ্যাশট্রেতে ,
জোছনার মৃত আলোকে বন্দী করেছি মেহগনী কফিনে,
নীলচে শকুনের স্টাফ করা শব সাজানো ঘরের এক কোনে,
এক খন্ড জমাট বাধা লাভা এনেছি জ্যান্ত আগ্নেয়গিরি থেকে ,
আরো কিছু জিনিস খুঁজছি,
এই যেমন ধবধবে সাদা ইউনিকর্ন, নিশ্চুপ উপগ্রহ
আর কি যেন একটা..
ঠিক মনে পড়ছে না।
--রিম ...
Call from the other side
A voice said, "Cyanide or Hemlock?"
Just like we ask a guest, "Tea or Coffee?"
I replied, "No, thanks, I prefer to live"
The voice announced, "It's time;
Wave bye to life
And drink the potion".
I questioned, “But why?”
The man laughed and answered,
“I collect souls;
You have been asked to give yours.”
Sadly I nodded my tired head;
For the very last time,
Me and my helpless eyes
Looked out the window;
Life outside seems like...
Golden sunshine on a butterfly's back;
Slowly I raised my heavy feet
And followed a mysterious shadow,
The shadow of all shadows;
The shadow where life terminates;
The shadow of a dark, pale curtain;
The shadow they called “death”!
--Rim
A silent prayer
They are no more
We know for sure
But what if God gives them back for a day or two?
Oh God,
How we long to touch feel and speak
How we wait to see hear and smell
They say, what is done cannot be undone
But can you tell where to go where to seek
Or how to turn back the time?
What is this sharp sword ripping the heart?
What is that inner cry trying to outburst?
Is it just us feeling left out,
Or are they really gone?
For once and just for once
Please God please
Bring them back for once.
--Rim Sabrina; 5.06.2010
(In memory of Old Dhaka fire victims)
বৃষ্টি এবং তারপর
শাড়ির আঁচলে এক মুঠো কাচ পোকা লুকিয়ে,
আজ বের হয়েছিলাম শহরটা দেখবো বলে।
একদিনের বৃষ্টি রঙে রাঙানো এই চিরকালের ধুলির শহর
ব্যস্ত গাড়ি আর উড়ন্ত রিকসার পালে বারো মাসি হাওয়া
শাহবাগের মোড়ে টগর নামের মেয়েটার বেলি ফুলের মালা বেচা
হাইকোর্টের ফুটপাতে পাগলা ফকির এর আজব প্রলাপ
আর আমার খালি পায়ের উদাস পথচলা
শর্মা হাউসে গরম কফিতে সাবধানী চুমুক
ফুলার রোড ...
ভয়াবহ মাথা ধরেছে সেই বিকাল থেকে। দাঁত ব্যথার সাথে এর একটা যোগ থাকতে পারে, ঠিক বুঝছি না। যেই কাজটা হাতে নিয়েছিলাম , কিছুতেই সেটায় আর মন বসানো যাচ্ছে না। অনেক ভাবে চেষ্টা করে এখন হাল ছেড়ে দিয়েছি। একদম অন্য কিছু ভাবতে হবে। প্রিয় কিছু। তাহলে যদি এই অদ্ভূত ব্যাথাটা একটু কমে।
আমার জানালা দিয়ে অনেক পাখি দেখা যায়। গুনে দেখেছি প্রায় দশ এগারো রকমের পাখি থাকে সামনের বিশাল গাছটা ...
শিয়ালের দুঃখ
--রিম সাবরিনা
এক যে ছিল হালুম মামা
করত বনে বাস,
হরিণ শিকার ছেড়ে হঠাৎ শুরু
করল ঘাসের চাষ।
বিরাট এক মিটিং ডেকে
জানিয়ে দিলো হেঁকে,
এখন থেকে শিকার টিকার
এক্কেবারে বন্ধ;
তাই শুনে শেয়াল মশাই
খেপে রাগে অন্ধ।
মজার মজার শিকার ছেড়ে
ঘাস খাবো মেপে?
আর নাকের ডগায় খরগোশেরা
ঘুরবে ফুলে ফেপে??
ধ্যাত্তেরিকা, বলল শিয়াল
থাকবো না এই দেশে,
এতদিন শিয়াল থেকে
গরু হবো শেষে?
...
পোকাভাষণ
ধুরো! পড়তে ফড়তে ইচ্ছে করছে না। চারপাশে নানা জাতের পোকামাকড় মহাসুখে উড়ে বেড়াচ্ছে। ভাংভাং পাংপাং শব্দে কান ঝালাপালা। ইস, এক চড়ে পোকাব্যাটাদের দাঁত ফেলে দিতে পারতাম!
পোকাগুলির উদ্দেশ্যে একটা জ্বালাময়ী ভাষণ দিলে কেমন হয়? প্রধানমন্ত্রী যদি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন, তবে এই আমি কেন পোকাভাইদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারব না?
সমগ্র পোকাজাতির উদ্দেশ্যে মানন ...
৯ মার্চ, ২০০০
বৃহস্পতিবার
প্রমিজ করছি এখন থেকে প্রতিদিন ডাইরী লিখবই লিখব। যদি না লিখি, তাহলে কান কেটে পাড়ার নেড়িটার গলায় ঝুলিয়ে দেব। কিন্তু লিখতে গেলেই যে সব গুলিয়ে যায়। কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখব বুঝে উঠতে পারি না। আজকে একটা চেষ্টা নিয়ে দেখা যেতে পারে। একেবারে সকাল থেকে শুরু করি।
হলুদ বর্ডার দেয়া জাপানী কোয়ার্টজ টেবিল ঘড়িটা সবসময় আমার বিছানায় থাকে। সে হিসেবে তার ন ...