রংতুলি এর ব্লগ

বারান্দায় একটি বিড়াল

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১৮ - ৭:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নতুন বাসা এবং নতুন অতিথি


কুঁড়েঘরের গল্প

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/০৪/২০১৮ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলের বয়স আসছে জুনে ১২ হবে। গিয়েছিলো একঝাঁক উচ্ছল সমবয়সীদের সাথে স্কুল ক্যাম্পিং-এ। তিনদিনে ওরা শিখেছে কিভাবে চেনা গণ্ডীর আরাম-আয়েশ ছেড়ে জীবনেকে জানতে হয়। যে বাসে করে ওদের ক্যাম্পিং-এ নিয়ে যাওয়া হয় সে পর্যন্ত গিয়েছিলাম ওকে এগিয়ে দিতে, ছেলেমেয়েরা লাইন ধরে যারযার বাক্স-পেট্রা, বিছানা-বালিশ লাগেজ স্টোরেজে দিয়ে মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে বাসে নিজের সিটে গিয়ে বসল, ব্যস!


বসন্ত বিষাদ

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৮/০৩/২০১৮ - ২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একবার বাজে রকমের এক কাশির কবলে আমি পড়েছিলাম। এদেশে আমার মতো মাইগ্রেটেড বাঙালির কপালে কোল্ড এলার্জি বা শীতকালীন হাঁচি-কাশি বিড়ম্বনা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সেবার বিষয়টা সামান্য হাঁচি-কাশি ছাড়িয়ে গড়িয়েছিল বহুদূর। যদিও শীত ছিল জাঁকিয়ে তবুও সময়টা ঠিক শীতকাল ছিল না, এবং রোগটাও কোনোভাবেই কোল্ড এলার্জি না। সেবার পুরো শীতটা ঠিকঠাক কাটিয়ে, বিপত্তি বাঁধলো শীত শেষে বসন্তের আগমনে। এবং যা ছিলো কিনা অস্ট্রেলিয়


এক যে ছিল চাষীর ছেলে

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৩/২০১৮ - ৫:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কনকনে ঠাণ্ডা সকালে বনের ভেতর তুষার মোড়ানো পথ পাড়ি দিয়ে ভাই বোনদের সাথে তাল মিলিয়ে হেঁটে কখনও বা দৌড়ে সবচেয়ে ছোট যে ছেলেটা স্কুলে যায় ওর নাম আলমানজো। বয়স ন' হয়নি। পায়ে তলাবিহীন 'মোকাসিন জুতো', কারণ বুট জুতো পরার বয়স হয়নি তার তখনো। এমনকি ছোট বলে সকলের খাবার পাত্রটাও বয়ে নিতে হয় তাকেই। ঠাণ্ডায় তার গাল দুটো আপেলের মতো আর ছোট্ট নাকটা টকটকে চেরী ফুলের মতো লাল দেখায়।


রুবিক'স কিউব

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২১/০৮/২০১৫ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কারো কারো ক্ষেত্রে মারফি’স ল যে কতটা কার্যকর উদাহরণ হতে পারে, তা আরো একবার প্রমাণিত হলো অক্সফোর্ড রোডের সেলুনগুলো রোববার বন্ধ থাকার মধ্যে দিয়ে। দু’তিন সপ্তাহের গড়িমসি শেষে যখন সময় এবং সম্মতি দুটোই জুটলো ওদের বাবা ছেলের কাকের বাসা, বাজারের ঝাঁপিসম চুলগুলো ভদ্রস্থ সমাজোপযোগী করার, ঠিক সেদিন মাইলকয়েক পথ হেঁটে এসে জানা গেলো গুণেগুণে কেবল সেলুনগুলোই আজ বন্ধ থাকবে, যদিও আশেপাশের অন্য সব দোকান বহাল তবিয়ত


অবয়ব

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/০১/২০১৫ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লম্বা শীতনিদ্রার পর স্কুল শুরু হলো ঢিমাতালে। উত্তরাঞ্চলের জানুয়ারির শীত মানে সত্যিকারের হাড় ফুটো করা ঠাণ্ডা। ক্লাশে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম, যদিও স্কুল চলে নিয়মমাফিক। নাহরিনের বাসা থেকে স্কুল ঘন্টাখানেক হাঁটা পথ। মিনিট দশেক পেরুলে অবশ্য বড় মসজিদ মোড়ে রিক্সা, অটোরিক্সা মেলে সহজেই। নাহরিন হেঁটে যেতেই পছন্দ করে। হাঁটা তার দীর্ঘদিনের অভ্যেস, প্রয়োজনও।

পার্থিব/অপার্থিব


ইবোলা যখন 'ফিয়ারবোলা'

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/১০/২০১৪ - ৮:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে রোজ না চাইলেও গুরুত্বপূর্ণ-অগুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়, নিত্যনতুন-বস্তাপচা তথ্য চোখের সামনে এসে হাজির হয়। তথ্য কখনো গল্প, গল্প কখনো রূপকথায় বিবর্তিত হয়, তাও চোখের সামনেই। ইবোলা নিয়ে এরকমই অদ্ভুত সব তথ্য, গল্প, রূপকথা শুনে শুনে, দেখে দেখে আমি হয়রান থেকে হয়রানতর। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই বিশেষত মিথ/ফিকশন ছড়াতে মানুষের কল্পনাশক্তির চমকে বরাবরের মত আমি অভিভূত!


মহামারী

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৩/১০/২০১৪ - ৪:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মহামারী আমার কাছে অজানা/অপ্রতিরোধ্য কোন জীবাণু সংক্রমণ নয়, এক স্পষ্ট অনুভূতি, অনন্তকাল বা কালচে পরিত্যক্ত এক বইয়ের প্রতিচ্ছবি। যা আমি এক রকম জোর করেই রাখি অন্তর্দৃষ্টির বাইরে। যার মলাটে আনমনে কখনো চোখ পড়ে গেলে গা শিউরে ওঠে, আপনা থেকে দ্রুত চোখ সরে যায়। যত্নের বুকশেলফ ঝাড়পোঁছের সময় কৌশলে স্পর্শ বাঁচিয়ে চলি - যেন উই-খাওয়া, ছেঁড়া পাতাগুলোর ভেতর ওঁৎ পেতে আছে ভয়ানক সে রোগের জীবাণু। আলতো এক ছোঁয়ায় আবার


সবিশেষ পার্টি বিত্তান্ত (বাকি অংশ)

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/০৭/২০১৪ - ১০:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবিশেষ পার্টি বিত্তান্ত

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৯/০৬/২০১৪ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“কিন্তু স্যার... পানি লাগবে কেন?”

আহসানের ছুঁচো প্রশ্নে মিঃ জামশেদের ভ্রু কুঁচকে আসে। পঞ্চাশোর্ধ বলিরেখায় চাপ পড়ে। চোখে-মুখে তাচ্ছিল্যের ভাব ফুটে ওঠে। এবং এসব কিছুর পরোয়া না করেই সে তাকায় আহসানের দিকে।