ভট্টাচার্যদের বটগাছে আবার সাধুবাবার আছর হয়েছে- সঙ্গে আছে কয়েকশ’ ভুত-প্রেত। ভুত-প্রেত কারো ঘাড় মটকায়নি। তবে মটকাতে কতক্ষণ! গাঁয়ের লোক তাই ভয়ে-আতঙ্কে তটস্থ। তাছাড়া ভয় পাওয়াটা আবহমান গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রারই অবিচ্ছেদ্য অংশ; মরণনেশা। আর এই নেশা নিয়েই নদীর ঘাটে চলে বিস্তর পর্যালোচনা।
নসরউদ্দিন চেয়ারম্যান ঠিক করেছেন এবার হজ্বে যাবেন। আল্লাহ তাকে দুই হাত ভরিয়ে দিয়েছেন। অঢেল টাকা-পয়সা, জমি-জিরাত, বহতুল দালান বাড়ি, ঝকঝকে গাড়ি, শানবাঁধানো পুকুর। তার এই যে শান-শওকত- সে নাকি পুকুর চুরির ফল। অন্তত কস্তুরী বেগম এ কথাটা তার মুখের ওপর প্রায়ই বলেন। অবশ্য আড়ালে আবডালে পাবলিকেও বলে। তবে সামনে বলার সাহস একমাত্র কস্তুরী বেগম ছাড়া কারো নেই।
সকাল সাতটা থেকে মণ্ডপের গেটে মিষ্টির হাঁড়িটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মল্লিক চন্দ্র। এখন বিকেল তিনটা। একটু ভেতরের ঢোকার অনুমতির আশায় অনেকের কাছে ধর্না দিয়েছে। কেউ ওর কথায় কান দেয়নি। আজ বিজয়া দশমী- মায়ের প্রস্থান দিবস। ওর দিকে ফিরে তাকানোর ফুরসত কোথায়!
টানা তিনদিন ল্যাবরেটরি ছেড়ে বের হননি ড.
এক