গত একটা বছর বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ছিলো পুরো দেশ। চারিদিকে আলোকসজ্জা। হৈ হৈ রব। রাস্তায় রাস্তায় যেখানে সেখানে শুটিং। নাচের তালে তালে গান...
ক্রিকেট ক্রেজি নেশনস, হাউ এক্সাইটিং, স্টেডিয়াম ওয়েটিং, টেনশান টেনশান
ঢিং ঢিটাং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং...
চার ছক্কা হই হই বল গড়াইয়া গেল কই
আমার কতো স্বপ্ন! কতো চাহিদা! শেষ হয় না আর... গত শুক্রবার এমনই এক স্বপ্নেরর প্রজেক্ট বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছিলো NAEM অডিটোরিয়ামে...যেখানে আমিই থাকতে পারি নি এবার। মনটা পড়ে ছিলো সেখানেই। সেদিন সারাদিন তাই স্মৃতিচারণ করলাম বসে বসে...
স্বপ্নের পথচলা...
২০১২ সালের এইচ.এস.সি.
কল্পনা করুন একদিন ঘুম ভেঙে আবিষ্কার করলেন আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না, চলতে পারছেন না। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানা গেল আপনি চিরতরে চলনক্ষমতা হারিয়েছেন। বাকি জীবন হুইলচেয়ারে বসেই যাপন করতে হবে আপনাকে। চলাফেরার জন্য অন্য কারুর সহায়তা তো লাগবেই, সেই সাথে আপনার বিচরণের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে আসতে বাধ্য। খুব জরুরি না হলে পাবলিক প্লেসে যাওয়া বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে এড়াতে চাওয়ার প্রবণতা শুরু
বছর ঘুরে আবারো আসছে বি-স্ক্যানের জন্মলগ্নের সেই দিনটি। ১৭ই জুলাই। সকলের ভালোবাসা-অনুপ্রেরণায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে বি-স্ক্যান এগিয়ে চলেছে তৃতীয় বর্ষপূর্তীর দিকে। প্রতিবারের মতোন এবারও বি-স্ক্যান এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে সর্বত্র সচেতনতার বীজ বপন করতে চায়। এবার ঠিক হয়েছে প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্যে পারিবারিক এবং সামাজিক সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনে নতুন প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা সৃষ্ট
ঝিম ধরা দুপুরের নিরবতা তোমার কেমন লাগে? হা হা হা... তোমাকেই জিজ্ঞেস করছি!? যার কাছে কিনা দুপুরের মানে জেনেছি! আজকাল আমার কাছে দুপুর মানেই তুমি। যেমন রুদ্রের কন্ঠে দুঃখু মিয়ার বিদ্রোহী আবৃত্তি। একটার সাথে আরেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যেনো।
“একটি হুইলচেয়ারের অভাবে কারুর জীবন থেমে আছে, কারুরবা নেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা!
এক টুকরো মেঘ ছুয়ে রোদ্দুরালোকিত হতে চেয়েছিলো মেয়েটি। আর দশজন মানুষের মতোন স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতাই যেনো তার জীবনের নির্মম অভিশাপ হয়ে দাড়ালো!
লিখতে ইচ্ছে হয় অনেক কিছুই কিন্তু কী-বোর্ডে আঙ্গুল চাপতে গেলেই ইদানিং পেশী শক্তি দেখাতে শুরু করে। তার চিৎকার-চ্যাঁচামেচিতে আমি অস্থির হয়ে মনে মনেই লিখে শান্তি খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ না বসে পারলাম না।
আজকের আকাশটাও সেদিনের মতোনই। সেই সকাল থেকেই রং বদলাচ্ছে আজো। সেদিন যেমন ঠিক সক্কাল বেলাটায় রোদ্দুর খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছিলো! ক্লান্ত দুপুর শেষে ধীরে ধীরে ধূসর মেঘরঙে ছেয়ে গিয়েছিলো প্রিয় আকাশটা। আর সন্ধ্যা না নামতেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।