শুরুতে স্নুজ বাটন চেপে চেপে ঘুম চালিয়ে যেতাম, এখন আর ওই কষ্ট করিনা। অ্যালার্ম বেজে ওঠা মাত্র বন্ধ করে দেই, তারপর যেসময়ের পর ঘুমালে ক্লাস বা মীটিং মিস হয়ে যাবে সেইসময়ে জেগে উঠে ব্রাঞ্ছ সেরে পিঠের ঝোলায় ল্যাপটপ আর বই পুরে হাটা দেই বাস-স্টপের দিকে। এভাবে দিন শুরু হয় সকাল দশটায় কি দুপুর একটায়।
ছোট শহর, হেটেই পুরোটা পাড়ি দেয়া যায়। ফ্রী বাস, আর রাস্তা যতই সুবেশা () বালিকাতে পরিপূর্ণ থাক ...
আবেগের খুচরা ব্যাপার গুলো সেরে ঢু্কলাম জিয়া, অধুনা হাসিনা এয়ারপোর্টে। বেকায়দায় পড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত পচিঁশ পার্সেন্ট বেশি ভাড়া দিয়ে ইত্তিহাদের টিকেট কিনেছি, তাই ভাড়া উসুল করার জন্য ব্যাকপ্যাকে প্রায় দ্বিগুন জিনিস ভরে এনেছি। কিন্তু ব্যাটারা পিশাচ, বাড়তি ওজন নিতে দেবেইনা, শেষ পর্যন্ত হাজার চারেক টাকা বাড়তি দিয়ে রফা করলাম। বাঙ্গালীর ছেলে, বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসা চিড়া-গুড়ত ...
বুয়েটে ফোর্থ ইয়ারের কথা। একমাস হল এক স্যারের ক্লাসে যাইনা। স্যার একদিন ডেকে পাঠালেন, তার জিজ্ঞাস্য হচ্ছে, আমি তার ক্লাসে যাইনা কেন? নিরীহ মুখ করে বললাম, “স্যার, আপনি তো আটটার পরে ক্লাসে আসলে ঢুকতে দেননা”। আসলেই ঘুম থেকে ৮.১৫ তে উঠে, দাঁত ব্রাশ না করেই তো আর ক্লাসে চলে যেতে পারিনা। এর চেয়ে পরের একঘন্টার ব্রেক সহ ৯ টা পর্যন্ত ঘুমানোই ভাল। সেই আমি, এখন অনেক তোড়জোর করেও সাতটা পর্যন্ত ঘু ...
ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করার জন্য তর সইছিলনা, কারণ সব ঝামেলা শেষ না হলে শেষ কয়টা দিন শান্তিতে কাটানো যাচ্ছেনা। ভার্সিটির তরফ থেকে ভিসা এলিজিবিলিটির প্রত্যায়ন (I20 ফর্ম) দরকার, সেটা এসে গেলেই দৌড়ে অ্যাম্বেসিতে ঢুকে যাই, এই হল আমার অবস্থা। কিন্তু I20 আর আসেনা। আমি ইন্টারন্যাশনাল অফিসে জিজ্ঞেস করার সাহস পাইনা, কারণ ওদের ওয়েবসাইটে খুব ভদ্র ভাষায় অভদ্র একটা কথা লিখা আছে, "তুমি মেইল করলে আমর...
গ্রেডশীট টা হাতে নিয়ে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ঢুকলাম বন্ধুর রূমে। তিনের সামান্য উপরের গ্রেডটা দেখিয়ে বললাম, দোস্ত এই দেশ আমার মুল্য বুঝলনা। এমনিতে আমাদের মতের হয়ত বিস্তর ফারাক থাকে, কিন্তু রেজাল্টের দিন আমরা ভীষণ রকম সহমত হয়ে যাই। বন্যার সময় যেমন এক বাধ্যতামূলক সাম্য বিরাজ করে, আমাদের অবস্থা ও দাঁড়ায় সেরকম। সে পূর্ণ সমঝদারির সাথে বলল, "আম্রিকা যাগা"। আমিও আম্রিকাতো চাইলে এখুনি য...