দ্বিতীয় পর্বে বলেছিলাম -
প্রতিটি জীব হল উচ্চমানের রাসায়নিক সিস্টেম যা নিজে নিজে অনুরূপ তৈরি করতে পারে বা 'স্বনবায়নক্ষম' (self renewable) এবং একটি দেহে (বা কোষে) নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে বা 'স্বয়ম্ভর' (self sustainable)।
গত ১১ই অক্টোবর ছিল বিশ্ব কন্যাশিশু এবং অ্যাডা লাভলেইস দিবস।
একজন পুরুষ কেন তার মস্তিষ্কের এক বিরাট জায়গা নারীর বুকে ঝুলে থাকা ঐ দুইটি পৃথুল, সুডৌল, স্নেহভরা থলীর প্রতি ব্যয় করে?
স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন নামে একটা চমৎকার স্কুল আছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনা করানোর স্বপ্ন নিয়ে এই স্কুলটা তৈরি করেছেন কিছু তরুন। আমার কয়েকজন বন্ধু জড়িত এই অসাধারণ কাজে। চন্দনাইশের এক পরিত্যক্ত চাবাগানের ধ্বংসস্তুপে গড়ে ওঠা এক গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলের প্রাণ। তারা আমাকে কিছু বিজ্ঞান প্রশ্ন করেছে। যেগুলি নিয়ে এই লেখা।
লেখাটার দুইটা উদ্দেশ্য -
দেহটা নিজের দখলে আছে ভাবলেও আমার শরীরে অসংখ্য এলিয়েন বা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের বসবাস। এই জীবগুলিকে ছাড়া আমি আসলে ঠিক আমি নই। তাদের নিয়ে একটি সাধারণ পরিচিতিমূলক লেখা।
আপনি কিন্তু শুধু মানুষ নন, আসলে আপনার দেহের বেশিরভাগটাই মানুষ নয়!