... অকস্মাৎ
পরিপূর্ণ স্ফীতি-মাঝে দারুণ আঘাত
বিদীর্ণ বিকীর্ণ করি চূর্ণ করে তারে
কালঝঞ্ঝাঝংকারিত দুর্যোগ-আঁধারে।
— নৈবেদ্য (৬৫), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্ফীতি একটা বুনো আগুন—একবার শুরু হলেই হলো, পুরো বন না জ্বালিয়ে থামবে না। আর বনটার যদি কোনো শেষ না থাকে? গুথ, স্তারোবিনস্কি এবং লিন্দে কহেন, মহাস্ফীতি'র (cosmic inflation) কারণেই নাকি আমাদের মহাবিশ্বকে অনস্তিত্বের বদলে অস্তিত্ব বেছে নিতে হয়েছে।
আজি যত তারা তব আকাশে
সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে।।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একদিন সূর্য মারা যাবে। তার নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবী যদি আদৌ টিকে থাকে তবে তার আকাশে আলোর খরা নেমে আসবে আর মানুষ সব এক চিরশীতের দেশে বন্দি হবে।
ধানের রসের গল্প পৃথিবীর—পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রূপ, বিশুষ্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না; কলরব করে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তীব্রতায়।
— জীবনানন্দ দাশ, সিন্ধুসারস (মহাপৃথিবী)
আজ থেকে ২০ বছর আগেও আমরা জানতাম না যে সূর্য ছাড়া আর কোন তারার গ্রহ রয়েছে। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তথাকথিত বহির্জাগতিক গ্রহ বা বহির্গ্রহ আবিষ্কৃত হতে শুরু করে। সম্প্রতি কেপলার পৃথিবীর সমান বা তার চেয়ে কিছুটা বড় গ্রহও আবিষ্কার করতে পারছে। আজকের হিসাব অনুযায়ী: আবিষ্কৃত মোট বহির্গ্রহের সংখ্যা ৭২৩। গ্রহ আবিষ্কারের সবচেয়ে কার্যকর এবং তথাপি জনপ্রিয় পদ্ধতি দুটি হচ্ছে অরীয় বেগ (radial vel
সেই ২০০৯ সালের জুলাইয়ে সচলে "আরেকটি পৃথিবী" নামে একটি ধারাবাহিক রচনা শুরু করেছিলাম। আজকে সেটা ঘাঁটতে গিয়ে মনে হল কতদিন পার হয়ে গেছে। যাহোক, দেরি করে হলেও সেই প্রাচীন ধারাবাহিক আবার শুরু করলাম এই লেখার মাধ্যমে। কারণ গতকাল যা ঘটেছে তার পরে সেটি শুরু না করলে অপরাধ হবে। গতকাল নাসা-র এইমস গবেষণা কেন্দ্র পৃথিবীতুল্য আকারের দুটি বহির্গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। বাসযোগ্য না হলেও এই ঘটনায় যথেষ্ট উৎফুল্ল
সিলেটের "বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিল" এর সদস্যদের মত নিবেদিত প্রাণ মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। সীমিত সুযোগের মাঝেও তারা যা করছেন সেটা রীতিমত বিস্ময়কর। সমাজে নাস্তিক, সংশয়বাদী, অজ্ঞেয়বাদী, নির্ধর্মী রা আছে এবং তাদেরকে নিজেদের পরিচয়ে প্রকাশ্যেই থাকতে হবে, লুকিয়ে থাকলে কিংবা নিজের চিন্তাধারা লুকিয়ে রাখলে কোন লাভ হবে না- যুক্তিবাদী কাউন্সিলের মাঝে এই চেতনা আছে। হয়তোবা অদূর বা স...
আরেকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছে আমাদের ওপর। ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাইতির রাজধানী পোর্ট আউ প্রিন্স ও আশপাশের এলাকা। ধারণা করা হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ পর্যন্তও হতে পারে, নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ৩০ লক্ষাধিক মানুষ এখনও ডেঞ্জার জোনে দিনাতিপাত করছে।
এ জীবনে হাইতিকে কখনও হাসতে দেখি নি। অন্য সব অনুন্নত দেশগুলোর মতোই ঈশ্বরের (উ...
আমাদের চেয়েও উন্নত কোন বহির্জাগতিক সভ্যতার সাথে যোগাযোগ হলে তাদের করা প্রথম প্রশ্নটিই হতে পারে, "তোমাদের কিভাবে জন্ম হয়েছে সেটা কি বের করতে পেরেছ?" আর ২০০ বছর আগে হলেও এই প্রশ্ন শুনে আমাদের লজ্জায় পড়ে যেতে হতো। ডারউইন এসে আমাদেরকে রক্ষা করলেন আর কি! ডারউইন-এর আগেও যে অনেকে বিবর্তন নিয়ে তত্ত্ব দেয়ার চেষ্টা করেন নি তা না। কিন্তু তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে পরিমাণ তথ্য-উপ...
কোন ক্লাস এর বইয়ে যেন আর্মস্ট্রং-অলড্রিন-কলিন্স এর চন্দ্রাভিযানের বর্ণনা পড়েছিলাম। সেখানেই প্রথম "শান্তির সাগর" নামটার সাথে পরিচয়। অ্যাপোলো ১১ চাঁদে "শান্তির সাগর" নামে একটা জায়গায় অবতরণ করেছিল। প্রথমবার পড়ার পর অন্য অনেকের মত আমিও ভেবে বসেছিলাম, এটা বোধহয় পৃথিবীর মত কোন সাগর। কিছুতেই মাথায় ঢুকছিল না, মাটি বাদ দিয়ে নভোযান কেন সমুদ্রের মাঝখানে অবতরণ করবে। সেসব কনফিউশন এর কথা ম...কোন ক্লাস এর বইয়ে য
আজ থেকে চল্লিশ লক্ষ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিসরা সূর্যগ্রহণ দেখে অন্য সব পশুপাখির মত ছুটাছুটি শুরু করতো। আজকের বিবর্তিত দিনের ঘটনা সেরকম হবে না। আজ সকালে নীড় থেকে খাবারের সন্ধানে বের হওয়া পাখিগুলো খাবার পেতে না পেতেই আবার নীড়ে ফিরতে বাধ্য হবে। সংশয়ী পাখিরা হয়ত এই আকস্মিক অপচ্ছায়া দেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে, ছুটোছুটি করতে থাকবে। কিন্তু আমরা স...আজ থেকে চল্লিশ লক্ষ বছর আ