শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ব্লগ

শাহরিক মানুষ কি বিচ্ছিন্ন দ্্বীপ?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ৩০/০৯/২০০৬ - ১২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গ্রাম নিয়ে আমাদের রোমান্টিকতা আছে। ফলে শহর সম্পর্কে আছে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব। শহরের মানুষদের একঘেঁেয়, অমানবিক, অবন্ধুসুলভ একটি ছবি আমরা তৈরি করি আমাদের বর্ণনায়। গ্রামের সোনার ছেলেটি শিক্ষার আলো পেয়ে শহরে এসে নাকি ভুলে যায় অতীত। হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন দ্্বীপ। তার মায়া-মমতায় ভাটা পড়ে, ক্রমশ: সে হয়ে উঠে যান্ত্রিক। এরকম একটা উপগল্প আমরা পাবো নিজেদের অভিজ্ঞতায়, গল্পে-উপন্যাসে এমনকি বিভিন্ন ফিচার ফিল্মে। কতটা এর সত্য? লন্ডনের মত কসমোপলিটান শহরের দোতলা ব


বাংলা ইউনিকোড ফন্টের জন্য অপেক্ষা ও আশাভঙ্গ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৭/০৯/২০০৬ - ৬:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই সাইটের শুরু থেকেই ইউনিকোড বাংলা ফন্টে লেখার প্রসঙ্গ এসেছে বার বার। এখানে অনেক কম্পিউটার প্রকৌশলী আছেন। তারা আমাদের জন্য বেগার খেটেও থাকেন প্রায়ই। বিভিন্ন রকমের কনভার্টার বানান তারা, আমরা ব্যবহারও করি। তাদের কাছেই অনুরোধ রেখেছিলাম ইউনিকোড বাংলার যদি একটা সমাধান করতেন তারা। যদি জব্বারীয় জটিলতা থেকে মুক্ত করা যেত বাংলা কি-বোর্ড আর কম্পোজিংকে।

শুধু ভাষাপ্রেম থেকে আমার এই দাবী ছিল না। বিদেশে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করি আমি। ফ্রি-ল্যানস। বিভিন্ন


বাংলা ইউনিকোড ফন্টের জন্য অপেক্ষা ও আশাভঙ্গ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৭/০৯/২০০৬ - ৬:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই সাইটের শুরু থেকেই ইউনিকোড বাংলা ফন্টে লেখার প্রসঙ্গ এসেছে বার বার। এখানে অনেক কম্পিউটার প্রকৌশলী আছেন। তারা আমাদের জন্য বেগার খেটেও থাকেন প্রায়ই। বিভিন্ন রকমের কনভার্টার বানান তারা, আমরা ব্যবহারও করি। তাদের কাছেই অনুরোধ রেখেছিলাম ইউনিকোড বাংলার যদি একটা সমাধান করতেন তারা। যদি জব্বারীয় জটিলতা থেকে মুক্ত করা যেত বাংলা কি-বোর্ড আর কম্পোজিংকে।

শুধু ভাষাপ্রেম থেকে আমার এই দাবী ছিল না। বিদেশে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করি আমি। ফ্রি-ল্যানস। বিভিন্ন


দোতলা ট্রেনে জিনিভা থেকে ইন্টারলেকেন:বৃষ্টি ভেজা পাহাড় আর ফিরোজা রংয়ের লেক

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ৯:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লন্ডনে দোতলা বাস খুব সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু দোতলা ট্রেন নেই। চারপাশের দৃশ্য দেখার জন্য দোতলা বাস-ট্রেনের জানালার পাশে বসার মজাই আলাদা। পাহাড় দেখতে হলে যেতে হবে ইন্টারলেকেনে। কিন্তু জিনিভা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। একটু ঘুরে রাজধানী বার্ন হয়ে যায় ট্রেন। যদিও শহর দেখে সময় নষ্ট করবো না সিদ্ধানত্দ নিয়েছি তবু ভাবলাম দুপুরের খাবারটা বার্নে সারি। টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরছে সকাল থেকে। আকাশ মেঘে ঢেকে আছে একথাটা সুইজারল্যান্ডের জন্য ঠিক প্রযোজ্য নয়। কারণ আমর


দোতলা ট্রেনে জিনিভা থেকে ইন্টারলেকেন:বৃষ্টি ভেজা পাহাড় আর ফিরোজা রংয়ের লেক

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ৯:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লন্ডনে দোতলা বাস খুব সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু দোতলা ট্রেন নেই। চারপাশের দৃশ্য দেখার জন্য দোতলা বাস-ট্রেনের জানালার পাশে বসার মজাই আলাদা। পাহাড় দেখতে হলে যেতে হবে ইন্টারলেকেনে। কিন্তু জিনিভা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। একটু ঘুরে রাজধানী বার্ন হয়ে যায় ট্রেন। যদিও শহর দেখে সময় নষ্ট করবো না সিদ্ধানত্দ নিয়েছি তবু ভাবলাম দুপুরের খাবারটা বার্নে সারি। টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরছে সকাল থেকে। আকাশ মেঘে ঢেকে আছে একথাটা সুইজারল্যান্ডের জন্য ঠিক প্রযোজ্য নয়। কারণ আমর


জিনিভার জলরং-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ১২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জিনিভা লেকের ওপারে পাহাড়ি এলাকায় হচ্ছে পুরনো জিনিভা শহর। সিঁড়ি ভেঙ্গে নানা কসরত করে পুরনো শহরের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাবারের খোঁজে। সবকিছুরই দাম এখানে একটু বেশি। লন্ডনের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের পাশের টেবিলে রাখা রম্নটির টুকরোগুলো নিশ্চিনত্দে খাচ্ছিল কয়েকটি চড়ুই। ওদের নিশ্চিনত্দভাব দেখে বুঝলাম এদেশে পাখির দিকে কেউ ঢিল ছোঁড়ে না। সেরকম কোনো আতংক বা সতর্কতা ওদের আচরণে দেখা গেল না। জিনিভা শহর তেমন বড় নয়, পুরনো শহরটা আরো ছোট। সেখান থেকে আমরা ফিরে আ


জিনিভার জলরং-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ১২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জিনিভা লেকের ওপারে পাহাড়ি এলাকায় হচ্ছে পুরনো জিনিভা শহর। সিঁড়ি ভেঙ্গে নানা কসরত করে পুরনো শহরের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাবারের খোঁজে। সবকিছুরই দাম এখানে একটু বেশি। লন্ডনের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের পাশের টেবিলে রাখা রম্নটির টুকরোগুলো নিশ্চিনত্দে খাচ্ছিল কয়েকটি চড়ুই। ওদের নিশ্চিনত্দভাব দেখে বুঝলাম এদেশে পাখির দিকে কেউ ঢিল ছোঁড়ে না। সেরকম কোনো আতংক বা সতর্কতা ওদের আচরণে দেখা গেল না। জিনিভা শহর তেমন বড় নয়, পুরনো শহরটা আরো ছোট। সেখান থেকে আমরা ফিরে আ


জিনিভার জলরং

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৯/২০০৬ - ৬:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সৈয়দ আলীর উসকানি দিয়েই শুরম্ন। দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন আমাদের এই ব্যতিক্রমী কথাশিল্পী। তিনি লিখেছেন, কল্পনায় যখন খাবে তখন পোলাও-কোর্মা ভালো, আর মনে মনে যখন বেড়াতে যাবে তবে জিনিভা'র লেকেই চলো। লন্ডনে পড়তে এসেছিই মনে ইউরোপ ভ্রমণের ইচ্ছা পুষে রেখে। এবার এলো সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ। প্লেনে মাত্র ঘন্টাখানেকের দূরত্ব। যাওয়ার সময় যদিও বাড়তি একঘন্টা যোগ হয়ে গেল জীবনে, ফিরে আসার সময় একঘন্টা ফেরত পাবো ভেবে নিশ্চিন্ত হলাম। নতুবা আমলনামায় ঘাপলা লেগে যেত। নামল


হ্যালো ফ্রম জিনিভা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ১৭/০৯/২০০৬ - ৪:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনেক কষ্টে ফোন করে হোটেল বুক করলাম ইন্টারলেক-এ। জিনিভা থেকে দু ঘন্টার ট্রেন। ওখানে লেক তো আছেই। কাছেই হচ্ছে ইউরোপের মাথা। উঁচু পর্বত। বুকিং করতে ইন্টারনেটে ঢুকেছিলাম। দেখি সামহোয়ারইনব্লগ শুধু পড়া যায় না, লেখাও যায়। সবাইকে সুইজারল্যান্ডের শুভেচ্ছা। ক্যামেরাটা বেয়াদবি করছে। সুতরাং ছবি উঠাচ্ছি কম। তবে এখন ক্যামেরার দোকানের দিকে হামলা করতে যাচ্ছি। দেখা যাক কি হয়!


হ্যালো ফ্রম জিনিভা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ১৭/০৯/২০০৬ - ৪:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনেক কষ্টে ফোন করে হোটেল বুক করলাম ইন্টারলেক-এ। জিনিভা থেকে দু ঘন্টার ট্রেন। ওখানে লেক তো আছেই। কাছেই হচ্ছে ইউরোপের মাথা। উঁচু পর্বত। বুকিং করতে ইন্টারনেটে ঢুকেছিলাম। দেখি সামহোয়ারইনব্লগ শুধু পড়া যায় না, লেখাও যায়। সবাইকে সুইজারল্যান্ডের শুভেচ্ছা। ক্যামেরাটা বেয়াদবি করছে। সুতরাং ছবি উঠাচ্ছি কম। তবে এখন ক্যামেরার দোকানের দিকে হামলা করতে যাচ্ছি। দেখা যাক কি হয়!