নানাবাড়িতে খুব ফূর্তিতে ছিলাম। আমার দুই মামা ও নানী যে কি মজার মানুষ তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মত না। মা ও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এত বন্ধুত হতে পারে সে ধারণাও আমার ছিল না। তারা নানা গল্পে-গুজবে, খাওয়া-দাওয়া আর অলস আড্ডায় সময় পার করে দেয়ার জমিদার। আরেকটা মজায় জিনিস ছিল তাদের। সবাই মিলে সিগারেট ভাগাভাগি করে ফুঁকতেন। আমার সময়ও কাটছিলো বেশ। আর মাঝে মাঝে যাচ্ছিলাম গন্ড কোনো গ্রামে বেড়াতে, কোনো বন্ধুর মামা-চাচা বাড়ি। এই সময়টাতেই আমার বাংলার দামাল ছেলে
ক্রেতা আমরা সকলেই। জীবন বাঁচাতে ও সাজাতে কেনা-কাটা লাগে না এমন সাধু-সন্তও আজকের বাজারে বিকায় না। কিন্তু তাই বলে বেচা-বিক্রিও কি সবাই করি। হ্যা, তাতেও সবাইকে হাত লাগাতে হয়। ফকিনি্ন থেকে রাজরাণী বিক্রেতার তালিকায় নাম পাওয়া যাবে সবার। কেউ বেচে ভিক্ষার চাল, কেউ হীরে-জহরত। তফাৎ এতটুকুই। কিন্তু কেনাবেচার যে ক্রিয়াকর্ম, তাতে হাত ময়লা করে সকলেই। তাইতো সচল এত অর্থনীতির চাকা। তবে কেউ কেউ হয়তো পেশাদার ক্রেতা। কম মূল্যে বেশি দামের জিনিস কেনাটাই তার পেশা।
ক্রেতা আমরা সকলেই। জীবন বাঁচাতে ও সাজাতে কেনা-কাটা লাগে না এমন সাধু-সন্তও আজকের বাজারে বিকায় না। কিন্তু তাই বলে বেচা-বিক্রিও কি সবাই করি। হ্যা, তাতেও সবাইকে হাত লাগাতে হয়। ফকিনি্ন থেকে রাজরাণী বিক্রেতার তালিকায় নাম পাওয়া যাবে সবার। কেউ বেচে ভিক্ষার চাল, কেউ হীরে-জহরত। তফাৎ এতটুকুই। কিন্তু কেনাবেচার যে ক্রিয়াকর্ম, তাতে হাত ময়লা করে সকলেই। তাইতো সচল এত অর্থনীতির চাকা। তবে কেউ কেউ হয়তো পেশাদার ক্রেতা। কম মূল্যে বেশি দামের জিনিস কেনাটাই তার পেশা।
স্কুলের বক্তৃতায় আমি যখন স্কুল ছাত্রদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকে নিন্দা করি তখন অনেকেই আমাকে বাহবা দেন। নামাজ পড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সাহিত্যের আসর, ইসলামী বই পাঠের নামে যে কোমলমনের কিছু শিশুর মগজ ধোলাই চলছে তাও তারা বুঝতে পারেন। তারা প্রশংসা করেন আমার এই হুইসেল ব্লোইংয়ের সাহস ও বুদ্ধির। আমার সতীর্থ ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কিন্তুআমার বক্তৃতার সাথে দ্বিমত পোষণ করে। আমার সবচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রকিবই সময় চেয়ে পাল্টা একটা বক্তৃতা দেয়। জামায়াত করা এক বিজ্ঞ
স্কুলের বক্তৃতায় আমি যখন স্কুল ছাত্রদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকে নিন্দা করি তখন অনেকেই আমাকে বাহবা দেন। নামাজ পড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সাহিত্যের আসর, ইসলামী বই পাঠের নামে যে কোমলমনের কিছু শিশুর মগজ ধোলাই চলছে তাও তারা বুঝতে পারেন। তারা প্রশংসা করেন আমার এই হুইসেল ব্লোইংয়ের সাহস ও বুদ্ধির। আমার সতীর্থ ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কিন্তুআমার বক্তৃতার সাথে দ্বিমত পোষণ করে। আমার সবচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রকিবই সময় চেয়ে পাল্টা একটা বক্তৃতা দেয়। জামায়াত করা এক বিজ্ঞ
মানুষ আশাবাদী। অন্যায়, অবিচারের যখন কোনো প্রতিবাদ দেখা যায় না তখন প্রচন্ড আশা বুকে বেঁধে মধ্যবিত্ত মানুষ উচ্চারণ করে, যখন মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে তখন কিছুতেই আর মানুষকে আটকে রাখা যাবে না। সে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্ত মানুষের পিঠ দেয়ালে গিয়ে আর ঠেকে না, সে ঘুরেও দাঁড়ায় না। অন্তত: আমার চোখে তা কখনও দেখিনি। বরং মধ্যবিত্ত মানুষকে দেখেছি নিজের চারপাশে দেয়াল তুলতে। আরো নিরাপদ, আরো সুকঠিন দেয়াল তুলে তারা নিজেরাই নিজেদের দেয়ালবন্দী
মানুষ আশাবাদী। অন্যায়, অবিচারের যখন কোনো প্রতিবাদ দেখা যায় না তখন প্রচন্ড আশা বুকে বেঁধে মধ্যবিত্ত মানুষ উচ্চারণ করে, যখন মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে তখন কিছুতেই আর মানুষকে আটকে রাখা যাবে না। সে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্ত মানুষের পিঠ দেয়ালে গিয়ে আর ঠেকে না, সে ঘুরেও দাঁড়ায় না। অন্তত: আমার চোখে তা কখনও দেখিনি। বরং মধ্যবিত্ত মানুষকে দেখেছি নিজের চারপাশে দেয়াল তুলতে। আরো নিরাপদ, আরো সুকঠিন দেয়াল তুলে তারা নিজেরাই নিজেদের দেয়ালবন্দী
মনের বন্ধু, প্রাণের বন্ধু, দরদীয়া বন্ধু ছাড়া দুনিয়া অন্ধকার। কিন্তু কে সেই বন্ধু? কারে মানুষ বন্ধু হিসেবে বেছে নেয়? কারে ছাড়া নিজের জীবন অচল হয়ে যাবে ভাবে মানুষ? এই বন্ধুর সংজ্ঞাটা কি সবসময় একই রকম থাকে? নাকি বদলে যায়। বন্ধুর জন্য মানুষের এই ভালবাসার গল্পই আজ করতে চাই। খুব বেশি বিরক্ত করবো না। মাত্র দু'টি গল্প শোনাবো। কঠিন কঠিন কথা শোনাই বলে বদনাম আছে আমার। আজ সেই বদনাম থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাই। আজ আমার তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। দীর্ঘ দাম্পত্যের আশা ক
মনের বন্ধু, প্রাণের বন্ধু, দরদীয়া বন্ধু ছাড়া দুনিয়া অন্ধকার। কিন্তু কে সেই বন্ধু? কারে মানুষ বন্ধু হিসেবে বেছে নেয়? কারে ছাড়া নিজের জীবন অচল হয়ে যাবে ভাবে মানুষ? এই বন্ধুর সংজ্ঞাটা কি সবসময় একই রকম থাকে? নাকি বদলে যায়। বন্ধুর জন্য মানুষের এই ভালবাসার গল্পই আজ করতে চাই। খুব বেশি বিরক্ত করবো না। মাত্র দু'টি গল্প শোনাবো। কঠিন কঠিন কথা শোনাই বলে বদনাম আছে আমার। আজ সেই বদনাম থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাই। আজ আমার তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। দীর্ঘ দাম্পত্যের আশা ক
পরশ্রীকাতরতা শব্দটি নাকি শুধু বাংলা ভাষাতেই আছে। বাঙালি পুরুষ নাকি পরস্ত্রীকাতরও। কার বউয়ের বয়স কম, রান্নার সাথে গানটাও ভালো করে সে আলোচনায় নাকি বাঙালি পুরুষের জুড়ি নেই। অন্য দেশে অন্য ভাষায় এরকম শব্দ না থাকুক আচরণ তো আছে নিশ্চয়ই। বাঙালি তো জাতিতে সংকর।
অস্ট্রেলিয়াতে একটি কথা আছে 'Tall Poppy Syndrome'। অজিরা গর্বের সাথে তাদের এই জাতীয় অভ্যাসের কথা বলে। বিভিন্ন দাগী আসামীর মানসিক চারিত্র নিয়ে গড়ে উঠা দেশ। অন্যের ভালো তারা বেশি সইতে পারে না।