মাস্টার্স শেষে অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যাওয়াটাই ছিল আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। ভেবেছিলাম দুর্দান্ত একটা ভ্রমণ-কাহিনী লিখে ফেলবো। আমার লাগেজে অতি প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়-ক্যাসেট-যন্ত্রপাতির সাথে বই ছিল মাত্রদু'টি। শঙ্খ ঘোষের 'ঘুমিয়ে পড়া এ্যালবাম' আর সুনীলের 'ছবির দেশে কবিতার দেশে'। অস্ট্রেলিয়ায় যখন গিয়ে পৌঁছালাম তার সাথে সাথেই বিমান ভ্রমণটা নিয়ে লিখে ফেলেছিলাম কয়েক পৃষ্ঠা। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। লেখার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।
ব্লাংলায় ব্লগ লেখা শুরু
মাস্টার্স শেষে অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যাওয়াটাই ছিল আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। ভেবেছিলাম দুর্দান্ত একটা ভ্রমণ-কাহিনী লিখে ফেলবো। আমার লাগেজে অতি প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়-ক্যাসেট-যন্ত্রপাতির সাথে বই ছিল মাত্রদু'টি। শঙ্খ ঘোষের 'ঘুমিয়ে পড়া এ্যালবাম' আর সুনীলের 'ছবির দেশে কবিতার দেশে'। অস্ট্রেলিয়ায় যখন গিয়ে পৌঁছালাম তার সাথে সাথেই বিমান ভ্রমণটা নিয়ে লিখে ফেলেছিলাম কয়েক পৃষ্ঠা। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। লেখার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।
ব্লাংলায় ব্লগ লেখা শুরু
পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতার যে অজুহাত দেন তা হচ্ছে অল্প বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধার অভাব ও দীর্ঘসময় ছুটিবিহীন দায়িত্ব পালনের একঘেঁয়েমি।
কোনো সন্দেহ নেই এই অভিযোগের অনেকটাই সত্য। তবে বাংলাদেশের অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। যেহেতু পুলিশের হাতে রয়েছে বাড়তি ক্ষমতা এবং সে ক্ষমতা প্রদর্শন করে জনগণকে হ্যস্ত-ন্যস্ত করা যায় সেহেতু পুলিশের অদক্ষতা চোখে পড়ে বেশি।
পুলিশকে আজকাল লাগানো হয় অনেক কাজে। অপরাধদমনের মূ
পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতার যে অজুহাত দেন তা হচ্ছে অল্প বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধার অভাব ও দীর্ঘসময় ছুটিবিহীন দায়িত্ব পালনের একঘেঁয়েমি।
কোনো সন্দেহ নেই এই অভিযোগের অনেকটাই সত্য। তবে বাংলাদেশের অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। যেহেতু পুলিশের হাতে রয়েছে বাড়তি ক্ষমতা এবং সে ক্ষমতা প্রদর্শন করে জনগণকে হ্যস্ত-ন্যস্ত করা যায় সেহেতু পুলিশের অদক্ষতা চোখে পড়ে বেশি।
পুলিশকে আজকাল লাগানো হয় অনেক কাজে। অপরাধদমনের মূ
বাংলাদেশের সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। সরকারী কর্মকমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিয়ে পছন্দমাফিক প্রার্থীকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে নিয়মিত। পুলিশ-প্রতিষ্ঠানও এর বাইরে নয়। বরং এখানে নিয়োগে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের পরিমাণ আরো বেশি। যেহেুতু এখানে চাকুরি পেলে, সমাজে প্রতিপত্তি বাড়ে, বাড়তি টাকা পাওয়া যায় সেজন্য এ বাহিনীতে কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক লোকের কোনো অভাব নেই। তারা বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই
বাংলাদেশের সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। সরকারী কর্মকমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিয়ে পছন্দমাফিক প্রার্থীকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে নিয়মিত। পুলিশ-প্রতিষ্ঠানও এর বাইরে নয়। বরং এখানে নিয়োগে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের পরিমাণ আরো বেশি। যেহেুতু এখানে চাকুরি পেলে, সমাজে প্রতিপত্তি বাড়ে, বাড়তি টাকা পাওয়া যায় সেজন্য এ বাহিনীতে কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক লোকের কোনো অভাব নেই। তারা বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই
দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর। কিন্তু প্রভুদের সাজানো প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা আজো সাজিয়ে নিতে পারিনি স্বাধীন দেশের প্রয়োজনমত। নিজেদের এই ব্যর্থতা আমরা চাপিয়ে দেই 'ঔপনিবেশিকতা'র কাঁধে। তবে একথায় কোনো মিথ্যে নেই যে বাংলাদেশের পুলিশ তার হৃদয়টি পেয়েছে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে। শুধু হৃদয় নয়, তার হাতের লাঠি, তার হাতের বন্দুক এসবই ঔপনিবেশিকতার ধারাবাহিকতা।
কি পার্থক্য এই দুই ধারার মধ্যে? স্বাধীন দেশে জনগণই দেশের মালিক। পুলিশ হচ্ছে তাদেরই ট্যাক্সের টাকায় বেতন পা
দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর। কিন্তু প্রভুদের সাজানো প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা আজো সাজিয়ে নিতে পারিনি স্বাধীন দেশের প্রয়োজনমত। নিজেদের এই ব্যর্থতা আমরা চাপিয়ে দেই 'ঔপনিবেশিকতা'র কাঁধে। তবে একথায় কোনো মিথ্যে নেই যে বাংলাদেশের পুলিশ তার হৃদয়টি পেয়েছে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে। শুধু হৃদয় নয়, তার হাতের লাঠি, তার হাতের বন্দুক এসবই ঔপনিবেশিকতার ধারাবাহিকতা।
কি পার্থক্য এই দুই ধারার মধ্যে? স্বাধীন দেশে জনগণই দেশের মালিক। পুলিশ হচ্ছে তাদেরই ট্যাক্সের টাকায় বেতন পা
পুলিশে যারা কাজ করেন তারা যথার্থই আঙুল তোলেন রাজনীতিবিদদের দিকে। তাদের বক্তব্য পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষমতাসীনরা ব্যবহার করেন। পুলিশকে নামানো বিরোধীদলের হরতাল, প্রতিবাদ ইত্যাদি ঠেকানোর জন্য। আইন, শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে প্রায়ই ছত্রভঙ্গ করতে হয় পুলিশকে। সেজন্য গুলিবর্ষণ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ এমন কাজগুলো করতে হয়। ক্ষমতাসীনদের ব্যক্তিগত স্বার্থ যেমন জমি বা বাড়ি দখলেও তাদের ব্যবহার করা হয়। মিথ্যা মামলা,
পুলিশে যারা কাজ করেন তারা যথার্থই আঙুল তোলেন রাজনীতিবিদদের দিকে। তাদের বক্তব্য পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষমতাসীনরা ব্যবহার করেন। পুলিশকে নামানো বিরোধীদলের হরতাল, প্রতিবাদ ইত্যাদি ঠেকানোর জন্য। আইন, শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে প্রায়ই ছত্রভঙ্গ করতে হয় পুলিশকে। সেজন্য গুলিবর্ষণ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ এমন কাজগুলো করতে হয়। ক্ষমতাসীনদের ব্যক্তিগত স্বার্থ যেমন জমি বা বাড়ি দখলেও তাদের ব্যবহার করা হয়। মিথ্যা মামলা,