এ মাটির কোথায় কত গহিন-গভীরে শুয়ে আছ তোমরা- কে জানে?
কোথায় গ্রথিত তোমাদের ছিন্নভিন্ন করোটি, আঙুল- অনামিকা
দীর্ঘ বাহু, প্রসারিত দৃষ্টি, দৃপ্ত পদপেক্ষ- জানি না, জানা নেই।
স্বাধীন বুকের জমাট-তাজা রক্ত কোন ধারায় মিশেছে- বানে
সত্যিই কি জেনেছি, আত্মার জমিন খুলে পড়েছি কি ইতিহাস?
হাজার নদীর বহমান স্রোতে রেখেছি কি কোনো অন্তরঙ্গ প্রতিজ্ঞা?
তবু বিশ্বাস করি, প্রতি বৃক্ষের শিকড় ছুঁয়ে আছে তোম...
হয়তো শুধুই বর্ণনা কিংবা রচনা হলো। হয়তো প্রবন্ধটির শিল্পগুণে সমৃদ্ধ হলো না। তবু কিছু লিখলাম তাঁকে নিয়ে। জীবন থেকে তিনি কী নিয়েছেন জানি না, তবে আমাদের দিয়ে গেছেন অনেক অনেক কিছু। ’আসছে ফাল্গুন আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো’ 'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসটি এমনই প্রত্যয় ঘোষণার মধ্যদিয়ে কী ভেবে শেষ করেছিলেন জহির রায়হান?-জানি না। তবে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্রকার এব...
তোরণের কথা বলিতেছি। ইহা অতিশয় তৈলাক্তহৃদয় উতসারিত একপ্রকার জলীয় ভালোবাসার বার্ষিক ফলাফল। তবে ইহার চরিত্রের মধ্যে পিচ্ছিল স্বভাব নাই। ইহা অতিশয় রূচিকর সুস্বাদু এবং আত্মীয়জাত প্রক্রিয়ার সংরক্ষণ করা হইয়া থাকে। রাজধানী, মফস্বল শহর কিংবা গ্রামের পথে-প্রান্তরে ইহাকে দেখিয়া মন মহামারীর চেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করিতে পারে।
পথে নামিলেই মনে হইতে পারে, তোরণ আপনাকে স্বাগত জানাইতে বুকে...
একটি গোলাপ খুঁজছি সারাদিন
বুদ্ধিদীপ্ত মেধাবী একটি সন্ত-গোলাপ
অসাম্প্রদায়িক কোন সিঁড়ির পাশে
যে আজও ফুটেছে নিজস্ব নিয়মে!
কোন মন্ত্রকের সরকারী বাগানে নয়
নয় কোন নেতার চিত্তের তত্ত্বাবধানে
কোন বিচারকের বাগানবাড়িতেও নয়
নয় কোন জাত অভিনেত্রীর আদর-যত্নে।
একটি গোলাপ খুঁজছি সারাদিন
টকটকে রক্তলাল তাজা একটি গোলাপ
যে সারাদিন তাকিয়েছিলো সূর্যের দিকে
পাঁপড়িতে জড়িয়েছে বিজয়ের আবাহ...
দশ তারিখ আছিলো আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধি দিবস। বিশ্বের কোথায় কি ভাবে কোন শপথে দিবসটি পালিত হইয়াছে তাহা আমার জানা নাই। গতবছরও দুর্নীতি সুচকে জিরো টলারেন্সের দেশ আছিলো ফিনল্যান্ড। এবার বোধ হইতেছে পাল্টাইয়া গিয়াছে। অথচ আমার এক বন্ধুর কাছ হইতে শুনিয়াছি, সেখানে মেয়েরা ছেলের ওপর চড়াও হইয়া থাকে। এটি অবশ্য দুর্নীতির মইধ্যে পড়িবে কিনা তাহাতে আমি যথেষ্ট অভিজ্ঞ নই।
আবার বেশ আগেই ...
ঠোঁট আর কাপ মিলিত হয়েছে ভাষায়-ভাঙনে বহুবার
চারপাশ থেকে উচ্চারিত হয়েছে শব্দ-চুকচুক, চাক-চাক
আবেনময়ী চাঁদবাঁকা সেই ঠোঁট আর কাপের দূরত্ব দেখি
দেখি তাদের- শীর্ণতায়, শুষ্কতায়- করিডর ও পাঠশালায়
খুববেশি হলে ঠোঁটের ছাপচিত্র মাখে কিছু রঞ্জিত পেলব
আর কাপের ধনাঢ্য শরীরে ফিরেআসা ঠোঁটের ধূম্রজাল।
ঠোঁট আর কাপ মিলিত হয়েছে দিনে-রাতে, ঝড়ে-বন্যায়
ঠোঁট আর কাপ বৃক্ষের বাঁকলের মতো করে...
ময়নার জন্য আজও মন কাঁদে। একদিন সে ছিলো আমার অতিবেশি। আমার উঠোন থেকে দু কদম এগিয়ে গেলেই ময়নার উনুন। উঠোন থেকে উনুন- বন্ধু পরম্পর। ছোট থেকেই ওর বেড়ে ওঠা দেখেছি। উদোম শরীরে ফ্রগচড়া দেখেছি। ওড়না চেয়ে সালোয়ারের দবীও শুনেছি। হাসি-কান্না দুটোর ভেতরেই হেঁটেছি আমি। আমরা যখন দুধকলায় সোমত্ত হয়েছিলাম ও তখন বেড়েছিলো পান্তা-লঙ্কায়। আমি যখন টই-টই করে ঘুরে বেড়াতাম। বৃষ্টিতে ভিজতাম। ঝড়ে আম কু...
এখনও কবিতায় আছি
একটু পরে গদ্যে যাবো
ফিরে যেতে যেতে তুমি বলেছিলে
ওখানে তোমাকে পাবো।
এখনও শিশিরে মাখামাখি
একটু পরে শুকাবে লতা
রোদপোড়া হলে দেখা হতে পারে
এমনই তোমার কথা।
সে হৃদয়বান ছিলো বলিয়া চোক্ষে কিছু ঠাহর করিতে পারে নাই। বিজ্ঞানে আলোচিত হইলে ইহা আরও স্পষ্ট হইয়া উঠিবে। আদম সন্তানের এতো বড়ো হৃদয় কত ছোট্ট খাঁচায় লাফালাফি করিতেছে। অনুভব করিতে পারিতেছে কিন্তু কিছুই দেখিতে পাইতেছে না। ইহাদের নিজেদের মইধ্যে কোন যোগাযোগ স্থাপিত হইতেছে না। আত্মীকরণের সূত্রও অধিকতর উম্মোচিত হইতেছে না। বরং সুযোগ পাইলেই চোখ আর আত্মা একে অপরকে দোষারোপ করিতেছে।
য...