অতএব সুমন রাজন মোহন
বন্ধু আমরা তিনজন
একটা গান ছিল পৃথিবিতে
এহনো মনে পড়ে স্ট্যানগান
উইড়া আহা ঝাঁক ঝাঁক গুলি
পাহাইড়া ও চইরা দর্শকগো সিটের তলে টুক পলান্তি
রেজ্জাক আলঙ্গীর ও শুহেলরানা
উয়া ঢিশুম উয়া ঢিশুম্মা হাহাহা
নানাবিধ হাসতামশা ও বন্ধুত্ব শ্যাষে
শত্রু হইয়া যায় একদিন চোক্খের পলকে
তাহাদে নিরুতিশয় গিয়ানজাম।
এ ওরে মারে কিম্বা মারবার নিগ্যা ছ্যাহার নগাল পিছ পিছ ঘুরে
এক ...
বলিভদ্রর অভদ্র দুকানদাররা আমারে কইল হুসনার বাড়ি তারা চিনে না
কিম্বা পিথিবিতে হুসনা বইলা কিছু নাই
তারা হাসান হুসেনের বাড়ি চিনে
কারবালার। টাইগ্রিস ইউফ্রেতিস না চিনলেও ফুরাত নদী চিনে
এজিদরে চিনে, আরো ভালো চিনে সীমার
তেমু কামার বাড়ির হুসনারে তারা চিনে না।
তাগো কতা শুইনা মুনে হয় আসলেই পিথিবিতে কুনো হুসনা নাই
হুসনা ছিল না। থাকপার পারে না।
আর অমনেই ঝেই কইরা
চোখের সামনে ফুইটা উ ...
বিকালের রোদ জমে আছে পৃথিবীর পাদুকায়
রাদুকার চপ্পল পরে হাঁটছেন হুমায়ুন হাশিম
আমি জানি লোকটা ফালতু নয়
কিঙবা ফালতুই। ডাল তরকারি দিয়ে ভাত মেরেছে কি মারেনি
সে তর্কে না যাই, তবে সাকুরায় বসে লোকটাকে একটা চিলড ফস্টার গিলতে দেখেছি
হুইস্কির পয়সা ছিল না বলে। এমনটি নয়, আসলে সে ফস্টারই ভালবাসে
যদিও লোকেরা তা মানে না। তারা জানে, হুমায়ুন হাশিম হুইস্কি পারে না
আরে নারে না, আমি তারে দেখে ...
টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে হাঁটু না ভেঙে উবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাই ছিল আমাদের চার ভাই বোনের জন্য বাবার বরাদ্দ সবচে’ ছোট শাস্তি। তৎসঙ্গে পুচ্ছে বিধ্বংসী ছড়িকাঘাত- এরচে’ ইকটু বড় ধরনের শাস্তি হিসাবেই পরিগণিত ছিল আমাদের কাছে।
তবে দু’পায়ের পেছন দিয়ে হাত গলিয়ে কান ধরে ভাইয়্যা ব্যাঙ সাজানোটা ছিল বাবার বরাদ্দ কঠিন শাস্তিগুলোর অন্যতম। কিংবা দেয়ালে দু’পা রেখে হাত দুটোকে পা বানিয়ে মাটিতে ...
অমিয় রাজা যখন ভর দুপরে কিংবা রাত দুপুরে ‘আমার খুব ভাল্লাগতাছে..আমার খুউব ভাল্লাগতাছে’ বলে গুঙিয়ে উঠতো, আমরা তখন বুঝতাম শালারপুতে হিরোইন খাইছে। সেইসব দিন বিগত হইয়াছে বহুকাল। এর মধ্যে বহু ডোনাডুনি ঘটে গেছে নিজেদের লাইফেই। তাই শ্যালকপুত্র অমিয় রাজা বেঁচে আছে কি নেই, আমরা তা জানি না। বেঁচে থাকলেই বা কী করিতেছে আর মরে গেলেই বা কী বিল্ব ছিড়িতেছে তাও না।
ফলে আমার খুব ভাল্লাগতাছে বলে ...
পিথিবির সবচেয়ে বাজে লুকটা এই মাত্র মারা গেলেন। উনি আমার বাবা ছিলেন। উনাকে আমি ভালবাসতাম না। উনিও আমাকে না।
শেষদিকে উনি বেলেহাজের মতো একটা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটর জন্য ঘুরতো। আমি নানাভাবে এইজন্য তাকে অপমান করেছি। কারণ একদিন এই লুক সার্টিফিকেট ছিড়তে ছিড়তে বলছিলন, চেনা বামুনের পৈতা লাগে না।
কালের পরিক্রমায় অতিচেনা বামুনও পৈতাহীন হলে অচেনা হয়ে যায়।
সত্য হল এই যে সত্য আসলে নাই। যে যার মতো সত্য বানায়। তাই পিথিবি জুইড়া এত মারামারি এত কাড়মাকাড়মি। আর এই কাড়মাকাড়মি মারামারিতে যার গলা ও উলের পুতায় জুর বেশি হেই হালায়ই জিতে। অন্যরা মাঠিতে গড়াগড়ি দিয়া হায় হুসেন হায় হাসান বইলা চিকির পাড়ে আর কাঁন্দে..উউউউউ।
ইয়ার পরে আসলে কতা চলে না। কিন্তু মানুষ যেহেতু প্রিয়তমা বউ ও ততোধিক প্রিয় পুলাহান মরিয়া যাওয়ার পরো বাঁচিয়া থাকে, তাই নানাবিধ গিয়...
ইনভার্সিটির জিগরি দুস্তরা আমার বাম কানেপশম মাইনা নিবার পারতাছিল না। তাগো ধারমা, আমি ফ্রন্টের ম্যায়াগো নগে প্রেম করবার নিগাই ফ্রন্টের পুলাহানগো নগে ঘুইড়া বেড়াই। নিজের সম্পর্কে এত বড় সত্য অফবাদ বাকি যৌবনে শুনুম কিনা সন্দ আছে।
কিন্তু লভ্যাংসের গুড় পিঁফড়ায় খাইয়া হালাইলো। ফ্রন্ট থিক্যা কুনো প্রেম কুড়াইতে পারলাম না। ফলে অন্য মক্কর ধরিতে হইল। জিগরি দুস্তগো নগে চব্বিশ ঘণ্টার বি...
সুমন চাইয়ের জেনেসিস হইল একটা মিন্সুক্যাট মার্কা বাঘ। যে কাড়মাইলে কুনো ব্যাদ্না পাউয়া যায় না। উফুরন্তু কীয়ের নিগ্যা জানি ভালো নাগে। এক ধরমের আনন্দ নিরানন্দকারে কানের গুর দিয়া খেলা করে।
সে সহসা হরিঙ্গের মান্সো দিয়া ভাত খায় না। কিন্তু হরিংরে ভালো বাসে। যারপরনাই। কারণ বিজ্ঞান হরিংকে ভালোবাসে না। বাঘকেউ ভালোবাসে না। তাই তারা বনের মইদ্যে গলাগলি ধইরা কান্দে। হুহু কইরা কান্দে।...
ওই দিনকার কতা খুব মুনে পড়ে। কালুর হইটাল থিক্যা সুমন চাটুজ্যের পসায় মুরগী দিয়া ভাত মাইরা সুখীভাবে বিড়ি টানবার নুইছি। মীর নুশারফ হলের স্যামনে। হঠাশ টিনাসপুট থিকা তিনডা সবুজ রঙ্গা বাস আইল, ঢাকা যাইবার নিগা। আর ওই বাসগুইনার একটার মদ্যে আইল আয়শা, ঢাকায় ছাত্র পড়িবার নিগা। এই ছিন দেইকা সুমন আয়শার জাংলার সামনে আইগিয়া গেল। আয়শা একটা হাত জাংলার ভিতর দিয়া বাইরে পাঠিয়া দিল। আর সুমন চাটুজ...