[justify]প্রায় ২ বছরের শীতনিদ্রার পর আবারো আলোচনার টেবিলে টিপাইমুখ বাঁধ। ২০০৯ সাল ছিল টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনার বছর। সেই সময়ের সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি, ভিডিও, আর প্রতিবেদনের ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন। ১৯৫৪ সালে যে পরিকল্পনার শুরু, ১৯৭৪ সালে তার বাস্তবায়নের স্থান নির্ধারণ, আর ২০০৯-এর দিকে এসে তার নির্মাণ কাজ শুরুর কথা ছিল। আমাদের সংসদীয় কমিটি ভারত সফরে থেকে ফিরে এসে সে সময় মন্তব্য করেছিলেন,
[justify]
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময়ে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি সম্পাদিত হলো না। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পানিসম্পদের জন্য এটি একটি দুঃখজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক খবর। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে গত ৪০ বছর ধরে, গঙ্গাচুক্তি হবার পর থেকে (১৯৯৬ সাল) তা বেগবান হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। বিশেষ করে গতবছর (২০১০) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের পথে অনেকদূর এগিয়েছিল দুই দেশ। যদিও শেষ মূহুর্তে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জানান, অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন, বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশের প্রধানমত্রীর ভারত সফরে এ ব্যাপারে কোনো চুক্তি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই, তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে সফরে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে [১]। এবছর (২০১১) মনমোহন সিং এর বাংলাদেশে সফরের সময় অবশ্য শেষ পর্যন্তও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন[২] তবে তা যে নিছকই দুরাশা ছিল সেটা বলাই বাহুল্য।
[justify]তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে মিডিয়াতে কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে দুই রকম সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল (সেপ্টেম্বর ১, ২০১১) প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ ২৪, ইত্তেফাক সহ আরো অন্যান্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে ১৫ বছর মেয়াদী অন্তর্বতীকালীন তিস্তা চুক্তি হচ্ছে যাতে ৪৬০ কিউসেক হারে পানির সঞ্চয় রেখে বাকি পানির ৫২ শতাংশ নেবে ভারত, ৪৮ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই সংবাদ মূলত কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার বরাত দিয়ে।এই '৪৬০ কিউসেক পানি সঞ্চয়' এই বিষয়টি ঠিক পরিষ্কার ছিলনা। প্রথমে মনে হয়েছিল যে এই ৪৬০ কিউসেক পানি নদীখাত সংরক্ষণে নির্ধারিত থাকবে, অর্থাৎ এই পরিমান পানি নদীতে সবসময় প্রবাহমান রেখে বাকী পানি ৪৮:৫২ অনুপাতে বন্টন করে নেয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আবার মনে হয়েছে এই ৪৬০ কিউসেক প্রবাহমান থকলে 'সঞ্চয়' প্রসংগটি কেন আসবে। ইত্তেফাক অবশ্য কিছুটা পরিষ্কার করেছিল, বলেছিল "এই ৪৬০ কিউসেক প্রবাহমান রেখে।"
[justify]
প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের আভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় পর্বে প্রটোকল নৌপথের ব্যবহারের সাম্প্রতিক উপাত্ত নিয়ে পরিসংখ্যানগত কিছু আলোচনা এবং সেই সাথে বাংলাদেশের নাব্যতা সমস্যা ও বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথের আলোকে তার সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি ব্যবচ্ছেদ থাকবে। প্রথম পর্বেই বলা হয়েছে, এটি প্রারম্ভিক আলোচনা। সুতরাং এই পোষ্টে সবার আলোচনা, সমালোচনা প্রত্যাশা করছি তবে তা অবশ্যই যুক্তি এবং উপাত্তভিত্তিক হতে হবে। ভারত-বাংলাদেশে সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা কিংবা একতরফা ভারত প্রীতি বা একতরফা ভারতবিদ্বেষী বক্তব্য এক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
[justify]
সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হয়েছে [৫]। এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে, তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। শুরুতেই পরিষ্কার করে নেয়া ভাল, এই চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। এই পোষ্টের আলোচনা মূলত চুক্তিটির একটি অনুচ্ছেদ নিয়ে (ধারা ২২) যেখানে বাংলাদেশ-ভারত এই মর্মে একমত হয়েছে যে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ ও ভারতের শীলঘাট নতুন ‘পোর্ট অফ কল’ স্বীকৃতি পাবে। এই চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারত ‘Inland Water and Transit and Trade (IWTT)’ নবায়ন করা হয়েছে। এই পোষ্টে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হবে যে বাংলাদেশ ভারত বর্তমান প্রটোকল নৌপথ সংরক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীসমূহের নাব্যতা সংরক্ষণ করা যায় কিনা। একই সাথে বলে রাখা ভাল যে এটি অবশ্যই প্রারম্ভিক আলোচনা, বিশদ বিশ্লেষণ এক্ষেত্রে আবশ্যক এবং তা অবশ্যই কারিগরী ভাবে করতে হবে।
[justify]একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে ২০০০ সাল থেকে। বাহান্নর ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে এই দিবস, একজন বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি সেইজন্য। আমরা বাংলাদেশী যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি তারা নানা ভাবে সাংস্কৃতিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিবসটিকে পালন করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু এর ব
[justify] হুগলী নদীর তীর ঘেঁষে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নির্মান করা ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে পূরাতন ও প্রধান বন্দর কলকাতা। ষাটের দশকে নদী থেকে বয়ে আসা বিপুল পলি বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধা সৃষ্টি করায় তার প্রতিকারে ভারত সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় ১৯৫১ সালে, যাতে গঙ্গা নদীতে ব্যারেজ নির্মান করে একটি বিকল্প খাল দিয়ে গঙ্গার পানিকে হুগলী নদীতে প্রবাহিত করে বন্দরের সঞ্চিত পলিকে স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সেই পরিকল্পনা পরিশেষে বাস্তবায়িত হয় ১৯৭৪-৭৫ সালে ‘ফারাক্কা ব্যারেজ’ নামে। ১৯৫১ সালে ফারাক্কা ব্যারেজের পরিকল্পনা প্রকাশের পর থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক, আলোচনা ও সংঘাতের অবসান ঘটে ১৯৯৬ সালে গ
[justify]একটি ভাষা শুধু তার সংস্কৃতির পরিচায়কই নয় বলতে গেলে ভাষাকে ঘিরেই গড়ে উঠে সংস্কৃতির অবকাঠামো।মানুষের আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, সামাজিকতা, চাল চলন, বিনোদন সেই অবকাঠামোটির একটা অবয়ব দেয় মাত্র।তাই ভাষার সমৃদ্ধতা যেমন সংস্কৃতিকে পরিপুষ্ট করে তেমনি ভাষার দৈন্যতা সাংস্কৃতিক দৈন্যতারই বহিপ্রকাশ।তবে বাংলাদেশে থেকে পহেলা বৈশাখে ছোটবেলায় বাবার সাথে সাতসকালে হালখাতা খেয়ে কিংবা যৌবনে রমনার বটমুলে এসো হে বৈশাখ গানের সাথে নববর্ষের সুর্যোদয় দেখে, বা পহেলা ফাল্গুনে বাসন্তি রঙের বসন পরে চারুকলার আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়ে যে বাংলা সংস্কৃতিকে অনুভব করতে পারিনি তা পেরেছি এই সংস্কৃতির বেদি থেকে থেকে হাজার মাইল দূরে এস
[justify]এই লেখাটি নগরায়ন বিষয়ক 'চল্লিশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ও পঞ্চাশ বছরের পরিকল্পনা' শীর্ষক থিমের উপর ভিত্তি করে গত ৩ জানুয়ারী ২০১১ তে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছে। সচলায়তনের নীতিমালা মেনে লেখাটিকে প্রথম পাতায় প্রকাশ করিনি তবে পরবর্তীতে তথ্যসুত্র হিসেবে কাজে লাগতে পারে বলে নিজস্ব ব্লগে রেখে দিলাম।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে। নতুন এই বিমানবন্দরের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ এবং এটির সংলগ্ন ‘বঙ্গবন্ধু নগরী’ গড়ে তোলা হবে। বেশ কিছু প্রাথমিক স্থান পর্যালোচনা করে সরকার নীতিগত ভাবে ...