বয়স্করা ডাকতেন গুলুবুবু। আমরা জানতাম নানির নাম গুলনাহার সরকার। এ খাস বাপের বাড়ি থেকে আনা নাম। সে আমলেও স্বামীর নামের শেষাংশ স্ত্রীর কুমারী কালের পদবীকে নাকচ করে দোর্দণ্ড প্রতাপে বসে যেতো। কিন্তু নানা এ নামটা অবিকৃতই রেখে দিলেন। সম্ভবত “সরকার” টাইটেলটার জন্যই। সে আমলে বেশ পয়সাওয়ালা না হলে সরকার পদবী হতোনা। নানির বাবা একরাম উদ্দীন সরকার বিস্তর পয়সা করেছিলেন ব্যবসাপাতি করে। নানার বাবা নাদের হোসেন ছেল
হত্যার প্রতিশোধের মতই মৃতের জন্য শোক প্রকাশ করাটাও আদিবাসীরা খুব জরুরি বলে মনে করে। অসুস্থ হবার সময় থেকে শুরু করে মৃত্যুর পর তার জন্য যথেষ্ট শোক প্রকাশ করা না হলে মৃতের আত্মা ভাবে তার আত্মীয় স্বজন তাকে যথেষ্ট ভালোবাসতোনা সুতরাং ক্ষুব্ধ আত্মা তখন তার জীবিত আত্মীয়-স্বজনদের জীবনে নানান ধরণের দুর্বিপাকের সৃষ্টি করে। অসুখ বিসুখে শিশুরা মারা যায়, পর্যাপ্ত শিকার মেলেনা, মাছধরায় ভাগ্য মন্দ যায়। সুতরাং কার
শুধু স্বপ্নই নয় আদিবাসীরা বিশ্বাস করে মানুষের দেহের অতিরিক্ত আত্মা বলে যে আরেকটা পদার্থ আছে তার প্রমাণ মাটিতে পড়া মানুষের ছায়া আর জলে প্রতিবিম্বিত হওয়া তার প্রতিফলন। এখন এই ছায়াশরীর হলেও আদিবাসীদের বিশ্বাস মৃতের আত্মাও ক্ষুধা-তৃষ্ণা থেকে একেবারে মুক্ত নয়। অস্ট্রেলিয়ার দিয়েরি ট্রাইবের মানুষেরা মৃতের কবরের ওপরে খাবার রেখে আসে। মৃতব্যক্তি ক্ষুধার্ত হলে যেন খাবারটা কাছেই পায় সে কারণেই এই ব্যবস্থা। শুধ
যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িকে সেই মৃত্যুরদিন বা ঠিক তার পরের দিন পর্যন্ত আমাদের এলাকায় মরার বাড়ি বলে । অন্য অঞ্চলেও সম্ভবত তাই বলে, অথবা অন্য কোন শব্দবন্ধে এই ভাবটাই হয়তো প্রকাশ করা হয়। বলার কথাটা হলো এই মরার বাড়ির অভিধাটা থাকা পর্যন্ত সে বাড়িতে রান্না নিষেধ। প্রথাটা এখনও অনেক জায়গাতেই পালিত হয়। আমার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে এই প্রথাটা বরাবরই পালিত হতে দেখেছি। আমার বাবা মারা গেলে আমাদের বাড়িতে দ
আফ্রিকার জুলুদের দেবতা উনকুলুনকুলু গিরগিটিকে ডেকে বললেন, গিরগিটি তুমি মানুষের কাছে গিয়ে তাদের বলো তারা মরবেনা, তারা চিরকাল বেঁচে থাকবে কিন্তু মৃত্যু হবেনা তাদের। কিন্তু অলস গিরগিটি চললো ঢিমে তালে পা ফেলে, তার উপর পথের মধ্যেই উবুকুয়েবেজানি গাছের পাকা বেগুনি রঙের ফল দেখে তাই খেতে শুরু করলো পেট ভরে। শুধু তাই নয় গাছের মগডালে চড়ে বসে নরম রোদে শরীর মেলে দিয়ে পড়লো ঘুমিয়ে। এদিকে দেবতা উনকুলুনকুলু ব্যাপারট
উঠোনের এক কোণেই দোতলার সিঁড়ি উঠেছে । সিঁড়ির নিচের ত্রিভুজাকৃতির খোপটাতেই খড়ির দু’টো চুলো। নানির সারাটা দিন কাটতো ওখানে বসেই। সকালের নাস্তা, দুপুরের ভাত, সন্ধ্যাতেই হয়ে যেত রাতের খাবারও। ভোরে ওখানে বসেই রুটি বেলতেন আর আমরা নানিকে কেন্দ্র করে অর্ধবৃত্তাকারে বসতাম নাস্তা করতে। গরম গরম রুটি চুলো থেকে সরাসরি কাঁসার থালায়। মাথার উপর উঠোনের অনেকটা জায়গা ধরে ছেয়ে ছিলো একটা পেয়ারা গাছের শাখা-প্রশাখা। বলধরা
মর্মর পাথরের মূর্তিটা অনেকদিন ছিল আমাদের শহরে। খুব বড়সড় কোন ভাস্কর্য নয়, একটা আবক্ষ মূর্তি। পথের ধারের এই মূর্তিটা রাজশাহী শহরে আসা যে কারো চোখে পড়েই যেত, কেননা এটা রাখা ছিল একেবারে রাজশাহীর হৃৎকেন্দ্র অর্থাৎ সাহেববাজারের ঠিক মোড়ের উপর।রাজশাহী শহরের নানা ভাঙ্গা গড়া, নানা পরিবর্তনের মধ্যে মূর্তিটা অনেক সময়ই বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সব সময়ই মূর্তিটা ছিল সোনাদীঘির মোড়ের উপরেই। আমা