নতুন একটা কমিক লাইনে হাত দিলো কালাইডোস্কোপ। শুধু গোয়েন্দাগিরি করলেই কি চলবে, একটু বিজ্ঞানের সাথে টিজ্ঞান লাগবে না?
অতএব এক ক্ষ্যাপাটে বিজ্ঞানীকে নিয়ে কিছু খসড়া আঁকিবুকি চলছে। বিজ্ঞানী প্রোফেসর দাদু, তার পড়শী দুই বিচ্ছু আর বিজ্ঞানীর পোষা রোবট রোবু ঠাকুরকে নিয়ে এগোচ্ছে গল্প।
সবাইকে নববর্ষের বালতি বালতি শুভেচ্ছা! আজ সবারই ফূর্তির দিন, ঝাকানাকা-কিংকু-বদরু কেন একে অন্যকে তাড়া করে বেড়াবে?
গোয়েন্দা ঝাকানাকার চেহারাটা অনেকে পছন্দ করতে পারেননি। অভিযোগ-অনুযোগ এসেছে। একটু নাকি বেশি পেকে গেছে বেচারা। চুল-ভুরু-মোচ সব সাদা। আরেকটু কাঁচা আর কচি গোয়েন্দা চাইছেন সবাই। কিন্তু বয়স কি আর চুলের রং দেখে বোঝা যায়? বদরুর মডেলকে দেখুন। ৮২ বছর বয়সেও পোস্টারভর্তি কালোচুল মাথায়। আর বয়স তো মনের ব্যাপার। ওখানে ঝাকানাকা বরাবরই মাসুদ্রানার মত চিরতরুণ।
কিন্তু ঝাকানাকার চেহারাটা এমন হতে গেলো কেন?
আজ কথা বলবো আমার প্রিয় নচ্ছাড় চরিত্র বদরু খাঁকে নিয়ে।
গোয়েন্দা ঝাকানাকা কমিকের আঁকার কাজ শেষ। রঙের কাজ শেষ পর্যায়ে। গত কয়েকদিন ধরে রং করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে ... এত রংবাজির পর কি আর পোস্ট লেখা যায়?
আজকে আর একটা মুণ্ডু না, কয়েকটা দেখাতে চাই। কমিক বইয়ের লেআউট আর টুকিটাকি নিয়ে কিছু কথা বলি।
গোয়েন্দা ঝাকানাকা কমিক সিরিজের প্রথম ইস্যু, "গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও জাদুঘরে চুরি রহস্য"-এ জাদুঘরের কিউরেটর চরিত্রটি নিয়ে অনেক চিন্তা করতে হয়েছে। আক্কাস আলি মৃধার দেখতে কেমন হওয়া উচিত?
সরকারী কর্মকর্তাদের বেশভূষার কিছু স্টেরিওটাইপ আছে। সেগুলোকে কমিকে ধরে রাখা জরুরি কি না, কিংবা ধরে রেখে কীভাবে গল্পের রসটা ফুটিয়ে তোলা যায়, এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে নানা ব্যক্তি আর চরিত্রের চেহারা নিয়ে ঘাঁটতে হয়েছে। আমলাদের ছবি সহজে পত্রিকায় আসে না, আরো ঘন ঘন আসা উচিত। আমাদের সরকারের কাজকর্ম যারা করছেন, তাদের চেহারা মানুষের নাগালে, কিংবা আরো ভালো করে বললে, গুগলের নাগালে থাকা জরুরি।