আঙুলের নখে একদিন খুব অবাক হয়ে খেয়াল করেছিলাম সাদা সাদা বিচিত্র আকারের সব আলপনা। ভয় পেয়ে মা'র কাছে ছুটে গেলে মা হেসে বলেন, " তোর জন্য উপহার নিয়ে উড়ে আসছে রঙিন প্রজাপতির দল।" মা আমার এমন করে কথা বলত যেটার মধ্য দিয়ে আমি এক একটা ছবি দেখতে পেতাম। প্রজাপতিকে আমি ভাবতাম একটা উড়ন্ত ফুল। অমন বর্ণিল একটা ফুল উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায় ফুলের বনে, তার দিকে শুধু তাকিয়ে থাকাটাও একটা আনন্দ। তাই তার প্রেমে পড়তে আ
ডিসেম্বরের মিষ্টি একটা বিকেলে যখন আমার রুমের পেছনের বাউবাব গাছের মাথা থেকে “ ইয়াহু” বলে বাতাসে লাফ দিয়ে পড়ে তুলোর মখমল-কোমল ফুলেরা তখন এক মুহুর্তের জন্য ভুলে যাই দুঃখের বিলাসী কবিতার পংক্তিগুলো।
তাওয়েলোরো
- বের্নার বাঁলাঁ দাদিয়ে।
সে ছিল চাঁদের মত সুন্দর, বাছাটি আমার !
তাওয়েলোরো রে! তাওয়েলোরো !
যাদুমনিরে, সে ছিল দিনের ঔজ্জ্বল্যের মত সুন্দর !
ওরে আমার তাওয়েলোরো! তাওয়েলোরো রে!
সে এক দীর্ঘ অতীতের কথা, যখন পশুপাখিরা কথা কইত, যখন মানুষ, পশুপাখি আর জড় বস্তু একে অপরের ভাষা বুঝতে পারত।
তাওয়েলোরো! তাওয়েলোরো !
বাউলে কাহিনী
-বের্নার বাঁলাঁ দাদিয়ে
অনেক অনেক বছর আগে শান্ত একটা লেগুনের কিনারে বাস করত আমাদের ভাইদের শান্তিপ্রিয় একটা গোত্র। তাদের যুবা পুরুষেরা সংখ্যায় ছিল অনেক, ছিল তারা মহৎ আর সাহসী। তাদের নারীরা ছিল রূপবতী আর সুহাসিনী। আর রূপশ্রেষ্ঠাদের মাঝে সুন্দরীতম ছিল তাদের রাণী, মহারাণী পোকু।
আয়োলের গান
- মারি ফেলিসিতে এবোকেয়া
বারান্দার এককোনার জবা ফুলের গাছটির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর অতনুর চোখ দিয়ে আপনা আপনিই কফোঁটা জল বেরিয়ে পড়ল। ফুলগাছটায় এখনও একটা ফুল বিকেলের সবটুকু আলোকে ম্লান করে দিয়ে হেসে হেসে এদিক ওদিক দুলছে। পরম মমতায় গাছটার গায়ে, পাতায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে অনেক কথা বলে যায় সে। সেই কবে এক শীতের ছুটিতে ডিসি হিল পার্কের বাহাদুর নার্সারি থেকে ছোট্ট একটা চারা কিনে এনেছিল, সেদিনের রোগা গাছটা আজ