কদম আলী পিৎসা ভালোই বানায়। শুধু পিৎসা না বেশ কয়েক ধরণের ইতালীয় পাস্তাতেও তার হাত পাকা। ফাব্রিৎসিও কাসিয়া রীতিমতো হাতে ধরে ইতালীয় রান্না শিখিয়েছেন। সে অনেক কাল আগের কথা। কদম আলীর তখন জার্মানীতে মোটে মাস ছয়েক।
রহিম বাদশা এখনো পোলাপান। দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করে উচ্চমাধ্যমিকের অপেক্ষায়। মোটামুটি গুছিয়ে এনেছে সবকিছু। তার মধ্যে এই লক ডাউন। সঠিকবেঠিক সবসময় সবাই বাড়িতে।
টেস্ট পেপারগুলি টেবিলের উপরেই ভৌগলিক অবস্থান বদলাতে থাকে। কাল থেকে পরীক্ষা শুরু হলেই ফাটিয়ে ফেলবে মেজাজ বাড়িময় ভন্ ভন্ করে। ঘরের মধ্যে ষোলগুটির কোর্ট বানিয়ে হাঁটে। হাঁটতে থাকে রহিম বাদশা।
কেন এ্যাতোকাল লিখি নাই,কী মনে করে আজকে লিখতে বসলাম,কেন সচলে লেখা প্রকাশের গতি অতিবৃদ্ধ জলহস্তির থেকেও শ্লথ ইত্যকার জাতীয় সহজ প্রশ্নের জবাব দিব না। আৎখা ঠাডা পড়ার মতো লিখতে মনে চাইল তাই লিখলাম। কথা এইখানেই শেষ।
এক
দশ বছর। বয়স বাড়ছে। দশকগুলি ছোট হচ্ছে। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই সেদিনকার কথা। কয়েকজন বন্ধু ব্লগার/ব্লগার বন্ধু ব্লগিঙের নেশায় সচলায়তন বানিয়ে ফেলল। অনেক অদেখা মানুষ বন্ধু হলো। অনেক পুরনো বন্ধু দূরে সরে গেল। ব্লগিঙের গতি বাড়লো কমলো সবই হলো। সব মিলে শেষ কথায় এসে সচলায়তন দশ বছর পার করে দিলো।
বানের জলে ভেসে যায় সবকিছুই। অজ্ঞাতও থেকে যায় সবকিছু মানে কতকিছু। তাতাথৈথৈ এর তালিখালিও ধরতে পারি নিখুঁত। শুধু ভেসে যেবার আগে কূলে কূলে আঁচড়ের দাগগুলি সবসময় রেখে যেতে পারি না। যারা পারে তাঁদের যেতে হয় হয় আগে। বাকিরা স্রোতের টানে পানাশ্যাওলার সাথে।
দেখতে দেখতে আটটা বছর পার করে নবম বছরে পা দিল আমাদের সচলায়তন। বাংলা ভাষায় কমিউনিটি ব্লগিঙের বয়সও প্রায় দশ। প্রথম দুতিন বছরে কয়েকটা ব্লগের মনোপলি, ঝাঁকে ঝাঁকে হুজুগে ব্লগের জন্ম-বিলুপ্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বগ্রাসী আগ্রাসন সব কিছু পেরিয়ে সচলায়তন বেঁচে আছে। আদর্শিক অবস্থান, ব্লগিঙের নিজস্ব অন্তর্নিহিত শক্তি, বেশ কিছু ব্লগারের স্রোতের বিপরীতে চলার ঘাড়ত্যাড়ামি, নতুন করে আরো কিছু ঘাড়ত্যাড়া ব্
গত সপ্তাহে মধ্য-জার্মানীতে ভূতুড়ে আবহাওয়া। এই রোদ এই বৃষ্টি এই তুষার। সেই তুষার আবার মাটিতে পড়তে পড়তে জল। রোদ একটু উঁকি দিতে না দিতেই অশ্লিল মেঘ। পরশু রাত থেকে একটু একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজকে দুপুরে বেশ ভালো। শীত থেকে পোলভোল্ট করে গ্রীষ্মে না গিয়ে অন্তত কয়েকটা দিন বসন্ত পাওয়া যাবে আশা করার মত।
১.
সবই প্রতিদিনের ঘটনা। আহার নিদ্রা পরিপাকের মত। ঘটনা ধরে ধরে আলাদা প্রতিক্রিয়ার কিছু নাই। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিছু না। চাপাতি চলছে কলমের বিরুদ্ধে কীবোর্ডের বিরুদ্ধে। বাংলা ভাষায় লেখালেখি বন্ধ করা শেষ লক্ষ্য। সেটা ব্লগে হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক আর ছাপা মাধ্যমে হোক। বাংলা ভাষার লেখালেখির জগতটা অনেকের জন্যই সমস্যার। কখনো ধর্মের নামে কখনো জাতিসত্ত্বা/জাতীয়তার হাস্যকর জটিলতায় কখনো প্রমিতভাষা/বিনির