নানা কারণে মনমেজাজ খারাপ। মোটামুটি তাৎক্ষণিক সমাধানের অযোগ্য সঙ্কটেই খারাপ। এরকম পরিস্থিতিতে বিষন্ন টাস্কিতে পড়ে থাকার বিকল্প নাই। তাই ছিলাম চুপচাপ পড়ে সন্ধ্যা থেকে। সচলায়তনে ঢোকা যাচ্ছে না। অসহায় অবস্থা জোরদার হলো। এর গুতাই তারে গুতাই। বিরক্তি বাড়ে। বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে নববর্ষে ঠিক কী যেন এক্টা পোস্টাতে চেয়েছিলাম সেই আইডিয়া বিলুপ্ত হয়। শেষমেষ জার্মান সময়ে নববর্ষ আসত...
৬৮.
ঘুম ভুলেছিলাম নিঝুম নিশিথে জেগে থেকে। তারপর জুলহাসের ডাকে চোখ খুল্লাম। খুলে দেখি লুসনিটা পন্ত জায়গামতো ঝুলছে। শুধু জুলহাসকে আর পাওয়া গেলো না। কিঞ্চিৎ জুলহাসপনা দেখা গেলো সহাস্য পলাতক পেলিক্যানের ঠোঁটে ...
৬৯.
এইসব বলে কোন লাভ নাই। ঠিক কোনসব বলে লাভ আছে সেটা আপাতত অস্পষ্ট হলেও একদিন্নাএকদিন স্পষ্ট হবে এরকম হরিহর মজমার চৌষট্টি ঘাটে একশত আঠাইশ বাড়ি স্পষ্টত: কোন কোন হাড়ি ফা...
কথা তাই যা মাথায় ঘোরে। বলতেই হবে এমন না। মাথায় যতকিছু ঘোরে তার একদুই চিমটি বলা হয়। বাকিটা ছ্যাড়াব্যাড়া পড়ে থাকে মগজের এখানে সেখানে। কোনটা বলার আর কোনটা হারাবার তার স্কেলের বেঁটে বেঁটে দাগগুলি বহুদিন মুছে গেছে। কখনো আন্দাজে দাগাদাগি করি বেশীরভাগ ডোন্টো কেয়ার।
যে কথাগুলি বলা হয় নাই তার কোন টোট্যালিটি নাই। থাকার কথাও না। থাকলে পরের কথাগুলি কখ...
উদ্ভট একটা ব্যারাম হয়েছে। হাতপা চাবায়। যেমনতেমন চাবানো না রীতিমতো কুচুরমুচুর করে চাবায়। কখনো মনে হয় ভোজপুরী পালোয়ান দিয়ে শরীর মালিশ করাই, কখনো মনে হয় স্পঞ্জের দাঁতওয়ালা কুমির দিয়ে হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালির আগ পর্যন্ত আনন্দদায়কভাবে চিবাই। কখনো নিজেই নিজের পা টিপি। কিছুক্ষণ টিপলে চোখ ভেঙে ঘুম পায়। আর এই সমস্যা হয় শুধু মাত্র একটু আরাম করে বসলে। ঠ...
কত সহজেই না রাজনীতির মারপ্যাঁচে ইতিহাসের দগদগে ঘা'কে আমরা ঢেকে রাখি। প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে ১৪ ডিসেম্বর এলে বিচার চাই বিচার চাই বলে আবার চাদর টেনে দেই। গ্যাংগ্রীনের পুঁজ মেখে সেই চাদর বহুদিন থেকেই তার বর্ণহীনতা খুইয়েছে। এখন চট করে বাইরে থেকে দেখলে একরকম ডেকোরেশন মনে হয়। বেশ চমৎকার মানিয়ে গেছে বর্ণাঢ্য ইতিহাসের শোকেজে। বছর বছর ঘোমটা খুলে কয়েক মুঠো...
বছর আড়াই-তিন আগে কোন একটা সেমিনারের শেষে ম্যাক্রো-সোশিওলজির প্রফেসার ড. হাইনৎস বুডে'কে আধুনিকতা আর উত্তরাধুনিকতার সহজ সংজ্ঞার্থ জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, "এই ব্যাপারগুলির আসলে কোন ডেফিনেশান নাই। উদাহরণ দিয়ে কিংবা উদাহরণগুচ্ছ দিয়ে বুঝতে হয়। আমার মতে সরলতম উদাহরণ হতে পারে এরকম: আধুনিকতা হচ্ছে প্রফেসারের লেকচার পছন্দ না হলে বের হয়ে চলে যাওয়া আর উত্তরাধুনিকতা হচ্ছে অপছন্...
দিনকাল এতোই খারাপ যে সচলায়তন থিকাও পলাইয়া থাকা লাগে। দেওয়াল খুঁজা বাদ্দিছিলাম এইসব থিকা মুক্তি পাইতে। কিন্তু ভানুমতির পেজগী আমার ঠিকুজি থিকা মুক্তি কথাটা গজব ডলা দিয়া মুইছা দিছে। তাই ডুবুডুবু লিখলাম কিছু হাবুদের তালপুকুরের পাড়ের সেই অসংস্কৃত ডালকুকুর মনে রেখে ....
নকিঙের ঠুক্ ঠুক্
দুর্মুখ ইনিংসে
হারানো সিসমোগ্রাফ
সপাপবিদ্ধ
আড়াআড়ি তাড়িপ্রবণ
ভূমিরেখা
ঠেকা দিয়ে রাখে
...
(এই সিরিজের শেষ পর্বটা আইছিল ২০০৭ এর ৩০ আগস্ট। দুই বছর পরে কোন সিরিজের পুনর্জন্ম পরবর্তী পাঠকদের বিভ্রান্ত না করার কোন কারণ নাই। কিন্তু আমার সিস্টেমটাই এইরক হইয়া খাড়াইছে। এরকম না হওয়াই ভালো। কিন্তু যা ভালো তা আমার হইতেছে না। হওয়ানো দরকার। মাঝে মাঝে খুব উদ্যোগটুদ্যোগ নেই। তারপর বুকডন দিতে গেলে দেখি পাখনায় ব্যাথা। ভেজিটেরিয়ান হইয়া যামু নাকি ভাবতাছি ........
পাঠকের মাইর না খাইতে আগ...
হিমুর বুদ্ধিমতো কবিতার শুরুতে কিছু ডিসক্লেইমার জুড়ে না দিলে দেখা যায় কাব্যদেবী ফ্রন্ট পেইজেই স্ট্রীপ টীজ চুড়ান্ত করে ফেলেছেন। গদ্যের ক্ষেত্রে এরকম হচ্ছে না। সমস্যটা হয় কবিতার নইলে কোন বাঘের নইলে কীজানি?
অনেকদিন কাব্যদেবী আঁখ মারেনি। আজ সন্ধ্যা নাগাদ গজব ব্যস্ততার এক ফাঁকে মেরে দিলো। আমিও ভাবলাম এসেই যখন পড়েছিস তখন ....কপালের উপর এক খাবলা ডিসক্লেইমার নিয়েই নাম......
...
সচলায়তনে লেখার মান নিয়ে নানান কথা হয়। সেইসব কথার সাথে আমার যে তেমন দ্বিমত আছে তাও না। বাজে পোস্টগুলির নমুনা দেখি। শঙ্কিত হই নিজের লেখাজোখা নিয়ে। বাংলা ব্লগিঙের শুরু থেকে কালিরামের ঢোল ফাটিয়ে নেচে চলেছি বলে কখনো ভাবতে চেষ্টাও করিনি পাঠকরা হঠাৎ একদিন "বল হরি" শুরু করলে কোন্দিক যাবো। এইসব ভাবনা কান টেনে চাঁদিতে ঠুয়া মারে। ঠিক কোন স্কেলে টিউন করত...