[শেলির 'অৌড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড' কবিতাটি ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। এখানে বাংলা রোম্যান্টিক যুগের ভাষা-শব্দ-চিত্রকল্প অনুসরণ করে কবিতাটি অনুবাদ করার চেষ্টা করা হয়েছে।]
১.
উদ্দাম ঈশানী ঝড়! আশ্বিনের প্রাণের নিঃশ্বাস
তোমার অদৃশ্য স্পর্শে উড়ে যায় ভয়ার্ত চঞ্চল
এখানে এমন গান, ঝরে পড়ে গোলাপের দল
ঘাসের ওপর পড়ে, এই সুর তার চেয়ে ধীর,
আলোছায়াময় রাতে গিরিপথে শিশিরের জল
তার চেয়ে এই গান আরো সুকোমল সুনিবিড়।
অপরূপ স্পর্শ আনে, সেই গান দুই চোখ জুড়ে
টেনে আনে ক্লান্ত ছায়া, ঝরাসময়ের সেই সুর,
অস্ফুট পাতার কলি ডানা মেলে দেখো বীজ ফুঁড়ে
অসীম আকাশ থেকে বয়ে আনে ঘুম সমধুর!
তুমি তো এখানে স্মৃতি শুধু নও, বাস্তবে আশাতীত,
তোমার উনুনে অঙ্গার হোক এবার আমার শীত।
শেকড় যেখানে সেখানে ফিরছি নভেম্বরের রোদে,
মেটে শালিকের বেনোজলে ভেসে খেয়ালি ক্লান্ত বোধে।
মদের বোতলে মাতালের থাকে
মৃতু্যর উল্লাস,
ছিপি খোলা হলে সংকেতে জাগে
চিনে বাসনের লাশ।
বিবমিষাময় ক্লান্ত নগরে
রজনীর চুল যতো,
তারও চেয়ে ঢের গিলেছো পাঁচন
রমনদূতের মতো।
ঘন নরম ঘাসের চারিদিকে গাছের সংসার
তৈরি করে দৃশ্য, ভোরের ফেনায় ভেজা রোদ্দুর
মেঘেরা স্নান করে কালো চুলের বিছানো পথে
সূর্যকে কাছাকাছি টেনে এনে বন্দী করে প্রেম
তরুণ ফলের চোখে ধরা দেয় উষ্ণ অক্ষর ...
পাঁজরের কবিতা
যে পাঁজর মেখেছিলো জাফরান রোদ
সে পাঁজর এখনো কি বাজায় সরোদ?
কবিতা তোমার ঠোঁট মরমী আঙুল
কবিতা জলের ফোঁটা করোটির ফুল।
ঝড়ের শুরুতে বাহুর বাঁধনে অগ্নিদগ্ধ ডানা
তোমার ওষ্ঠে আমার অধর, চুপ করে থাকা মানা
আদ্রর্ চঞ্চু অনূদিত হয় এ কোন প্রাচীন ভাষায়
ভাসতে ভাসতে আমরা ভিড়েছি প্রখর কীর্তিনাশায়।
মাঝে মাঝে শিলং পাহাড়ে এসে ঘর বাঁধে
চেরাপুঞ্জির অভিমানী মেঘ ... বিচ্ছিন্ন চোখের
পাতায় পরায় ভরা কাজলের রেখা, শুরু হয়
ঝলমলে নংক্রেম উৎসব।