মুগ্ধ আকাশ, দুগ্ধ কপোত তোমার ব্যাকুল হাতে
ঋতুবতী মেঘ, পাখির প্রবাহ, শালিকের গ্রহলোক
পালক পুকুরে টলোমল করে তোমার গভীর চোখ
তোমাকে একাকী উড়তে দেখেছি নক্ষত্রের রাতে।
জন কীটস-এর ‘Ode to a Nightingale’ বা ‘নাইটিংগেলের প্রতি’ কবিতাটি ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। প্রবল ইন্দ্রিয়কাতর ও রূপভারাতুর এই কবিতাটির মুখোমুখি হয়েছিলাম ২০০১ সালের মাঝামাঝি, তখন আমি শৈলশহর শিলং-এ; ‘অৌড টু এ নাইটিংগেল’ ছিলো উচ্চ-মাধ্যমিকের ইংরেজি ক্লাসে পাঠ্য। কবিতাটি সাথে আমার অনেক বিনিদ্র রাত কেটেছে।
হঠাৎ কালিম্পং! তুষারিত নদীটির তীর,
সেখানে লাবণ্যপ্রভা বসে থাকে অবসাদে একা
শেষের কবিতা রূপে সে বিষাদ হয়েছিলো দেখা
করুণ স্বপ্ন নিয়ে বুনে যায় আজো তার নীড়।
ভরপুর ঝরে পড়া ধাঁধাশীল ভালোবাসা তুই,
চেরাপুঞ্জির পথে ধাবমান নদীর ওপর
সন্ধ্যারা বাড়ি এলে পাখি পরে পাতার টোপর
চারফোঁটা নোনাজল সোনাঝরা আবেগী চড়ুই।
শঙ্খসাগরে উঠবে নতুন চর
অদূরে সূর্য সোনাঝরা লাল তিল,
আমাদের ঘিরে কাঁপবে রৌদ্রঝড়
বধির বিকেল তোমার ছোবলে নীল।
ঢেউয়ের সিঁড়িতে ঢেউ ভেঙে যাবে ক্ষয়ে
পাখিরাও যাবে সূর্যাস্তের বাড়ি,
রঙধনুমাঝে অষ্টমরঙ হয়ে
বন্যবাতাসে উড়বে তোমার শাড়ি।
নীলিমা-মাতাল মেঘেদের আনাগোনা
দু'পায়ে বাজাবো গীতবিতানের গান,
শরীরে ছড়াবো অজর রৌদ্রকণা
চুলে গুঁজে দেবো গুচ্ছ গুচ্ছ ধান।