একটি ডিজিটাল এস এল আর কিনবো, তাই সচলের ফটু বিশেষজ্ঞদের কাছে কিছু পরামর্শ চাইছি। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে কিংবা ক্যামেরা সম্পর্কে আমার ধারনা কিছুই নেই। তাই কোন মডেলটি ভালো হবে, কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের ক্যামেরাটি ভালো হবে বুঝে উঠতে পারছি না। ক্যানন, নাইকন, সনি এগুলোর নামই খালি শুনি আর জানি। কিন্তু এদের কোন মডেল কোনটা কার সমতুল্য, বা কোন মডেলটি আমার মতো নবিশদের জন্য ভালো হবে, বুঝতে পারছি না। কোন কোন ক্যামে
সতর্ক বাণীঃ লেখাটিতে ধর্মানুভুতিতেও আঘাত লাগার মতো বক্তব্য রয়েছে। আপনি যদি ধর্ম বিষয়ে সংবেদনশীল হোন তবে লেখাটি এড়িয়ে যাওয়াই আপনার জন্যে সুখকর হবে।
একটি মানুষের গড় আয়ু মানব সভ্যতার তুলনায় কতটুকু? কিছুই তো নয়। প্রায় সাড়ে চারশত কোটি বছর আগে সৃষ্ট পৃথিবীর বয়স কিংবা প্রায় চারশত কোটি বছর আগে উদ্ভব প্রথম প্রাণের কথা যদি চিন্তা করেন [১,২], দেখুন আমার বা আপনার জীবন এই মহাকালের তুলনায় কত ক্ষুদ্র। বাদ দিন কোটি বছরের হিসেব। ভেবে দেখুন আমাদের প্রথম পূর্বপুরুষদের কথা যাদের উদ্ভব আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ বছর আগে অথবা আজকের আধুনিক মানুষদের কথা যাদের উদ্ভব প্রায় দেড়/দুই লক্ষ বছর আগে [১,২]।- কোটি কোটি বৎসর থেকে লক্ষ বছরে নেমে আসলাম - তারপরেও কি আমাদের জীবন সেই তুলনায় এতটুকু বৃদ্ধি পাচ্ছে?
আমার গত লেখাটি ছিল ডিরেক্ট বা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র নিয়ে। মূল উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান রিপ্রেজেন্টেটিভ মূলক নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প কিছু চিন্তা করা। আজকে আরেকটি সম্ভাব্য বিকল্প নিয়ে আলাপ করবো তা হচ্ছে প্রপোর্শানাল বা সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা।
প্রথমে চিন্তা করি কেন আজকের এই আলোচনা। আমাদের দেশের প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে যে রাজনীতি আজ সব নষ্টদের অধিকারে চলে গিয়েছে। বর্তমান অবস্থাটি এমন যে রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না। প্রধান দু’টি দলেই আজ কালো টাকা আর পেশি শক্তি ওয়ালা ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি। রাজনীতিতে তারাই এখন সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। রাজনৈতিক দলগুলো এখন এই সব ব্যক্তির হাতে জিম্মি। এখন চলুন একটু চিন্তা করে দেখি বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থা কি এর সাথে কোন ভাবে সম্পর্কিত হতে পারে? রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে এই দুর্বৃত্তদের হাত হতে মুক্ত করতে কোন বিকল্প কি আছে?
গণ-আন্দোলন পৃথিবীতে কম হয়নি। সাধারণ মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে তখনই মানুষ রুখে দাড়িয়েছ। গণ-রোষ হয়েছে মিশরীয় সভ্যতায়, গ্রীক সভ্যতায়, মধ্য যুগে, রেঁনেসার যুগে, আধুনিক সময়ে, উত্তরাধুনিক সময়ে। কে জানে, হয়তো গণ-রোষ হয়েছিল আমাদের আদি মানব সভ্যতাগুলোতেও। কিন্তু প্রতিবারই সেই গণ-জাগরণের সুফল কেড়ে নিয়ে যায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। ধর্মের নামে নিয়ে যায় ধর্মাবতারেরা, বিশুদ্ধ রক্তের নামে নিয়ে যায় রাজারা। সাম্যের নামে নিয়ে যায় সাম্যবাদীরা, বুদ্ধির নামে নিয়ে যায় বুদ্ধিজীবিরা। পুঁজির নামে নিয়ে যায় পুঁজিবাদীরা, আর গণতন্ত্রের নামে নিয়ে যায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
ব্লগে সাধারণত ধর্ম আর অধর্ম নিয়ে তর্ক করি না। আমি একটা জিনিস মানি তা হলো প্রাপ্ত বয়ষ্ক একজন ব্যক্তিকে কোন কিছু বুঝানো সম্ভব নয় যদি না তিনি সেটা নিজে থেকে বুঝেন। তাই আমি যেটার চেষ্টা করি তা হলো নিজের জাজমেন্ট অন্যের কাছে চাপিয়ে না দিয়ে বরং তথ্য এবং যুক্তি গুলো তুলে ধরি, তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা অন্যের।
অন্যের বিশ্বাসে আমার আপত্তি নেই ততক্ষন, যতক্ষন তার বিশ্বাস আমার জন্যে অস্বস্থিকর না হয়। সমস্যা হলো যে যেকোন বিশ্বাস/ধারণাই হোক (সেটা ধর্ম হোক, গনতন্ত্র হোক, জাতিয়তাবাদী হোক, মানবতাবাদী হোক, বা নাস্তিকতাই হোক) সেটার কাজই হচ্ছে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু যে বিশ্বাস ন্যাচারাল সিলেকশনে উন্নতর সুবিধে প্রদান করবে মানুষকে, সে বিশ্বাসই পরবর্তী প্রজন্মে বেশি করে ছড়িয়ে যাবে এবং টিকে থাকবে। যে বিশ্বাসগুলো টিকে থাকায় বাড়তি সুবিধে প্রদান করবে না তারাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। যেমন হারিয়ে গিয়েছে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু জাতি। ধর্ম গুলো এর বাহিরে নয়।
অভিনন্দন হে মিশরবাসীগণ। টানা ১৮ দিনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর জনগণ তাঁদের জয় ছিনিয়ে নিল। অবসান গঠিয়েছে ত্রিশ বছরের স্বৈরশাসনের এবং জনগণকে উপহার দিয়েছে নুতন দিনের স্বপ্ন। যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৫ শে জানুয়ারী, তার পূর্ণ বিজয় আসলো আজ (১১ই ফেব্রুয়ারী) ঘন্টাখানিক আগে। মুবারকের পরিচয় এখন ক্ষমতাচূত্য একজন সাবেক স্বৈরশাসক। অথচ তার সামনে সুযোগ ছিল আরেকটু সম্মানজনক পরাজয়ের।
জীবনের উদ্দেশ্য কি? - এই প্রশ্ন মানুষের মনে প্রথম কবে আসে বলা মুশকিল। মানুষ যখন মূলত শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো তখন, নাকি যখন প্রথম কৃষিজীবি হয়ে উঠে তখন থেকেই এই প্রশ্নের উৎপত্তি। প্রশ্নের শুরু যখন থেকেই হোক সেই প্রশ্ন যে বংশপরম্পরায় আজো আমরাও বহন করে চলছি তার প্রমান পাই আজো সবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজা দেখে। এই প্রশ্নের পেছনে কোন একক নির্দিষ্ট জাতি শুধু সময় ব্যয় করেনি- বলা যা ...
এই সিরিজের আগের তিনটি পর্ব পড়া না থাকলেও এই পর্বটি বুঝতে কোন অসুবিধে হবে না। এই পর্যন্ত প্রথম পর্বে আমরা আলোচনা করেছি গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশ নিয়ে, দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করেছি নৈরাজ্যবাদ ও অভিভাবকতন্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গণতন্ত্রের সমালোচনা নিয়ে এবং তৃতীয় পর্বে আলোচনা করেছি গণতন্ত্রের কিছু তত্ত্বীয় বিষয় ও এর সীমাবদ্ধ...
এই পর্যন্ত প্রথম পর্বে আমরা আলোচনা করেছি গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশ নিয়ে এবং দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করেছি নৈরাজ্যবাদ ও অভিভাবকতন্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গণতন্ত্রের সমালোচনা নিয়ে। এই পর্বে থাকছে গণতন্ত্রের কিছু তত্ত্বীয় বিষয়, এর সীমাবদ্ধতা এবং সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা।
তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির যৌক্তিকতা কী?
আদর্শ রাজনৈতিক ব্যবস্থা অথবা আদ...
গণতন্ত্রের সমালোচনাঃ
এই পর্বে থাকছে নৈরাজ্যবাদ* (Anarchism) ও অভিভাবকতন্ত্র (Guardianship) এই দু’য়ের পক্ষ হতে গণতন্ত্রের সমালোচনা এবং সেগুলোকে খন্ডন করে লেখকের দেওয়া যুক্তি। এই দু’টি মতবাদ থেকে গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী সমালোচনাগুলো এসেছে।
নৈরাজ্যবাদীদের পক্ষ থেকেঃ
নৈরাজ্যবাদীদের চিন্তার মূলে হচ্ছে - যেহেতু রাষ্ট্র মাত্রেই বলপ্রয়োগকারী এবং য...