উজবেকিস্তানে রুটি ছুরি দিয়ে কাটা হয় না। হাত দিয়ে ছিঁড়ে নেয়া হয়। রুটির উপর ছুরি বা চাকুর ব্যবহার ভালো চোখে দেখা হয় না। এমন কি রুটি ছিঁড়ে নেয়ার পর উল্টো করে বা উপুর করে প্লেটে বা টেবিলে কেউ রাখে না। এটা দৃষ্টিকটু এবং রুটির প্রতি অবমাননাকর, অসম্মানজনক।
যাওয়ার কথা ছিলো দার্জিলিং। কিন্তু কপাল কখনো কখনো বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ে - ‘আমি আছি’। এখানে লেখা না থাকলে জোটে না অনেক কিছুই। কোলকাতায় সারাদিন ঘুরেও জলপাইগুড়ির ট্রেনের টিকেট পাওয়া গেলো না। এমনকি বাসের টিকেটও না। সাথের অন্যান্য ভ্রমণসঙ্গীরা আমার ভরসায় গালে হাত দিয়ে ব্যাকুল চিত্তে বসে আছে, হয়ত কিছু একটা ব্যাবস্থা করে ফেলতে পারবো। কোলকাতায় আমার এক বড়ভাই-বন্ধু আছেন – বাপ্পীভাই। তিনিও আমাদের সাথে ট্রেন টিকে
হর্নবিল উৎসবের চোখ জুড়ানো শতাধিক পার্ফমেন্সের একটি
এক. ভিসা, নাগাল্যান্ড, হর্ণবিল উৎসব ও আমরা পর্যটক কতিপয়
নিশুতি রাত। পাহাড়ি পথে গোধূলি টের পাওয়া যায় না, ঝুপ করে অন্ধকার নেমে আসে। গাড়ি চলছে সাপের মতো। একেঁ বেঁকে। হেড লাইটের আলোয় দেখতে পাচ্ছি পাহাড়ধ্বসের খাড়া কার্ণিশ। ঝাকুনি খাচ্ছি মাঝে মাঝে। দক্ষ ড্রাইভার নির্বিকার। সিডিতে বাজছে, পারদেশি... পারদেশি... জানা নেহি...মুঝে ছোড়কে...। কে জানে কোথায় বিপদ লুকানো!
ঘোর লাগা মন্থর দুপুর
পল্লবহীন একটা পথের শাখা
সাঁই করে সটকে পড়েছে খাগড়ার বনে
আনসার থেকে এফবিআই সকলেই
মুখ তুলে তাকালো অরণ্যে
কানখাড়াকরা সব ঘুঘুপাখি, না-মূক না-বধির তারা;
করতলে টলমল বিষাদ
ধবধবে কাশবনে টহলরত শরত
বাতাসের ম্যাজিক কার্পেটে পেতেছি শয্যা
ঝিমুনির প্রবল প্রতাপ সমগ্রজাতিময়
শরতের বারান্দায় টুল পেতে বসেছিলো গুরু হোরহে এ্যনড্রেডে
লাতিনের গল্পগুলো জমেছিলো বেশ
আজকে জাকার্তার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রী। সকাল থেকে তেতে উঠেছে রোদ। আকাশ নীল। এক খন্ড মেঘও নেই কোথাও। গাছের পাতাটি পর্যন্ত নড়ছে না। পাথর বসানো খোলা রাস্তার পাশ ধরে হাঁটতে গিয়ে মনে হচ্ছে রিফ্লেকটরের ওপর দিয়ে হাঁটছি। চামড়া পোড়া রোদ চতুর্দিক থেকে ধেয়ে আসছে।
আমারও ইচ্ছে করে তোমার মতো
হাওয়ার আঙুল ধরে হই স্বচ্ছল ঈগল
তারপর উড়ালের ঝাপটায়
ধাওয়া করি উত্তরাধুনিক মেঘ
একবিংশ শতাব্দির মানমন্দিরে
তুলে আনি প্রকান্ড শিকার;
ধারালো নখড়ে তাকে
করে তুলি লোভনীয় খাবারের স্তুপ
কিছুটা মেটাই ক্ষুধার জ্বালা
কিছুটা সঞ্চয়ে তুলে রাখি
বাকিটা সাজাই থরে থরে
ব্যপক বিজ্ঞাপণে
আমাদের প্রচলিত মেঠো পথে তারপর
সচেতন ফাঁদের মতো পেতে রাখি
রাষ্টবিজ্ঞানের এই গুঢ় থালা