কোন কথা নেই!
কেন সব শুনশান?
কারা ফিসফিস করে
চারপাশে?
কী এমন ভয়ঙ্কর?
কী এমন সর্বনাশ?
কী এমন ক্ষতি হলো দুনিয়ার?
কী এমন হারালো এই বাংলার?
প্রলয়ঙ্কর বাতাস
চিঠি নিয়ে এলো
কালো পায়রার পায়ে
চিঠি এলো
আরো চিঠি এলো
হাজারে হাজার
দক্ষিণের জানালায়
গরাদে গরাদে
সারাঘরে, দরজায়, কড়িকাঠে
খবর এসেছে সেই পাখিটার
যে পাখিটা ঝাঁপ দিয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাখা নিয়ে পিঠে
জন্মের পরেই মায়ের সবুজ বা ...
লিখবার খাতা হয়ে আছে রাতের আকাশ
শব্দ-নক্ষত্র অস্থির উদাসীন ধ্রুব ছায়াপথে
সোনালি বাতাসে অগ্রহায়ণের ধানের ঘ্রাণ ভাসে
সাদা কালো নীল মেঘ উবু হয়ে আছে ক্ষেতের উপর
আমারো অবশ সব, থিতু হয়ে আছে হাঁটুর বাকল
বুকের হাপরে ওম নাই, হিমেল কুয়াশা
কনকনে শীত চারপাশে
হৃদয়ে বড়শী ফেলে ঠায় বসে আছে জীবনের প্রখর শিকারী
বাতাসে পিদিম নড়ে, নড়ে অস্থি-মজ্জা
জমাট বাতাস ওত পেতে থাকে রাতের আড়ালে
থমথম করে ঝাউ গ ...
এখন সময় নেই কারো
ইঁদুর-দৌড় ধাওয়া করে খুলির ভেতরে
দরজায় কড়া নাড়ো
আমরা ঘরে নেই কেউ
জেগে ওঠে আনসারিং মেশিন
অথবা কুকুরের ঘেউ ভাঙে নিস্তব্ধতা
এ যাত্রা মেসেজ রেখে যাও
দারুন আকাল আজ হৃদয়ের ভেতর-বাহির!
আমার এখানে এখনো মাঘের শীত আর
মাথার ওপর বিস্ফোরিত মহাকাশ
ধুমেকতু ভাঙে হঠাত তমসা
বিমানের প্রোপেলার ভাঙে মেঘের বিন্যাস
ভাঙা চাঁদ আধখানা জেগে ওঠে মাঠের কিনারে
অগাধ সময় সজাগ এখানে
প্র ...
একা একা বেসামাল হাঁটা আর ভালো লাগেনা
মন তুই ফিরে আয়, চল যাই শেকড়-বাড়ি
নাটকের দৃশ্যপট খাপছাড়া লাগছে কেন?
বলতে পারিস কিছু? টু ওয়ান ক্যামেরা রোলিং...
মেঘের আড়াল থেকে পার হলো কত পূণিমা?
কত বসন্তের পাতা ঝরে গেছে তুমুল শীতে?
পৃথিবীর সব কালি শেষ হয় হিসেব কষে
ষাটের দশকে বড় আধ্যাত্মিক হয় জীবন
হিসেব মেলে না কিছুতেই - অংক জটিল
আমাদের সেই ভালো বেহিসেব ডাংগুলি খেলা
দর কষাকষি নাই, চোখে নেই মোটা ...
এভাবেই সাক্ষী হয় সময়! তখন সন্ধ্যার সময় হয়েছে বলা যায় গোধূলী পেরিয়ে সবকিছু নিভে গেছে তখন বৃষ্টির পালা শেষ হয় হয় তখন হাতের মুঠিতে আমার একটা কদম নিস্তেজ সবুজ কিছু ডালপালা আরো হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত তবু পথের অনেক বাকি... যখন পথটা হঠাত থমকে দাঁড়ালো তখন তোমার বাড়িতে এতো উৎসব জ্বলে নেভে বাড়িতে সানাইয়ের এতো সুর! আমার অনেক অনেক দেরি হয়ে গেছে... তখন হাতের মুঠিতে আমার অনেক অন্ধকার
দীর্ঘ দীর্ঘ খরা অনাবৃষ্টি খরতাপে মাঠ খা খা
বেঁচে-বর্তে বেঁচে থাকা - এও এক অবিনাশী নেশা
ভুলে যেতে হয় সেই সব রক্তিম সকাল শিশিরের ভেজা মাঠ
ভুলে যেতে হয় প্রিয়তম মুখগুলো প্রতিায় জানালার গরাদে
লাউ লতা পোড়ে তাপদাহে, ঘুঘু পাখি ডাক দেয় পেয়ারার ডালে
শূণ্য শূণ্য দুপুরেও আমি থাকি আপদমস্তক কর্পোরেট-পাথরাবৃত
যেহেতু গা-সওয়া হয়ে যায় সবার, আমারও তাই হয় বৈকি
ব্যবসা ভালোই চলে ছাই-মেঘ আকাশ-পাতাল ...
দেশের দৈনিক আছে যত কেন হয়না সব বন্ধ
সারাপৃষ্ঠা জুড়ে ব্যথা কান্না ময়লা আর দুর্গন্ধ
পড়তে পড়তে বেদনায় ভারাক্রান্ত হই
এ শরীর পঙ্গু হয়ে যাক আমি অন্ধ কেন নই
সব কিছু দেখে যাই সব কিছু শোনে এই কান
হাত পা নিশপিশ করে মুখে ওঠে খিস্তির তুফান
আমি কেন দেখতে পাই সবকিছু কেন শুনি
গুনীজন মার খান রাস্তায় ললিপপ চুষে খান উনি
ক্যামেরা ধরলেই কথার তুবড়ি ছোটে জনতার সম্মুখে
সকলে দখেতে পাই - মাছি ভন ভন ...
মোরগফুল বলে একটা অদ্ভূত ফুলগাছ ছিলো ছেলেবেলায়
‘ঐ দেখা যায় তালগাছ’ পড়ার বয়সে ফুলগাছটা ছিলো
পড়ার টেবিল বরাবর জানালার কাছে
প্রতিদিন জানালার গরাদে আমি ওর উচ্চতা মেপে রাখতাম
শিক বেয়ে প্রতিদিন একটু একটু উপরে ওঠতো সে
তরতরিয়ে লকলকিয়ে আলোর সাথে পাল্লা দিতো
সারাটা সকাল বাংলা বই নিয়ে ঠায় বসে থাকি
বাতাস এলেই মোরগফুলের পাতাগুলো নড়ে
কবিতার আট লাইনও মুখস্থ হয় না সারাদিনে
স্কুলের বারা...
তুই কাছে আসলেই আমার জগত কেন বৃষ্টিময় হয়ে ওঠে?
বুকের ভেতর ফিসফিস শুকনো পাতার ঝর ঝর শব্দ
আসমান ফালি ফালি করে শিহরিত বিজলির ফলা
বৃষ্টি বৃষ্টি দু’কূল ছাপিয়ে ওঠে বেসামাল জলরাশি
তুই কাছে আসলেই গা ছম ছম একলা আমার ঘর
এই বুঝি কেউ কলিংবেল বাজালো হঠাৎ
জানালার পর্দাগুলো ওড়াউড়ি করে আকাশ পাতাল
কার্নিশের বেড়ালটা আচমকা ম্যাঁও করে দৌড়ে পালায়
তু্ই কাছে আসলেই শুকনো পদ্মায় সুনামি আঘাত হানে...
আজ আর বলবার মতো কিছু নেই
বলার যেটুকু ছিলো সেই অস্তমান আকাশের নিচে
গোধূলির ধূলিকণা সাক্ষী রেখে তাকে বলেছিলাম
তাকে বলেছিলাম - বাতাসের বর্ণে লেখা পুকুরের জলের ভাষায়
তখন উত্তরা বাতাসে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে কালো তরবারির মতো
ঝুলছিলো ফলগুলো
তখন আলোর আভাস পেয়ে মাটির ভেতর কেঁপে উঠেছিলো
সর্ষের নরম শেকড়
তখন সন্ধ্যা ঘুমিয়ে পড়েছিলো
নির্জন মাঠের উপর থমকে থাকা গেওয়া গাছটার নিচে -
যার ...