আঁকিবুঁকি তেমন পারিনা। তবে ক্লাস করার সময় পেছনের বেঞ্চে বসে খাতা ভর্তি করে ডুডল আঁকতাম। কয়েকবার ধরা পড়ে শিক্ষকদের কাছে ডলাও খেয়েছি। আঁকটোবর এর প্রথম দুটি বিষয় মিস করে গেছি। তাই অফিসের গাড়িতে মহাখালীর মরণ জ্যামে বসে বসে একটু পুরনো অভ্যাস ঝালিয়ে নিলাম। আমার একটা বিড়াল ছিল, মিনি। রিকশার নীচে পড়ে মরেছিল। একটা কুকুর পুষেছিলাম স্কুলে থাকতে। কোথায় যেন চলে গিয়েছিল, খুঁজে পাইনি। ভার্সিটিতে পড়ার সময় ল্যাব থ
কি লিখব বুঝতে পারছি না!
"The more things remain obscure and mysterious, the more they interest me. I even try to find mystery in things that have none."-
Patrick Modiano
____________________________________________________
অনেকদিন আগে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের “বদলি মঞ্জুর” নামে একটি ছোট গল্প পড়েছিলাম। করুণ সেই গল্পটি মনে দাগ কেটেছিল। এরপর তাঁর আরো কয়েকটি ছোটগল্প পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কল্লোল যুগের প্রতিনিধি এই সাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালকের আর কোন গল্প কিংবা উপন্যাস পড়া হয়নি। দেখা হয়নি তাঁর কোন চলচ্চিত্র। সেদিন বইয়ের দোকান গুলিতে ঢুঁ মারতে মারতে হঠাৎ দৃষ্টি চলে গেল তাঁর নামাঙ্কিত একটি বইয়ের দিকে।
এবার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ধুলো লাগা সব বইপত্তর ঝেড়ে ঝুড়ে রাখছিলাম। আমার ছোটবেলার পুরনো বইয়ের আলমারি থেকে শুধু পুরনো বই নয় হাবিজাবি নানারকম জিনিস বের হচ্ছিল। আমার পেপার কাটিং জমানোর খাতা, স্টিকার জমানোর খাতা, সবুজ রঙের ভাঙা ইয়ো ইয়ো, কলেজের বায়োলজি ডিসেকশন বক্স আরো কত কি!
আমার প্রিয় লেখক আমার বাড়ির কাছেই থাকেন। মাঝে মাঝেই ওঁকে দেখি আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে সকালবেলা দৌড়ে যেতে। ওঁর পরনে থাকে লাল রঙের একটা ট্র্যাকসুট আর পায়ে সাদা রঙের কেডস।
গ্রাম্য শীতের সকালের কেমন যেন একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। হালকা কুয়াশায় সেই গন্ধ মিশে থাকে। মিশে থাকে মেঠো রাস্তার উপর পড়ে থাকা হলদেটে সবুজ পাতায় লেগে থাকা শিশিরে। এই গন্ধ ভর করে ফসলের ক্ষেতে কাকতাড়ুয়ার মাথার উপর বসে থাকা দোয়েল অথবা লেজ ঝোলা ফিঙের ডানায়। ভোরের প্রথম আলোতে যে কৃষক পরম মমতায় হাত বুলায় তাঁর সাধের ফসলে, এই গন্ধ মিশে থাকে তাঁর ধূসর রঙের চাদরে। এই গন্ধ বসত গাড়ে বাঁশ ঝাড়ের শিশিরে ভেজা পাতায় আ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের ঘটনা । বেড়াতে গিয়েছিলাম দক্ষিণ ফ্রান্সের ছোট্ট বন্দর লা সিয়েতায় । সমুদ্রের ধারে একটা নতুন জাহাজ ভেড়ানো ছিল, তার পাশেই চলছিল একটা মেলা । মেলার ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা বেশ উন্মুক্ত স্থানে এসে পড়লাম । ওখানেই দেখতে পেলাম একটা মূর্তি। একজন ফরাসী সৈনিকের ব্রোঞ্জের মূর্তি । মূর্তিটির চারপাশে অনেক মানুষ । আগ্রহী হয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম । এবং সামনে গিয়ে চমৎকৃত হলাম । ও
আমি ওদেরকে দেখে থেমে গেলাম।
এই নির্জন শুনশান রাস্তায় একটা দোকানের শাটারের সামনে ওরা কিছু একটা করছে।
মনে হচ্ছে ওরা শাটার খোলার চেষ্টা করছে। তবে শাটারটা বেশ ভারী আর মজবুত। তাই বেশ বড়সড় একটা শাবল ব্যবহার করেও ওটা খোলা যাচ্ছে না।
আমি আসলে রাতের বেলা একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম, নির্দিষ্ট করে কোথাও যাচ্ছি না আমি। এই এদিক ওদিক ইতিউতি ঘোরাঘুরি আরকি!
আমি ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম।
একদা একজন রাজা বন্দী ছিলেন সুউচ্চ মিনার ওয়ালা এক বন্দীনিবাসে। সেই বন্দীনিবাসে নেই কোন দরজা নেই কোন প্রবেশপথ! শুধু একটি জানালা। বন্দীনিবাসে নেই কোন প্রহরী, নেই কোন লাঠিয়াল কি বরকন্দাজ!