মূলঃ এন্ডি উইয়ারের The Egg অবলম্বনে
মারা যাওয়ার পর তুমি তোমার গন্তব্যে যাচ্ছিলে।
একটা সড়ক দুর্ঘটনা ছিলো। তেমন আহামরি কিছু নয়, যদিও মরণঘাতী। স্ত্রী আর দুই সন্তান রেখে গিয়েছিলে। যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম (ইএমটি) তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো তোমাকে বাঁচাতে, পারেনি। তোমার শরীর এমন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো, বিশ্বাস করো এই ভালো হয়েছে।
কিছুদিন আগে সলিমুল্লাহ খানের মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপত্তি সম্পর্কিত বক্তব্যের একটি ভিডিও দেখেছিলাম (লিংক নিচে)। ডয়েচেভেলেতে দেয়া ইন্টারভিউতে খান সাহেব বলেছেন, "মাদ্রাসা শিক্ষাকে নকল করে ইউরোপের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে", "অক্সফোর্ড, কেমব্রিজসহ ইউরোপের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা, সিস্টেম, পরীক্ষা পদ্ধতি- সবকিছু এসেছে মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে"। সলিমুল্লাহ খান এ সম্পর্কিত একটি
এগারো
ডেল্টা, ল্যাম্বডা, মিউ
সব করি পার,
হাতে থাকে করোনা।
বারো
উপরে আছেন বুবু,
জ্বলেপুড়ে সংখ্যালঘু;
ভরসা রাখুন নৌকায়।
তেরো
ফখা ইবনে চখা শুধায়,
'ফাহামবাগ, তুমি কুথায়?'
ডিবেটার কহে, 'আব্বা, কেবলই পায়খানা হয়ে যায়।'
চৌদ্দ
আলাল ও দুলাল;
তাদের আম্মা গুলাবী মেম,
কাশিমপুরে প্যাডেল মেরে পৌঁছে বাড়ি।
পনের
হবু রাজার গবু মন্ত্রী
নাম তার ওকা;
সকাল থেকে চামু রোদে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ফটোকপির দোকানে। একের পর এক কাস্টোমার আসছে কপি করাতে। সবারই তাড়াহুড়া। দোকানদার মামা জানে চামু সবার আগে এসেছে, কিন্তু ছেলেটা এমন বেকুব চুপ করে হাতে খাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কিছু বলছে না। সবাই পরে এসে মামাকে দিয়ে কপি করিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। হয়ত চামু ভাবছে একটু ফাঁকা হলে তখন কপি করাবে। আরে বাপ, একটু ছায়ায় সরে দাঁড়া, এইভাবে রোদে পুড়লে তো অসুখে পড়বি। হাসান ভাবছিলো চামুকে
তুষার ঝড়ে প্রায় পুরো আমেরিকা এই সপ্তাহে বিপর্যস্ত- তুষারের ছোবল যেন টেক্সাসেরও দক্ষিণ পর্যন্ত নেমে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে, এমন ঘটনা বিরল মনে হলেও অস্বাভাবিক নয়। আমরা ইদানিং পোলার ভরটেক্সের নাম বেশ শুনে আসছি এবং আবহাওয়াবিদরা বলছেন পোলার ভরটেক্স কলাপ্স করার কারণে আর্কটিক আবহাওয়া এত নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু এই পোলার ভরটেক্স ব্যাপারটা কী বা উত্তর মেরুর আবহাওয়া এত নিচে নেমে আসারই কারণ কী?
The Hill We Climb - Amanda Gorman
যখন দিন আসে আমরা প্রশ্ন করি নিজেদের
এই অনিঃশেষ অন্ধকারে আমরা কোথায় পাবো আলো?
ক্ষতির ভার বয়ে,
এক সমুদ্র পাড়ি দিতে হবে আমাদের।
পাশবিক এক দুঃসময় আমরা মোকাবেলা করেছিলাম,
আমরা জেনেছিলাম শান্ত থাকা মানেই সবসময় শান্তি নয়,
এবং ন্যায়ের নিয়মকানুন মানেই ন্যায়বিচার নয়।
এই ভোর আমাদের, আমরা জানার আগেই।
কোনভাবে আমরাই তা এনেছি।
পাঁচ
বাংলাদেশের করোনা রোগী
যেন শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল;
অজানা রোগে লোক মরে বেশুমার।
ছয়
ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব
রাখি মানবদেহে; মনে মনে
ব্যবধান যোজন যোজন।
সাত
পৃথিবী বদলে দেয়া বড়ই সোজা!
কে ভেবেছিলো একদিন,
বাদুড়ের স্যুপ, বনরুই খেলে হবে এত মজা?
আট
পাপ বাপকেও ছাড়েনা
প্রকৃতিও নেয় প্রতিশোধ,
ধেয়ে আসে করোনা।
নয়
২০২০;
আকাশে বাতাসে বিষ।
এক
বাতাসে ভাসে প্রেম,
আর ভাসে করোনা;
হাত ধুতে ভুলো না।
দুই
বেড়াতে গিয়ে ইতালি;
সাঙ্গ হলো মিতালী,
করোনার কবলে।
তিন
মুখ ঢেকে যায়
মুখোশের আড়ালে,
করোনার ছলে।
চার
উহান হতে আসে,
মজুদদার হাসে,
এন্টার্কটিক হুজুরের পোয়াবারো।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে একটা প্রচলিত প্রপাগান্ডা হলো- "শেখ মুজিব ডেভিড ফ্রস্টকে তিন লক্ষ শহীদের জায়গায় বিভ্রান্ত হয়ে তিন মিলিয়ন বলে ফেলেছিলেন, সেই থেকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা তিন মিলিয়ন বা ত্রিশ লক্ষ চালু হয়েছে"। বঙ্গবন্ধু মুখ দিয়ে ‘তিন মিলিয়ন’ উচ্চারণ করার আগেই যে সংখ্যাটা বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্টে এসেছিলো, তা সচলায়তনে শেহাবের লেখায়
স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে সব গবেষণা বা পরিসংখ্যানে বোধহয় সবচেয়ে উপেক্ষিত থাকে আমাদের যুদ্ধশিশুরা- যাদের জন্ম হয়েছিলো একাত্তরের বিভীষিকার মধ্যে। আমি জানি না কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা একাত্তরে এবং পরবর্তীতে কতজন শিশু যুদ্ধের কারণে নিহত হয়েছিলো। স্বাভাবিক সময়ে একটা শিশুর জন্মের সময় এবং পরে কত যত্ন-আত্তি, হাসপাতাল-ক্লিনিকে ছুটোছুটি করা লাগে। ছয় বছর আগে আমার মেয়ের যখন জন্ম হলো, তার আগের দিন রাতে হাসপাতালে চলে