অতৃপ্ত সময়ের নির্জন দিনলিপি
এক.
- নিরবতার রঙ, তার ভাষা কেন এতো সুন্দর হয়?
হ্যালো, সুমন কি করছিস?
- এইতো আছি একরকম। তোর কি খবর?
- ভালো। পরশুতো ঈদ। আমি বাসায় ফিরছি। খুব আড্ডা হবে।
- হা হা হা। ওকে, বস। তাহলে পরশু দেখা হচ্ছে।
- তোকে আবার দাওয়াত দিতে হবে নাকি।
- না না। কি যে বলিস। ওকে ব্রাদার মঙ্গলবার কনফার্ম।
- পাক্কা। ভাবিকে নিয়ে আসবি কিন্তু।
- শিওর।
চমকে উঠলাম। ছবির দ্বিতীয় দৃশ্যটা দেখেই। যেমন চমকে উঠেছিলাম তিলোত্তমা মজুমদারের ‘শামুকখোল’ উপন্যাসটা পড়ে। জীবনটাই একটা পরিহাস। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কি বেঁচে থাকে? একটা শূন্যতা, একটা অমলিন বোধ কিংবা একটা অলিখিত প্রত্যয়। সেই বোধ নিয়েই নির্মিত হয় একটা নোংরা মেয়ের জীবনের ভাঙা গড়ার ইতিহাস।
আমার দেশ স্বাধীন। আমি স্বাধীন। এবং আমার দেশের স্বাধীনতা। আমার আজ আর অহংকার হয়না। আমি আমার দেশকে কেন মন থেকে ভালবাসতে পারছিনা। কেন আজ বারবার বাক্যহারা হয়ে যাচ্ছি। কোনটা আমার স্বাধীন দেশ? যে দেশ তিনটি টুকরোতে খণ্ডিত হয়ে গড়েছে তাদের সোপান – সেই কোন দেশ?
অনেক দিন হল এভাবেই আছি। বসে বসে খাচ্ছি, বিছানায় শুয়ে আছি, অনেক রাতে বিছানায় ঘুমহীনতায় কাটাই। আবার খুব দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। চলে যাচ্ছে। কি জানি ওষুধ এবং অসুখ আমার জীবনে পালা করে আসছে আর যাচ্ছে। আমার ঘরটা একটু আবছায়া থাকে দিনের বেলাতেও। জানলা গুলোও বিশেষ একটা খোলা হয়না। ইচ্ছে করে যে খুলিনা তা নয়, প্রখর আলো আমার সহ্য হয়না। যদিও ঘরের মধ্যে সাইনাসের প্রবলেম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তবুও আমি আলোহীনতাকেই আজক
[justify]বাংলায় নবান্ন এসেছে। ঘরে ঘরে উঠবে সোনালি ফসল।
" বাউরস ধানের চিড়ে দিমু
বিরনী ধানের খৈ
ডিংগা মানিক কলা দিমু
গামছা ভরা দই..."
[justify]সময় বদলে যায়। ইতিহাস বয়ে চলে তার আপন গতি এবং বিস্তার নিয়ে। হয়তো কোনো কিছু আমরা চাই, পেয়ে যাই। আবার কালের জন্য আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই স্রোত।
জীবনে আমার চাওয়া পাওয়া বলতে বিশেষ কিছু নেই। হয়তো মহান কথা বলে ফেললাম। কিন্তু সত্যি করে বলছি আজ অবধি যত টুকু দরকার তার চেয়ে বেশী চাইনি, চাইনি জীবন থেকে। হয়তো তাই বারবার প্রতারণার শিকার হতে হয়।
[justify]ভালোবাসা পেয়ে কোনো কোন সময় আমরা হারিয়ে ফেলি। হারিয়ে যায় স্বপ্ন সুখ। মিশে থাকে বহুদিনের বিবর্ণতা। ডুম্বুরভ্যালীতে এসে আমি যেন দুটোই খোঁজে পেয়েছি। ভালোবাসা এবং বিবর্ণতা। বিবর্ণতা পেয়েছি মানুষের দুঃখে, হতাশায়। তাদের নিত্যদিনের দিন যাপনে। কি করে যে মানুষ গুলো বেঁচে আছে?