৪
--
রাকেশ গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুরানো ভেস্পাটা বিক্রি করে একটা ইউনিকর্ণ কিনল৷ গত ২ বছর উদয়াস্ত খেটে ও অন্তত ২৫০০ লোকের হোমলোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে৷ ও যে প্রাইভেট ব্যাঙ্কটির হয়ে কাজ্ করে, তারা কমিশান ভালই দেয়৷ এজেন্সি থেকে প্রাপ্ত মাসমাইনে তো আছেই৷ তাতেই আস্তে আস্তে সংসারের চাহিদা মিটিয়েও একটু একটু করে টাকা জমিয়ে এটা কিনতে পারল৷ ভাগ্য ...
১
-
হাত দুখানা আজকাল কিবোর্ডের চেয়ে মাউসেই বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাই মাথায় কিলবিল করে বেড়ানো কথাগুলোর আর মুক্তি হয় না৷ এদিকে কিছুই না লিখলে আবার মনটা কিরকম যেন করে৷ অথচ হাবিজাবি চাট্টি অক্ষর বসিয়ে কি যে ছাই স্বর্গলাভ হয়! কিচ্ছু হয় না ---- কিস্যু না৷ হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ মোটের ওপর একইরকম হিংস্র আর মতলববাজ থেকেই গেছে৷ কিছু লোক নানারকম ভাল কথা বলেছে আর দিনের শেষে কিছু লো ...
[I]ফাউ প্যাচাল:- এই নিয়ে দুখানা মন্দা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম, তাই নিয়েই কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ২০০৯ এর মে-জুন মাসে লিখে রেখেছিলাম৷, যখন ভারতে মন্দা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে৷ নানাকারণে কোথায়ও দেওয়া হয় নি৷ তারপর fহার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করায় লেখাটা হারিয়ে যায়৷ সেই হার্ডডিস্ক একটু একটু করে রিকভার হচ্ছে এখন, তাই তুলে দিলাম৷ লেখাটা একটু বাসীমত৷ বাসীগন্ধ লাগলে পাঠকরা জানান দেবেন, সরিয...
আজকে সামনের বারান্দায় কেউ আসে নি, বোধহয় বাড়িতে কেউ নেই৷ ওই বাড়িটা আসলে পর্যটকদের থাকার জন্য৷ এই অদ্ভুত নির্জন জায়গাটায়ও কিছু পর্যটক আসে মাঝেমধ্যেই৷ আর আজকাল বোধহয় নির্জন জায়গায় বেড়াতে যাওয়াটা একটা ফ্যাশানও হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বাড়িটা দেখাশোনা করে বাহাদুর আর ওর বউ৷ ওর বউয়ের নাম জানা যায় না৷ ওরা বাড়িটার ওইপাশে একটা আলাদা কোয়ার্টারে থাকে৷
আজ আড়াইবছর হল এখানে ...
আসলে ঠিক ছিল "লা কোয়েন্টা" প্রোজেক্টের অমিতাভদের সাথে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে যাব ২০০৬ এর ২৬শে জানুয়ারীর ছুটিটায়। তাই ২৭শে শুক্রবার, ছুটিও নিয়ে রেখেছিলাম। ২৩ তারিখ অমিতাভ বলল ওদের গ্রুপের একজনের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাই ওরা কেউই যাচ্ছে না। যা: তাহলে কি হবে? আমার তো মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তৈরী হয়ে আছে যাবে বলে। কি করা যায়? শুরু করলাম খোঁজখবর। কিন্তু খুব বেশী সুবিধা...
১
--
বিগত এক দশকে প্রতি ২-৩ বছরে জায়গা বদলে বদলে এমন অভ্যাস হয়েছে যে কোথাও ২ বছর হলেই মনে হয় বাব্বা: কত্তদিন হয়ে গেল এখানে! তা পুণেতেও নয় নয় করে আড়াইবছর হয়ে গেল৷ এ শহর ভাল লাগে আবার লাগেও না৷ পাহাড় আমার বড় পছন্দের বিষয়৷ এ শহরের এদিক ওদিক থেকে উঁকিমারা পাহাড়দের তাই বড় ভাল লাগে৷ শহরের লোকগুলো এমনিতে শান্ত নিরীহগোছের, কিন্তু সাধারণভাবে বড্ডই অলস আর গোঁড়া মানসিকতার৷বসবা...
সহ্যাদ্রি পর্বতমালার কোলে কোলে বেড়ে ওঠা এই শহরটা মাত্র কয় বছর আগেও ছিল ছোট্ট একটা ঘুমুঘুমু শহর৷ ছিমছাম দোতলা চারতলা বাড়ী, শহরের অনেকটা জুড়ে ক্যান্টনমেন্ট, রাস্তার দুদিক থেকে উঠে যাওয়া মস্ত মস্ত গাছের ডাল জুড়ে রাস্তার ওপরে তৈরী আর্চ আর নীচে আলোছায়ার আঁকিবুকি, হঠাত্ হঠাত্ চড়াই উতরাই হয়ে যাওয়া রাস্তাওয়ালা এই শহরের দোকানদারেরা দুপুরবেলা মফস্বলের মত দোকান বন্ধ করে ...
সারাদিন রেললাইনটা পড়ে পড়ে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোয় আর মাঝরাত্তিরের পর গা মোড়ামুড়ি দিয়ে জেগে ওঠে৷ তখন ওতে কান পাতলে শোনা যায় শোঁ শোঁ, সাঁই সাঁই, ঠুকঠাক, ঢকাং ঢকাং শব্দ৷ তারপর ঝমঝম ঝমাঝম করে একটা বড়সড় জোয়ানমত ট্রেনগাড়ী দৌড়ে যায়৷ আবার চুঁইচুঁই, ঘটাংঘটাং এরপরে ছ:-ঘিসস, ছ:-ঘিসস করে হাঁপের টান টেনে টেনে একটা বুড়োমত মালগাড়ী যায়৷তারপরও রেললাইনটা জেগেই থাকে, যদিও আর গাড়ীটাড...
ছোটবেলায় মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজন অথবা পাড়াপড়শিরা আমাকে "উপোস' শেখাতে চাইতেন৷ এদিকে খামোখা উপোসটুপোস আমার পোষায় না কোনকালেই৷ একটু বড় হওয়ার পর শুভার্থীরা আমার শ্রবণসীমার মধ্যে; 'মেয়ে হয়ে জন্মিয়েও উপোস করে না, কি অলক্ষ্মী মেয়ে বাবা! আর মা'কেও বলিহারি, মেয়েকে শেখায়ও না' জাতীয় বাক্যাংশ বেশ স্বর চড়িয়েই উচ্চারণ করতেন৷ কিন্তু উপোসটুপোস আমার দ্বারা কোনদিনই হয় নি৷ গান...
আমার ভেতরে যে বিভিন্নরকম "আমি' আছে, তাদের মধ্যে মাঝেমাঝেই বেশ ধুন্ধুমার যুদ্ধ লেগে যায় বিভিন্ন গোলমেলে বিষয়পত্তর নিয়ে৷ তার মধ্যে একটা অন্যতম ঝামেলার জায়গা হল "শব্দের ব্যবহার'৷ এমনিতে অনেকসময়ই আমি শব্দ সম্বন্ধে একটু বেশীইই সংবেদনশীল৷ হাংরি জেনারেশানের লেখাপত্তর বিশেষ টানে নি৷ ওদিকে আবার বন্ধুবান্ধবরা যখন যত্ন করে "খিস্তির উত্পত্তি ও ব্যবহার' শিখিয়েছে, সেটা বেশ মন দিয়...