আমি সচল পড়ি অনেকদিন ধরেই। প্রথম প্রথম যাঁদের লেখা পড়তে আসতাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুহম্মদ জুবায়ের। উনার লেখা পড়েই জেনেছি যে উনি ডালাসে থাকেন। আমার শহর অস্টিন থেকে ডালাস খুব দূরে নয়, ওখানে বন্ধুবান্ধব আছে বিস্তর, মাঝেসাঝে যাওয়াও পড়ে। জুবায়ের ভাইয়ের মেয়ে ডোরা অস্টিনের ইউনিভার্সিটিতে (যেটা ইউটি অস্টিন বলে সবাই) পড়তে আসবে, জুবায়ের ভাই এটা নিয়ে একটা লেখা ল...
কলিক পেইনঃ
"শোন প্রায় নয়টা বাজে, এখন ফোন রাখতে হবে।"
"কেন কেন, নয়টার সময় কি হবে?"
"বাচ্চা কাঁদতে শুরু করবে"।
"বলিস কি...আজব তো...ঠিক নয়টার সময় কাঁদবে কেন?"
"এইটাকে বলে কলিক পেইন...যন্ত্রণার আরেক রূপ, ঘড়ি ধরে বেদনা"।
"আশ্চর্য, জীবনে প্রথম শুনলাম...কি ওষুধ দিব বাচ্চার এইটা হলে?"
"ওষুধ হচ্ছে...জোরে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা টিভি ছেড়ে দেওয়া"।
"আরে...এতো আরো আজীব..."।
"রোগ আজব আর তার চিকিৎসা অদ্ভুত হবে ...
বাংলাদেশ আর আমি প্রায় সমবয়েসী। আমাদের জন্ম কাছাকাছি সময়ে, আমরা বেড়েও উঠেছি প্রায় একই সঙ্গে। আমি যেবার স্কুলে ভর্তি হই, তার কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশকেও ভর্তি করা হয় সেনাবাহিনীর পাঠশালায়। আমি কলেজে ভর্তি হতে হতে বাংলাদেশে সামরিক শাসনেরও দশ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে, আর আমি যখন কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জীবনে পা রাখলাম, বাংলাদেশও তখন সামরিক ভূত গা থেকে ছেড়ে গনতন্ত্রের দিকে পা বাড়ি...
বিজ্ঞাপনটা অনেকটা এই রকম।
একদল বিদেশি নারী পুরুষ বাংলাদেশি পোষাকে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছেন। সবাই নিজের ভাষায় ধন্যবাদ জানালেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে, সবশেষে একজন পুরুষ ইংরেজীতে বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ বাংলাদেশ।
এরপর গায়েবি আওয়াজ, নিজের ভাষায় কথা বলুন, একটেল থেকে পাঁচটি FnF নম্বরে, প্রতি মিনিট মাত্র ৬৮ পয়সা।
মোবাইল কোম্পানীগুলো অনেক কিছুতে স্পন্সর করে, ওরা জব তৈরি করছে, ছাত্রদ...
বছর দশেক আগে আমি সাপ্তাহিক "যায় যায় দিনে" একটা ই-মেল লিখেছিলাম ওদের ক্রমবর্ধমান বিএনপি প্রীতি দেখে। আমার চিঠির বংগানুবাদ ইমেল এড্রেস সহ ছাপা হওয়ার পরে আমি গোটা বিশেক ইমেল পাই...এর মধ্যে গোটা উনিশেক ছাপার অযোগ্য...একমাত্র ছাপার যোগ্য মেইলটা ছিল এরকম...
আপনি হয়ত জানেন না যে শেখ মুজিব হিন্দু ছিল। মুসলমান পরিবার তাকে দত্তক নিলেও তার মুসলমানি হয়নি। আপনার চিঠিতে যে আওয়ামী গন্ধ আছে তা থে...
দিনটা সাদামাটা ভাবেই শুরু হল। সকালে উঠে চা বানানো, টিভিতে খবর দেখা সবই করলাম। এরপর হেলেদুলে গাড়িতে উঠে নিজের জীবনকে গালি দিতে দিতে অফিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা, প্রতিদিন যা যা করি তাই করলাম। বৃহস্পতিবার অফিসে মিটিং থাকে সকাল ৯ টায়, আমি পৌঁছাই ঠিক ৮ টা বেজে ৫৫ মিনিটে।
আমি তখনো জানি না যে আমার বাসার খুব কাছেই 1827 dapplegrey lane এর এক উন্মাদ প্রায় একই সময়ে খুব ভয়ঙ্কর কিছু করতে যাচ্ছে। আমি যখন অফিস...
আমার মেয়েদের ভূগোল জ্ঞান বেশ সীমিত, প্রায় আমারই মত। ওদের ধারনা পৃথিবীতে জায়গা আছে তিনটি। একটা অস্টিন, যেখানে আমরা থাকি, দ্বিতীয়টা হিউস্টন যেখানে ওর বাপ্পি চাচ্চু থাকে আর তৃতীয়টা হোল বাংলাদেশ যেখানে ওদের নানা, নানি, দাদা, দাদি চাচু, মামা আর যাবতীয় আত্মীয় থাকে। সুতরাং আমি যখন বললাম কলোরাডো যাব, তখন ওদের প্রথম জিজ্ঞাসা হল এইটা কোথায়? এইটা বাংলাদেশ না, হিউস্টন না, অস্টিনও না। তাও অনেক...
স্মৃতির শহর -২: ইচ্ছে হয় কান পেতে থাকি
ঝকঝকে একটা দিন, জ্বালা ধরানো নয় বরং বেশ শান্ত ও সুশীল টাইপের রোদ উঠেছে। উত্তাপহীন রৌদ্রকরোজ্জ্বল এই দিনে আকাশটাও বেশ ঘন নীল, খুঁজলে কিছু সাদা মেঘও পাওয়া যাবে। এই রকম দিন আপনি বাস্তবে বেশি না পেলেও স্মৃতির দিনগুলো হরহামেশাই এই ধরনের হয়। আমি মাঝে মাঝে এখনো দেখতে পাই এই রকম একটা দিনে আমাদের বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে আমি আর তিথী মুগ্ধ চোখে রেলগাড়ি দেখ...
পাখির ডানার শব্দে সচকিত
সকালবেলার মতো আমার শৈশব
প্রত্যাবর্তনের দিকে ফেরাবে না মুখ
কস্মিনকালেও।
(দশটাকার নোট এবং শৈশব; শামসুর রাহমান)
আমাকে যদি টাইম মেশিন দিত কেউ, তাহলে আমি ঠিক ঠিক চলে যেতাম শৈশবে, যেখানে এখনো একজন আইসক্রিমওয়ালা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই কপাল কি আমার আছে, যদিও ঘুমে জাগরনে আমার সব ভ্রমণ শৈশবের অভিমুখে। এই সিরিজটা আমার শৈশব নিয়ে। সচলের বলতে গেলে তেমন কারোর সাথ...
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন:
ঘরে নতুন বাচ্চা এসেছে, আপনি আনন্দের উচ্ছ্বাস কাটিয়ে এবার বাস্তব জীবনে প্রবেশ করেছেন। অফিসে যাওয়া আসা করেছেন প্রতিদিন।খুশি খুশি ভাব এখনো পুরোটা কাটেনি। কিন্তু এরই মাঝে একদিন বাসায় ফিরে দেখলেন বাবুর মায়ের মুখ অন্ধকার।
"তুমি আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছ"। আচমকা আক্রমন মাঝ মাঠ থেকে।
এটা খুব নতুন কথা নয়, হয়ত এর উল্টোটাও কিছুটা সত্য। আপনি ওই দিকে না গিয়ে একটু ...