তুলিরেখা এর ব্লগ

ইস্কুলবেলার গল্প (১৭)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ০৩/১০/২০১১ - ২:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টেবিলজুড়ে ছড়ানো এলোমেলো বইপত্তরের উপরে ঝিঁ ঝিঁর কাঁপন। তুলে নিই মুঠাফোনটা, ওপারে অন্বেষা। " কী রে তুলি, এই উইকেন্ডে ফ্রী আছিস? একজায়গায় যেতাম তাহলে।"

" প্রথমদিন ফ্রী, সেদিন হলে যেতে পারি।"

"ঠিক আছে। আমি তাহলে সকালে এসে তোকে পিকাপ করে নেবো। এই নটা নাগাদ। রেডি থাকবি।"

"কোথায় নিয়ে যাবি রে? "

"সে দেখবি তখন, এখন বলবো না। " ওর হাসি শুনতে পাই।


গীতপাহাড়, জ্যোৎস্নাজল

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৯/২০১১ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জন্মনীড় ছেড়ে, চেনা মাঠ বন নদী পাহাড় ঝর্ণা সব কিছু ছেড়ে উড়াল দিয়েছিলাম, অচিন দেশের দিকে, জ্যোৎস্নাপালকের পাখিরা সেদিকে থাকে। জন্মজলের বিন্দুগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছিলো ডানা থেকে।


ভিতরকণিকা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ১৮/০৯/২০১১ - ২:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যে শিউলিফুলগুলোকে হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না, তাদের স্মৃতির মাঠ থেকে খুঁজে খুঁজে শিশিরে ধুয়ে সাজিয়ে রাখি। আকাশে বাতাসে শরতের ছোঁয়া, রোদ্দুরে যাদু, এর ভিতরে কান পাতি, অনেক দূরের আমার শৈশবের প্রান্ত থেকে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ, ডিং ডিডিং ডিডিং ডং। ঢাকীরা নানা রঙের পালক আর শুভ্র কাশফুল দিয়ে সাজ পরাতো ঢাকের। এখনও হয়তো পরায়।


দিনমোহনা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৯/২০১১ - ৭:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিনা সুতোর মালা গাঁথার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু গাঁথতে পারলাম না। একটা একটা করে পুঁতি তুলে নিই, পরপর সাজাই। সেই বর্ষাবিকেলের নীল পুঁতি যার ভিতরে কেমন একটা মায়াবী আলো ঝিলমিল করতো, সেইটার গায়ে হাত বুলিয়ে চুপটি করে নামিয়ে রাখি। পাশে রাখি ঝকমকে লাল আর সাদা দুটি পুঁতি, ওরা বৈশাখের সন্ধ্যা, ওরা জয়জয়ন্তী।


রূপদর্শীর পারে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৈজয়ন্তী ডাকে, "কী রে তুলি, কী হলো তোর? শিগগীর তৈরী হয়ে বেরো, বেড়াতে এসে ঘরে বসে থাকার মানে কী?"


দেশবিদেশের উপকথা-আদপ(সুমেরীয়)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৯/২০১১ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই উপকথা সুমেরীয়। সুপ্রাচীন সেই সভ্যতা। এ গল্পেও সেই অতি প্রাচীন কালের এক কাহিনি আছে, মানুষদের প্রথম নায়কের কথা আর নেপথ্যে এক মানবদরদী দেবতা আড়াল থেকে যিনি কলকাঠি নাড়েন।


মায়াঘর

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৮/২০১১ - ৫:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যেদিকে তাকাই কেবল ধূ ধূ করছে ছায়াহীন মাঠ, কোথাও বালি, কোথাও মাটি। কোথাও শুকনো ঘাস, কর্কশ গুল্ম, কোথাও একেবারে ন্যাড়া। তামাটে আকাশ গনগন করছে দারুণ রোদের তেজে। এর ভিতর দিয়ে যেতে হবে দীর্ঘ দীর্ঘ দীর্ঘ পথ। অন্য কোনো উপায় নেই।


দেশবিদেশের উপকথা-সেফালাস ও প্রোক্রিস (গ্রীক)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ৪:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেফালাস ছিলো পবনদেব ইয়োলাসের পৌত্র। পিতামহের মতই দিলদরিয়া ছিলো সে। আর উপরি হিসাবে সে ছিলো খুবই শিকারপ্রিয়। ভোররাতেই সে বনে বনে হরিণ শিকার করতে বেরোতো। আর পুব আকাশ থেকে ঊষাদেবী ইওস তাকে দেখতেন। আহা, কে এমন চমৎকার ছেলেটা? খবরও নিলেন, এ ছেলে পবনদেবের নাতি। জেনে দেবী আরো পুলকিত হলেন আর রোজই তাকে দেখতে লাগলেন আরো ভালো করে। দেখতে দেখতে একদিন দেবীমহাশয়া পড়ে গেলেন প্রেমে।


দেশবিদেশের উপকথা-ফিথন(গ্রীক)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১২/০৮/২০১১ - ৪:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সূর্যদেবের প্রাসাদ। সে এক আশ্চর্য ব্যাপার। লক্ষ কোটি সোনা রূপা হীরাপান্না গজমোতির দীপ্তি চারিদিকে। অন্দর ও বাহির সবই ঝকমকে। সবসময় সেখানে মধ্যদুপুর, সকাল সন্ধ্যা বা রাত্রি নেই। পৃথিবীর মরণশীল মানুষদের মধ্যে কেউই সেই তাপদীপ্ত চিরমধ‌্যাহ্নের প্রাসাদে বেশীক্ষণ থাকতে পারবে না, অসহনীয় দীপ্তিতে ঝলসে যাবে। সেই প্রাসাদে সূর্যদেব নিজের অমর পরিচারক-পরিচারিকাদের নিয়ে থাকেন।


নৈঃশব্দের বাগান

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ০৭/০৮/২০১১ - ১১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নৈঃশব্দের বাগানে ঘুরে ঘুরে যায় রৌদ্রদিন ও জ্যোৎস্নারাত। কখনো তারা-ফুটফুট অমানিশা। কখনও বা ঝরোঝরো বাদলপ্রহর এসে আশিরবক্ষচরণ স্নান করিয়ে যায় এই বাগানকে।