আজকের গল্প আটালান্টার। সে যখন ফুটফুটে একটা মেয়ে, সবেমাত্র জন্মেছে, তখনই তার বাবা-মা তাকে ফেলে এলো বনের ধারে। তখন শীতের শুরু, রাতের বেলা বেশ শীত পড়ে। বাচ্চা শীতেই মরে যাবে না হলে আমিষাশী বন্যজন্তুরাই বাচ্চাটাকে খেয়ে ফেলবে, ঝামেলা শেষ। এই ভেবে বাবা-মা ফিরে চলে গেল, তাদের পুত্রসন্তান চাই, মেয়ে দিয়ে কোন কচুটা হবে?
গতবারের ইস্কুলবেলার গল্পে কী যেন বলছিলাম?
ডাফনি ছিলো নদীদেবতা পানিয়াস এর মেয়ে। মেয়ে ছোটো থেকেই খুব ডাকাবুকো স্বভাবের, যেমন তেজী তেমনি জেদি। দিনে দিনে মেয়ে বাড়ে, যত বাড়ে ততই সুন্দরী আর শক্তিমতী হয়ে ওঠে। কিশোরী বয়স থেকেই স্বাধীন আরণ্য সিংহীর মত সে বনে বনে শিকার করে বেড়ায়। সে পশুচর্মের পোশাক পরে, চুল খোলা রাখে। সে আরণ্যক হ্রদে স্নান করে, বনের ফল আহার করে।
ইস্কুলবেলার গল্প করা হয় না কতদিন! সেই যে কিন্ডারগার্টেনের ঘর জুড়ে বিছানাপাতা ক্লাস, দুপুরের টিফিন আর খেলার পরে ঘুমের ক্লাস, এই গল্প করতে করতে হাত থেকে সুতো উড়ে গেছে বাতাসে। সেই সুতোটায় আটকানো লালনীল ঘুড়িগুলো এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ছুটির বিকেলের আকাশে। এখন কী করে নামাই তাদের, এতখানি শূন্য পাড়ি দিয়ে কেমন করে ধরে আনি?
এই উপকথা ব্যাবিলনের। তবে রচিত গল্প হিসাবে এটাকে আমরা প্রথম পাই রোমান কবি ওভিডের লেখায়। পিরেমুজ আর থিসবির করুণ-মধুর কাহিনি। এ কাহিনি চিরকালের, যুগে যুগে দেশে দেশে বারে বারে এ কাহিনি আমরা পেয়েছি ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে, মানুষের নিবিড় ভালোবাসার কাছে সংঘবদ্ধ বিষয়বুদ্ধি কীভাবে পরাজিত হয়েছে, তার গল্প!
এই উপকথা ব্যাবিলনের। তবে লিখিত গল্প হিসাবে এটাকে আমরা প্রথম পাই রোমান কবি ওভিদের লেখায়। পিরেমুজ আর থিসবির করুণ মধুর কাহিনি। এ কাহিনি আসলে চিরকালের, যুগে যুগে দেশে দেশে এই কাহিনি আমরা পেয়েছি নানা আঙ্গিকে। মানুষের ভালোবাসার কাছে সংঘবদ্ধ বিষয়বুদ্ধি কীভাবে পরাজিত হয়েছে, তার গল্প!
ছুটি বললেই কেন যেন মনে পড়ে যায় একটা সবুজ রঙের ট্রেন, সবুজ মাঠ চিরে হালকা শীতের হাওয়ার ভিতর দিয়ে সোনালী রোদের ভিতর দিয়ে চলেছে দূরপাল্লায়। কূউ উ উ ঝিকঝিক করে ছুটে চলেছে। আকাশ নীল, নীল, নীল, দূরে দেখা যায় সমুদ্রের তীররেখা, পাশ দিয়ে চলে আমাদের ট্রেন। কেন জানি এই ছবিটা মনে পড়ে, এরকম দেখিনি কিন্তু কোথাও, মনে মনে বানানো একটা ছবি, সেই ছোট্টোবেলায় বানানো, তারপরে বড় হতে হতে কেবল আরো গাঢ়ই হয়েছে ছবি, একটুও মো
ভুলে ভরা ধূলাসংসারে আঁট করে রাখা থাকতো কাজ আর কাজ, অকাজগুলোও সারি সারি। পালাক্রমে চলতে থাকতো আলাপ বিলাপ প্রলাপ। ঠাসবুনোট সময়, একেবারেই ফাঁকা ছিলো না কোথাও। তবু কোন গহীন পথে ঢুকে পড়তো স্বপ্ন, স্বপ্নেরা। কোথায় তাদের গোপনকুঠি? কেউ জানতো না।
[i]কোথা থেকে শুরু করি অর্ফিউস আর ইউরিডাইসের গল্প? কেবলই মান্ডুর বাজবাহাদুর আর রূপমতীকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছে যে! বাজবাহাদুর তারা-ঝমঝম আকাশের তলা দিয়ে রূপমতীর প্রাসাদের দিকে আসছে আর আসছে, কিছুতেই আর পথ ফুরায় না। ঠিক তখনই নিজের প্রাসাদের ছাদের উপরে বসে রূপমতী মধ্যরাতের রাগিণীতে আকাশেবাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে আকুলতা। ওরা দু'জনেই জানতো বিরহই আসল মিলন, ফুরায় না ফুরায় না ফুরায় না।
নিয়তি দিদিমণি গল্প শোনাচ্ছেন, "এক দেশে এক রাজা ছিলেন। সেই রাজা একদিন এক সাধুর কাছে এক বর পেলেন। রাজা যা ধরবেন তাই সোনা হয়ে যাবে। রাজা তো আনন্দে এক লাফ দিয়ে প্রথমেই দু'হাতে চেপে ধরলেন রাজসভার থাম। থাম সোনার হয়ে গেল। তারপরে ধরলেন ছত্রচামর, তাও সোনার হয়ে গেল। রাজার আনন্দ ধরে না। এরপরে রাজা স্নান করতে যাবেন, যেই না তেল মাখতে গেছেন, তেল হয়ে গেল সোনার তাল। আর তেল মাখা হলো না। বিমর্ষ হয়ে তেল ছাড়াই স্ন