আজকে ব্লগরব্লগরেচ্ছা হইতেছে। কাজেকর্মে কূল না পাইয়া ছাইড়া দিছি, যা চইড়া খা। পরে আবার নাহয় ধইরা আনমু।
এদিগে সচল খুইলা দেখি সব লাল হইয়া গেছে গা! চিঠির বাকসো খুইলা দেখি ভাইয়ের একখান চিঠি, কুরুক্ষেত্রের গল্প। নাকি সকলেই সর্বদাই যুদ্ধে ব্যস্ত, "ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসব:"।
আমি নাকি বিড়ালতপস্বী টাইপ সমব্যথী। কোথায় আমি ভালো রে বইলা ফোন কইরা প্রায়ই মিনি মাম খুকু খেলন ...
এটা নেটিভ আমেরিকান উপকথা। শাইয়্যান (Cheyenne) গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত গল্প। নামগুলোর ব্যাপারে কিছুটা স্বাধীনতা নেওয়া হয়েছে বাংলায় তাল রাখতে।
এক সুন্দর সন্ধ্যায় খেলাধূলার শেষে ক্লান্ত শরীরে খোলা মাঠে শুয়ে শুয়ে ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ক্লান্তি দূর করছিলো দুটি কিশোরী মেয়ে। কল্পনা আর রঙ্গনা। একে একে উজল তারাগুলি ফুটে উঠছিলো আকাশে, সে ভারী সুন্দর সময়।
এক দুই তিন ... না না ঐ তো আরেকটা, ঐ যে আ ...
সে অনেক অনেকদিন আগের কথা। সাগরতীরের এক গাঁয়ে উরাশিমা নামে এক গরীব ধীবর থাকতো। এক মা ছাড়া তিনকূলে তার কেউ ছিলো না। ছোট্টো এক কুটিরে তারা মা-ছেলেয় থাকতো। ছেলে সারাদিন সাগরে জাল ফেলে যা মাছ পেতো তা হাটে বেচে কোনোক্রমে তাদের গ্রাসাচ্ছাদন চালাতো।
উরাশিমার মায়ের বয়স হয়েছে, সে ছেলেকে বলতো, "খোকা, আমি বুড়া হয়েছি, আর কতকাল সংসার টানতে পারি বল। তুই এবারে দেখেশুনে একটা ভালো বিয়ে কর। তোর ব ...
এটা ইনুইটদের মধ্যে প্রচলিত গল্প।
এক ছিলো বিরাট মহাসাগর, তার হিমজলে বরফ ভেসে বেড়াতো। সেই মহাসাগরে সাঁতরে বেড়াতো মস্ত মস্ত তিমি। তারা মনের সুখে জলের ফোয়ারা তুলে নি:শ্বাস ছাড়তো আর সাগরের ক্রিল খেতো।
এক ছিলো হামবড়াইওয়ালা কাক, সে ডাঙার কাছের ঢেউয়ের উপরে উপরে উড়তো আর ফিরে এসে অন্যদের কাছে বাহাদুরি করতো সে একদিন এক বিরাট তিমি শিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।
এরকম চলতে চলতে এ ...
এক গ্রামে এক কূটবুদ্ধি ধনীলোক ছিলো। সে আবার সুদখোর মহাজনও বটে। গরীব কৃষকদের সে টাকা ধার দিতো আর চড়া সুদ নিতো। গলায় গামছা দিয়ে সুদেআসলে টাকা আদায় করতো। কেউ টাকা না দিতে পারলে ঘটিবাটি পর্যন্ত কেড়ে নিতো, আরো নানা শাস্তি দিতো।
সকলে অতিষ্ঠ, এদিকে অন্য উপায় নেই। একমাত্র সুদখোর মহাজনই ধার দেবার মত ধনী আর ফসল বোনার সময় খরচের মরসুম, তখন টাকা ধার করা ছাড়া উপায় নেই। ভালো ফসল উঠলে তবে শোধ ...
পুরোটা একসাথে দিলাম। নিন, পড়ুন।
সে এক ধনধান্যে ভরা দেশ, দুধমধুর দেশ। দেশের নদীতে নদীতে হ্রদে সরোবরে মিঠাজল, মাঠে মাঠে সোনার ফসল। বিশাল জমকালো রাজপ্রাসাদে লোকলশকর নিয়ে থাকেন রাজারাণী। তাদের একটিমাত্র সন্তান, একটি ছেলে।
সেই রাজপুত্র একদিন এক আশ্চর্য স্বপ্ন দেখে বসলো, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন। সে দেখলো সে মাটিতে পড়ে আছে, তার বুক চিরে হাঁ হয়ে আছে, সেখান থেকে তার জ্যান্ত হৃৎপিন্ডটা ছি...
এখানে ১ম পর্ব
সারাদিনমান নানা কাজে ব্যস্ত রাজপুত্র, সকালে শাস্ত্রশিক্ষার পরে মল্লযুদ্ধের আখড়ায় দুপুর পর্যন্ত। তারপরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। তারপরে বিকালে আবার তীরন্দাজি।
সামনেই তার যৌবরাজ্যে অভিষেক, সেই আয়োজন চলছে পুরাদমে। রাজা নিজে তদারকি করছেন সেসবের। তীরন্দাজির খেলা থেকে ফিরে রাজপুত্র দেখলো তার জন্য পোশাকের মাপ নিতে এসেছে পোশাকনির্মাতারা, একধ...
সে এক ধনধান্যে ভরা দেশ, দুধমধুর দেশ। দেশের নদীতে নদীতে হ্রদে সরোবরে মিঠাজল, মাঠে মাঠে সোনার ফসল। বিশাল জমকালো রাজপ্রাসাদে লোকলশকর নিয়ে থাকেন রাজারাণী। তাদের একটিমাত্র সন্তান, একটি ছেলে।
সেই রাজপুত্র একদিন এক আশ্চর্য স্বপ্ন দেখে বসলো, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন। সে দেখলো সে মাটিতে পড়ে আছে, তার বুক চিরে হাঁ হয়ে আছে, সেখান থেকে তার জ্যান্ত হৃৎপিন্ডটা ছিঁড়ে তুলে নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক প...
প্রথমাংশ এখানে
রাজোদ্যানে পুষ্পপরিচর্যা করে দিন যায় মারিয়ার, বৃদ্ধা পুরানো মালিনী চাঁদের কণার মতন মেয়েটিকে নিজের নাতনীর মতন মনে করে খুব যত্নে কাজ শেখান। মাঝে মাঝেই আবার কেন জানি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, "আহা, এমন চাঁদপানা মুখ, এ কি রোদের তাতে পোড়ার জন্য? সাত সমুদ্দুর পার থেকে রাজপুত্রেরা নৌবহর সাজিয়ে কি আসে না এই মুখেরই জন্য? আর এ মুখপোড়া আমাদের রাজপুত্তুরের ক...
এই উপকথা ব্রাজিলের। ব্রাজিলের উত্তরপূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল থেকে গল্পটি সংগ্রহ করে ১৮৮৩ সালে প্রথম গ্রন্থাকারে সঙ্কলন করেন সিলভিও রোমেরো।
গল্পে চলে যাই। এক ছিলো রাজা আর তার ছিলো রাণী। সমুদ্রতীরে তাদের সুখের রাজ্য। প্রাসাদকেল্লা ধনজন সহায়সম্পত্তি সব ছিলো অঢেল, কিন্তু দীর্ঘকাল দাম্পত্যজীবন যাপন করেও সন্তানের মুখ দেখতে পান না রাজারাণী। রাণী মুষড়ে পড়েন, রাজা মুখ শুকনো করে রাজ...