আগের পর্বগুলো এখানে:
জয়বিজয়
দিন যায়, হিরণ্যকশিপুর শাসনকালে খুবই উজিয়ে ওঠে দৈত্যরাজ্য। যাকে বলে সুবর্ণযুগ। সব ঋতুতে সব ফলফলাদি পাওয়া যায়, জমিতে অঢেল শস্য তো হয়ই, সমুদ্র থেকে পর্যন্ত সম্পদ আহরণ করা হয়। প্রজারা সুখে আছে, রাজার মনেও আনন্দ।
...
হিরণ্যকশিপুর ইচ্ছে ছিলো বাড়ী এসে ভালো করে স্নান টান করে কোমল শ্বেতবস্ত্র পরে পেট ভরে ভাত, ডাল, তরকারি, মাছভাজা, মাংসের ঝোল আর শেষপাতে দই মিষ্টি খেয়ে কাঁথামুড়ি দিয়ে একবেলা খুব ঘুম দিয়ে তারপরে কাজকর্ম শুরু করবে। কিন্তু হায়, রাজার জীবনে সে কি হওয়ার জো আছে?
সে বাড়ীতে পৌঁছানোর আগেই তো ত্রিলোকে ব্রহ্মার এই বরের কথা রটে গেছে বাতাসের বেগে। নানা জায়গায় তার নানারকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। ...
আজকে বরং স্ট্রিং তত্ত্বের উৎপত্তি আর বিকাশ নিয়ে কিছু কথা হোক। একেবারে শুরুর কথা বলতে গেলে বলতে হয় ১৯৬৮ সালের কথা। তখন বিজ্ঞানীরা খুব ঝামেলায় আছেন তীব্র আন্ত:ক্রিয়া (স্ট্রং ইন্টারঅ্যাকশন ) নিয়ে। এটা দেখা যায় নিউক্লিয়াসে থাকা প্রোটন আর নিউট্রনেদের ভিতরে। এটা কিভাবে যে কাজ করে বোঝা যাচ্ছে না। আমাদের পরিচিত জগতে যত আন্ত:ক্রিয়া, সবের মানই দূরত্বের সা...
কথা ছিলো দেখা হবে
আকুল দখিন হাওয়ায়
মাতাল বেণুমর্মর রাতে।
কথা ছিলো দেখা হবে
অচেনা সমুদ্রতীরে-
ফেনামাখা ঢেউ ধোয়া
নোনাবালির 'পরে।
আকাশে শেষরাত্রির
তারারা তখনো উজাগর
পুবের মেঘে গোলাপী কাঁপন
শিশিরভেজা আল্পনা ভোর।
কথা ছিলো দেখা হবে
গৌরীশৃঙ্গ কিনারে।
উর্ধ্বমুখ অরণ্য তখন নি:শব্দ মন্ত্রে
আলোর প্রার্থনা গাইছে।
কথা ছিলো দেখা হবে
উন্মুক্ত সমুদ্...
আগের পর্বে দেখা গেছে হিরণ্যকশিপুর পাঁচ মিনিটের ছোটো যমজ ভাই হিরণ্যাক্ষকে দেবাদিদেব বিষ্ণু বরাহ অবতারে এসে হত্যা করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হিরণ্যকশিপু খুব রেগে গেল। তার রাগার সঙ্গত কারণ ছিলো। হিরণ্যাক্ষের এমন কোনো অপরাধ ছিলো না ছিলো না যে বরাহ অবতার হয়ে এসে বিষ্ণুর তাকে মারতে হবে। এদিকে হিরণ্যাক্ষের ঘরে প্রায় সদ্য-বিবাহিতা পত্নী, সেই মেয়েটির বিধবা জীবন কাটাতে হবে বিনা দ...
মাঝরাত পার হয়ে ডুবে গেলে চাঁদ -
উপরে তারারা যখন কুয়াশায় আধোঘুমে,
তখন আমরা বেরিয়ে পড়বো।
প্রথম ত্রিস্রোতা পার হবার সময়
শক্ত করে আমার হাত ধরে রেখো,
পা ফসকে ভেসে না যাই।
আলাভোলার মাঠ পার হতে হতে
যখন জড়িয়ে যাবো মাকড়সাজালে,
তুমি যত্ন করে জাল সরিয়ে দিও।
ডাকহরিণের জঙ্গলের কাছে এসে
আমরা প্রথম লেবুরঙের ভোর পাবো।
সেইখানেই নদী, সুনেত্রার ঘাট-
ঐ ঘাটেই আমাদ...
কশ্যপ আর দিতির ঘরে যমজ পুত্রসন্তান হলে আনন্দে তারা আপ্লুত। নাম রাখা হলো হিরণ্যকশিপু (স্বর্ণকেশ) আর হিরণ্যাক্ষ(স্বর্ণনয়ন)। চেহারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নাম। ( এসব দেখে মনে হয় সোনালী চুল সোনালী চোখের এই মানুষেরা উত্তরপশ্চিমাংশের বা উত্তরের কোনো মানুষদলের লোক )। দিতির সন্তান বলে এরা দৈত্য নামেও পরিচিত।
গণকঠাকুর গণনা করে কইলেন দুই পুত্র খুবই তেজস্বী আর শক্তিশালী হবে, শস্ত্রবিদ্য...
উপমহাদেশের পুরান নানান চমকপ্রদ কাহিনিতে ঠাসা। আজকে বলি জয় আর বিজয়ের গল্প।
জয় আর বিজয় ছিলো বৈকুন্ঠের দুই দ্বাররক্ষক। বৈকুন্ঠপুরীর মূল ফটকের দু'পাশে শূলহস্তে দাঁড়িয়ে তারা নিত্য প্রহরা দিত। খুবই কর্তব্যনিষ্ঠ ছিলো তারা দুজনেই। বৈকুন্ঠপতি বিষ্ণু আর তাঁর পত্নী লক্ষ্মী দু'জনেই ছেলেদুটির উপরে খুবই প্রসন্ন ছিলেন।
একদিন মহাতেজা মুনি দুর্বাসা এসে ফটকে হাজির। খবর দেবার তর সয় না ত...
বর্তমান সময়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে একটা অভিযান চলছে একীভূত ক্ষেত্রতত্ত্ব খুঁজে পাবার৷ ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরি৷ এই থিওরি মিলিয়ে দেবে অতি ক্ষুদ্র আর অতি বৃহতের জগত৷ মিলিয়ে দেবে কোয়ান্টাম তত্ত্ব আর সাধারণ আপেক্ষিকতাকে(জেনারেল রিলেটিভিটি), এইরকম যুক্তিগ্রাহ্য আশা করা হচ্ছে৷
কোয়ান্টাম তত্ত্ব কাজ করে সাব-অ্যাটমিক কণাদের নিয়ে, সমস্ত ...
আজকে বিশ্বতত্ত্বের আরেক চমকপ্রদ মডেল নিয়ে কিছু কথা। মাল্টিভার্স বা বহুজগৎ তত্ত্ব। কিভাবে এলো এই তত্ত্ব? কারাই বা দিলেন এই তত্ত্ব?
ক্যালটেকের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ শন ক্যারোল চিন্তিত ছিলেন সময়ের গতিমুখ নিয়ে। কেন সময় একমুখী? কেন সর্বদাই গতকাল থেকে আজ হয়ে আগামীকালের দিকে বয়ে চলে সময়? সময়ের ধারা কি উল্টোদিকে বইতে পারে কোথাও? কোথাও কি আগামীকাল->আজ->গত...