অনেকদিন ছবি টবি নিয়ে কিছু লেখা হচ্ছে না, অপরূপ সব সকাল-সন্ধ্যা দৌড়ে দৌড়ে টুকি টুকি টুকি টুকি করে হারিয়ে যাচ্ছে, ছবি নিবো বলে যখনই বেরোই তখনই দেখি আর সেই দৃশ্য নেই! তাই এখন আর ক্যামেরাই আর নিই না। ঝাড়া হাত পায়ে বেরিয়ে পড়ি। আর তখনই একদিন দেখি আকাশে ঠিক এক বিরাট গোলাপী পালকের মতন মেঘ, তোলা হলো না, কোথায় সে পালক উড়ে গেল!
এইসব চাওয়া না চাওয়া, পাওয়া না পাওয়া ভাগ করে নিতে তাই আবার সেই বন্ধুদ...
২
পাড়াটা মস্ত মাঠের মধ্যে। এ ধারে ওধারে ছড়ানো ছোটো ছোটো গোটা কয় বাড়ীঘর, বাড়ীগুলো ঘিরে ছোটো ছোটো ফল বা সব্জির বাগান, তাকে ঘিরে সীমানাবেড়া। পথঘাট কাঁচা, মাটির। অনেক পরে সেগুলোতে ইঁট ফেলা হয়। বাড়ী কম, মাঠই বেশী। এদিকে ওদিকে অনেক খেজুর গাছ, দু'খানা বটগাছ আর গোটা কয়েক পুকুর।
এত কম সংখ্যক বাড়ী থাকার জন্য সবাই সবাইকে চেনে, যাতায়াতও আছে সবার সব ...
১
গড়ানে জমির উপর ঘাসফুলেদের লাল-নীল-বেগুনী-হলদে নকশা যতদূর চোখ যায় ছড়িয়ে আছে, কখন কোন্টা জ্বলজ্বল করে ওঠে, গল্পের সুতো খুঁজে পাওয়া যায়। আবার কখন হারিয়ে যায়, তখন আর নেই। কেমন অদ্ভুত মজার যাদু! ছড়ানো ঘাসজমিতে আগে পরে বলেও কি কিছু হয়? কোন্ ঘটনা আগে ঘটেছিলো, কোন্ টা পরে, পক্ষীদৃষ্টিতে দেখলে এই প্রশ্নের কোনো মানেই হয় কি?
ঐ তো দেখা যাচ্ছে এক গ্রীষ্মবিকেল। দেখা যাচ্ছে ফ্রকপরা পুতুলকে...
আমার একটা স্বপ্নের জার্নাল ছিলো, তার পাতাগুলো সাদাই ছিলো, কোনোদিন কিছু লেখা হয় নি। আস্তে আস্তে বিবর্ণ হলদেটে হয়ে পাতাগুলো কেমন জীর্ণ হয়ে গেল, তখন একদিন সে কাগজগুলো আরো অনেক পুরানো খবরের কাগজের সঙ্গে জ্বেলে আগুন করলাম এক শীতের বিকালে। আগুনের সোনালী-কমলা শিখাগুলো ঘিরে বসে হাতের পাতা সেঁকতে সেঁকতে চা আর মুড়ি খাচ্ছিলাম আমরা।
গতজন্মবেলা পৌষের গভীর রাতের ফিনিকফোটা জ্যোৎস্নার মতন, যখন মনে পড়িপড়ি করে কবেকার বিকালের হারানো নীল পুঁতিমালা, আকাশে ডানামেলা মেঘ আর কী যেন একটা কথা যা কবেই ভুলে গেছি।
নরম পালকের মতন হাওয়া, এক্কাদোক্কা খেলার উঠানজোড়া ছক আর কি একটা নাম না জানা পাখি যে উড়তে উড়তে চলে গেছিলো দিগন্তের ওপারে। এইসব এলোমেলো এলোমেলো স্মৃতিবেদন, বেদনসুখ..... সুখের গভীরে সোন...
এও বহুদিন আগের কথা,সেই কোমলগান্ধারের সময়ের। তখনও সবকিছু হালকা, আলগা, উড়োউড়ো পালকমেঘের মতন। প্রজাপতিডানার রেণুধূলির মতন উড়ে উড়ে এসে লাগতো মুখে,চুলে,চোখের পাতায়। সেই সময়ের কথামালা এগুলো। কিছুদিন আগে ফের স্মৃতির ধূলা সরিয়ে সরিয়ে, প্রাচীন দেওয়ালের সবুজ দরোজাটা খুলে উঁকি দিয়ে দেখছিলাম, দানাদানা নুনচিনির উপরে রোদ্দুরের মতন ঝিকিয়ে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছিল...
অনেকদিন আগে, জগৎজোড়া জালের জগতে তখন হাঁটি হাঁটিপা পা করে চলছি আর থমকে থেমে থেমে দেখছি কি হচ্ছে সেখানে। যা দেখি অবাক লাগে। খুঁজতে খুঁজতে খুঁজে পেয়েছিলাম নিজের ভাষা, বৈশাখের দুপুরবেলা যেন মিশরে ঘুরতে ঘুরতে মরুভূমির উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মরুদ্যান দেখা। সে এক অতীব আশ্চর্য অনুভূতি।
আজকে একটা হিট্টাইট উপকথা। হিট্টাইটরা থাকতো আনাতোলিয়ায়(বর্তমান তুরষ্ক), এদের খুব রমরমা ছিলো খ্রী:পূ: ১৫৯০ নাগাদ, তারপরে খ্রী:পূ: ১২০০ নাগাদ আস্তে আস্তে পতন ঘটে, তারো পরে আরো কয় শতাব্দী এরা ছিলো ঐখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে, তবে তখন ক্ষমতা-টমতা আর বিশেষ ছিলো না জাতি হিসাবে।
ইহুদীদের সঙ্গে এদের একসময় কিছু কানেকশান হয়েছিলো, সলোমনের মা বাথশেবা একজন হ...
আফ্রিকা মহাদেশের উপকথাগুলি বিচিত্ররকম সুন্দর। হয়তো এতরকমের মানুষ, এত রকমের সমাজভাবনা, এত ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র, এত ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, গল্প বলা আর শোনার দীর্ঘ ট্রাডিশন-এইসবই উপকথার এত সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে তুলেছে।
মিশর-সেই আশ্চর্য রহস্যময় দেশ। এদের উপকথাও আশ্চর্য সুন্দর। সৃষ্টির ঊষালগ্নে সূর্যদেবতা রা নিজেকে সৃষ্টি করেন, নিজেকে একা দেখে তারপরে সৃষ্টি করেন বাতাসদেবতা শু কে আর বাষ্পের দেবতা তেফনাতকে। শু আর তেফনাত মিলিত হন, সৃষ্টি হয় গেব (ভূমিদেব) আর নাত (আকাশদেবী)। রা য়ের অশ্রুজল থেকে সৃষ্টি হলো প্রথম মানুষ, তারপরে তিনি বানালেন পাহাড়, বন, পশুপাখি---বাকী সবকিছু।
প্রত্যেকদিন পুব আকাশে উদি...