কালকের কান্ডে সাহস পেয়ে আজো তুলে দিলাম দু'খানা ছবি।
ছবির সাথে লেখা আমার কেমন যেন বাহুল্য মনে হয়। ছবি নিজেই তো কথা বলে, কান পেতে সেকথা শুনতে চাইলে কত কী ই তো শোনা যায়! তাই নয়?
অনুগ্রহ করে কেউ বিরক্ত হবেন না। আমি ফ্লিকার থেকে এমবেড করা শিখতে চাইছি বলে পরীক্ষামূলকভাবে এই ছবি ছাপ ওয়ালা পোস্ট দিচ্ছি।
ওরে এসেছে রে এসেছে রে এসেছে!
জীও প্রকৃতিপ্রেমিক, শিখে ফেলেছি।
অনেক ধন্যবাদ, পিপিদা। কত কী যে শিখতে পাই সচলে। ধন্য সচলায়তন।
৩
রাত্রে খুব জ্বর এলো রুবেনের৷ জ্বরের ঘোরে ছটফট করে কিসব বলে যায়, সত্যকের অচেনা একটা ভাষায়৷ কিছু বুঝতে পারে না সত্যক, কিন্তু প্রলাপের জড়ানো কথাগুলোর মধ্যে ভয়, কষ্ট আর ক্লিষ্ট আর্তভাব কানে ধরা পড়ে৷ পাশে বসে ওর কপালে বরফ দিতে দিতে সত্যকের দুশ্চিন্তা হয়৷
কাছেই রয়েছে সত্যকের ঘরের কাজে সাহায্যকারী রোবট ...
পাহাড়ের এত উপর থেকে উপত্যকাটি খুব সুন্দর লাগছে, অচলায়তনের দরোজা খুলে নীল পাহাড় সবুজ উপত্যকা আর জলছলছল নদীটি পেরিয়ে চলে যেতে থাকা সেই পঞ্চকের মতন খুব গাইতে ইচ্ছে করছে, "তুমি ডাক দিয়েছ কোন্ সকালে কেউ তা জানেনা / আমার মন যে কাঁদে আপনমনে কেউ তা মানেনা / ফিরি আমি উদাস প্রাণে / তাকাই সবার মুখের পানে / তোমার মত এমন টানে কেউ তো টানেনা!"
সে কি পঞ্চক? নাকি অমল? নাকি সেই মুক্তধারা ঝর্ণার কিন...
আর পারা গেল না,নেমে আসতেই হলো। গেছিলাম ইচ্ছাপাহাড়ে নিরুদ্দেশে, ভেবেছিলাম ফিরব যখন ইচ্ছা হবে তখন। অনেকদিন পরে, যখন আমাকে ভুলে যাবে সবাই, তখন এসে জানালায় টুকি দিয়ে বলবো, এই এই শোনো, মনে আছে সেই নীল পাখিটাকে?
কিন্তু কোথায় কি? ঝড় ঝর্ণা বিজলী বাদল পার হয়ে ডানায় জড়িয়ে যায় কিসের জানি টান। বুঝি কি বুঝি না করতে করতে দেখি সচল খুলে ফেলেছি। খুলে খুলে দেখছি আর আমার ভুলে যাওয়া গতজন্মবাড়ীর বিষাদ ...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা(চলছে)
দেবতারা প্রচুর জ্বালানি বিস্ফোরক সাজিয়ে রেডি হলেন, যেই না চিল লোকী সগ্গের পাঁচিলের উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছে, অমনি ওনারা আগুন দিলেন বিস্ফোরকে। থেয়াসের পাখায় আগুন লেগে গেলো। থেয়াস মরে গেলো আর তার চোখজোড়া আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে তারা বানিয়ে দিলেন আদিদেবতা অদীন, যাকে কিনা সাহেবরা বলে ওডিন, যার নামে বুধবার।
থেয়াসের মেয়ে সব শুনে অত্যন্ত শোকে কাতর হলো তা...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা
১
দেবতারা থাকতো স্বর্গে মানে আস্গার্ডে, মানুষেরা মর্ত্যে মানে মিডগার্ডে আর দত্যি দানো অসুরেরা আর সব বাকীরা নয়টি লোকের বাকী সাতটিতে। ভারী সুন্দর এক রংধনুর সেতু ছিলো স্বর্গ থেকে পাতাল অবধি। আগে ঝগড়াঝাঁটি ছিলো না কিনা, তাই ভাবভালোবাসা আর যাতায়াত ছিলো দেবতাদৈত্যে। কিন্তু পরে ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আলাদা হয়ে গেলো। সেতুর উপরে পাহারা বসলো। বিরাট শিঙা নিয়ে দেবতা হ...
২
টিনিয়াম এক ছোট্টো গ্রহ, টাইনি থেকে টিনিয়াম৷ এটা স্বাভাবিক গ্রহ নয়, যেসব অ্যাস্টরয়েডদের গতিপথ পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে কাছ দিয়ে গেছে, পরিভাষায় যাদের নীয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড বলে, যারা বহুকাল পৃথিবীর পক্ষে খুব বিপজ্জনক ও ভয়ের ছিলো, ইম্প্যাক্টের সম্ভাবনার জন্য-- সেইসব নিকটপৃথিবী স্পেসপাথর জুড়ে জুড়ে তৈরী হয়েছে টিনিয়াম৷ যা ছিলো ব...
গ্রীক উপকথা
আরিয়াডনে ছিলেন ক্রীটের রাজা মিনোসের মেয়ে। রাজা মিনোসের ছেলে আথেন্সে গিয়ে নিহত হয়। রাজা পুত্রহত্যার প্রতিশোধ নিতে আথেন্স আক্রমণ করেন। যুদ্ধ কিছুকাল চলার পরে সন্ধি হয়, সন্ধিচুক্তিতে ছিলো আথেন্স প্রতি বছর কিছু তরুণ তরুণীকে ক্রীটে পাঠাবে, এরা আর আথেন্সে ফিরে যাবে না। এরা মিনোসের রাজ্যে ল্যাবিরিন্থের ভিতরে থাকা অর্ধ ষাঁড়-অর্ধ মানব মিনোটরের খাদ্য হতো। এদের এক এক কর...গ্রীক উপকথা
১
সত্যকের রোবট দুজন, নাইন্টি-টু আর হান্ড্রেডটেন যাদের উনি নান্টু আর হ্যান্ডু বলে ডাকেন, এরা দুজন এসে রুবেনকে সত্যকের পায়ের কাছে ফেলে মাথা ঝুঁকিয়ে সেলাম করে চলে গেলো৷ নান্টু আর হ্যান্ডু দরকার ছাড়া কখনো কোনো কথা বলে না, এরা দুজনেই অ্যাকশন-ধর্মী রোবট, কথা কম কাজ বেশী নীতি এদের৷
রুবেনকে দড়াম করে ফেলেছিলো ওরা, অল্প কাতরানি শোনা গেলো৷ রুবেনের জামায় এখানে ওখানে লাল দাগ, হয়তো...