ডিরাকের এই সমুদ্র ব্যাপারটা বহুকাল লোকের কাছে খটকা হয়ে ছিলো। ঠাসাঠাসি ভর্তি হয়ে থাকা নেগেটিভ এনার্জীর এই ব্যাপারটা খুব বাস্তবসম্মত ঠেকে না, নিতান্ত ক...
ঐখানে শব্দের কয়েক টুকরা সবুজ দ্বীপ জেগে ছিলো নৈঃশব্দ্যের আদিগন্ত নীল সমুদ্রের বুকে। শব্দে ও নৈঃশব্দ্যে ছিলো গোপণ বোঝাপড়া। তাদের খেলা দেখতে সূর্য উঠতো পুবে, আবার খেলা দেখতে দেখতেই বেলা ঢলে পড়তো।একদিন ঈশান কোণ থেকে ঘূর্ণীঝড় উঠে এসে ওদের সব হিসাব এলোমেলো করে দিলো-
এখানে সোনালী রূপালী শব্দেরা সাঁতরে বেড়ায়-
তণ্বী রূপালী মাছেদের সঙ্গে খেলা করে,
কালচে সবুজ নরম শৈবালের মধ্যে
লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষের অন্ধকার তখন ছড়িয়ে ছিলো আমাদের ঘিরে, তবু আমরা মিলে ছিলাম- অবিচ্ছিন্ন, অখন্ড, এক। আমরা ভেসে চলেছিলাম একসঙ্গে, অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রের অন্তহীন ঢেউয়ের মতন। কোনো দিক জানা ছিলো না, সর্বদিকশূন্য নিবিড় সে সুধাসমুদ্রে জড়িয়ে মিশে ছিলাম আমরা।
তারপর আলো হলো-এক কণা আলো, দুই কণা আলো, তারপরে তীব্র আলোর বিস্ফোরণ- জ্বলে উঠলো সবদিক।
সে এলো অবশেষে। নক্ষত্ররাত্রির রহস্যময় বাতাসের মতন হাল্কা, নরম পায়ে সে এলো। সে এলো উতল কুলহারা ঢেউয়ের মতন, সে এলো উড়ন্ত অলীক পাখির গল্পের মতন.....
চোখ মেললাম তাকে দেখবো বলে।চোখ ঝাপ্সা হয়ে এলো দ্রুত, শুধু দূরাগত বৃষ্টির গন্ধের মতন ঘ্রাণ এসে লাগলো চোখেমুখে....
ঝুঁকে পড়ে সে আলতো গলায় বললো- "চলো, চলো, যাবে না?"
মেঘমিনারের জ্যোত্স্নারঙের পাখি
রাতমোহনার অলীক চক্রবাকী-
হাত বাড়িয়ে যেই না ধরতে চাওয়া
মুঠায় থাকে হাল্কা হাওয়ার ফাঁকি!
আঁক কষলেই শুভঙ্করের ফাঁকি
চা...
সেই শত শত মেসন আর ব্যারিয়নই শুধু না, আরো গেরো ছিলো।
এমনিতে শ্রোডিংগারের সমীকরণ দিয়ে দিব্যি কোয়ান্টাম পার্টিকলের গতিবিধি বের করা যায়। ওয়েভ ফাংশন, এনার্...
নিঃসংশয় অন্ধকার থেকে
হেঁটে যাই সংশয়ী আলোর দিকে-
পায়ে বাধা আসে, শঙ্কায় কেঁপে ওঠে দখিণ হাওয়ার মর্মর
তবু পুরানো দীর্ঘশ্বাস মুছে ফেলে
এগিয়ে যাই আস্তে আস্...
টুপ্ করে জলে পড়ে ঢিল
বৃত্ত কেটে ছড়িয়ে পড়ে ঢেউ
বৃত্তের পর বৃত্ত, আরো আরো বৃত্ত-
অফুরাণ বৃত্তেরা ....
সারিন্দা বাজায় বুড়ো,
ধূপগন্ধের মত ছড়িয়ে পড়ে সুর-
নূর ...
এ পরণকথা নানাভাবে লেখা যায়
পাতায় পাতায় জলকুঁড়িছাপ এঁকে,
অথবা মোমের নরম আলোর পাশে
শীতসন্ধ্যার অভিমানী স্বর রেখে।
সেই রূপকথা হারিয়েছে জলবনে
সাঁঝবাতিরাও নিভে গেছে দূর সাঁঝে-
ধোঁয়া ধোঁয়া মোড়া অবাক মেঘের মাঠে
হয়তো বাঁশীতে আজো সেই সুর বাজে।
এই ইতিকথা নানাভাবে লেখা যায়
শিলা ক্ষুদে ক্ষুদে গাঢ় লাল রঙ ঢেলে,
ভুল নাবিকেরা নেমেছে কুমারী দ্বীপে
মুঠো মুঠো ঘাসে ছিন্নপ্রলাপ জ্বেলে।
সে বেশ অনেকদিন আগের কথা। পদার্থবিজ্ঞানীরা তখন মহা ফূর্তিতে। মাত্র তিনরকমের মূল কণা-প্রোটন, নিউট্রন আর ইলেকট্রন, এই দিয়েই সব কিছু হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে...