(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - ইহা একটি গবেষণামূলক জ্ঞানের লিখা। রস খুজিয়া হতাশ হইলে লেখক দায়ী নহে)
ভেবেছিলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করিই লিখে ফেলব - এসো নিজে করি - কিভাবে কাঁদবেন / How to cry। পরে মনে হল এত বিস্তারিত গবেষণায় কাজ নেই। অল্প কথায় কাজ সেরে মানে মানে কেটে পড়ি।
লেখা শুরু করি অভিযোগ জানিয়ে। আমি দুর্ধর্ষ একজন লেখক। বিদ্যুৎ গতিতে আমি লিখে যাই। দিনে মিনিমাম কয়েকশত গদ্য, পদ্য। সচলায়তনে আমার মোট দুই লাখ ছেচল্লিশটা লেখা ছিল। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি দুইলাখ লেখা গুম! ছিল দুইলাখ ছেচল্লিশটা লেখা, এখন গুনে দেখি আছে মাত্র ছেচল্লিশটা। বাকি দুইলাখ লেখা (যার বেশিরভাগই প্রেমের পদ্য ছিল অবশ্য) রাতের বেলা ট্রাকে করে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হয়েছে । অথবা হয়তো ইলেকট্রিক চুল্লিতে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে সেই ছাই দিয়ে সচলের মডুরা দাঁত মেজে ফেলেছে । যাই হোক, অভিযোগ করা শেষ। আমার দুই লাখ লেখার গায়েবানা জানাজা করে এবারে টিউটোরিয়াল শুরু।
মহিলার বয়স আশি হতে পারে, নব্বই হতে পারে, এমনকি একশোর বেশীও হতে পারে। এরকম থুত্থুড়ে বুড়ি আমি জীবনেও দেখিনি। একজন মানুষের শরীররে এত ভাঁজ থাকাও সম্ভব?
মোহনপুর গ্রামের জয়নালের স্ত্রী প্রাপ্তবয়স্কা ছিলেন সন্দেহ নেই। তবে তার মেয়েটি কিশোরী ছিল। পাশাপাশি ঘরে মা মেয়েকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানী বাহিনী। মা শুনতে পায় কন্যার আকুতি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা শুনে মায়ের আকুতি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
রাক্ষসের চেহারা কেমন ? ভয়ংকর, পৈশাচিক, বিকৃত।ছোটবেলা থেকে আমরা রাক্ষস, খোক্কস, আর ভোক্কসদের গল্প শুনে বড় হয়েছি।
ঠাকুরমার ঝুলির ভয়াল দর্শন সেই রাক্ষসেরা। কাউকে সরাসরি যুদ্ধ করে মারা যায়, কারো কারো প্রাণ ভোমরা আবার লুকানো থাকে কৌটার ভেতর। কিন্তু কাজ যত কঠিনই হোক না কেন কোন না কোন রাজকুমার শেষ পর্যন্ত সেই রাক্ষসকে বধ করেই ছাড়ে।
গত পর্বে নরম স্বামী আর নরম সাহিত্যিক হওয়ার কায়দা শিখিয়েছি। বেশী কথা না বলে এই পর্বে নরম মুসলমান, নরম মানবতাবাদী, আর নরম দল হবার কায়দা শিখিয়ে কোর্স কমপ্লিট করি।
শিরোনাম দেখে হয়তো খাবি খাচ্ছেন, এ আবার কি শিখাতে আসলাম। ধৈর্য ধরুন, আস্থা রাখুন। এই আমি আপনাদেরকে কিভাবে লেখালেখি করতে হয় শিখিয়েছি, কিভাবে গবেষণা করতে হয় শিখিয়েছি, কিভাবে ইন্টার্ভিউ দিতে হয় শিখিয়েছি, প্রেম করতে শিখিয়েছি, এমনকি ত্যানা প্যাঁচানোটা পর্যন্ত শিখিয়ে দিয়েছি। সুতরাং আজকেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু শেখাবো, ঠকবেন না। বস্তুত আজকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটাই হয়তো শিখে যাবেন, কিভাবে নরম হবেন। নরম বলতে পারেন, নিষ্ক্রিয় বলতে পারেন, মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী বলতে পারেন আবার সুশীলও বলতে পারেন। ঘুরে ফিরে একই কথা, যেই লাউ সেই কদু।
বিশ্ব ঘুরতে কয়দিন লাগে? বড়জোর তিনদিন। সেইদিন কি আর আছে যে ফিলিয়াস ফগ হয়ে ভৃত্য প্যাসেপার্তুকে বগলদাবা করে বিশ্বকে চক্কর দিতে পুরা আশি দিন লাগাবেন আর ফিরে এসে সেইটা নিয়ে আবার বিতং করে বই লিখে ফেলবেন। ঢাকা থেকে এমিরেটস এ চড়ে ৪ ঘণ্টায় দুবাই চলে যান। প্লেনে বাথরুম চাপলে বা থুতু ফেলতে মন চাইলে পাকি দেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্লেনের জানালা খুলে কাজ সেরে ফেলুন চটপট।
রাজ্জাক ঘটক একটু গলাখাকারি দিয়ে বললেন,
- মেয়ের সবই ভালো খালি একটু মুখ খারাপ।
আমি উৎকণ্ঠিত হয়ে বললাম,
- চেহারা খারাপ? মুখে ব্রণ ?
- না না, চেহারা মারাত্মক। স্কিন খুবই সুন্দর। মুখ খারাপ মানে একটু মুখের ভাষা একটু খারাপ আরকি।
- ও, ব্যাপার না।
বড়মামা ক্ষেপে উঠে বললেন, দুই লাখ থেকে চার আনাও বেশী না। তুই কথা না বলে মুখে টেপ মেরে বসে থাক। এমন কোন হালুয়া মেয়ে না যে বিশলাখ টাকা দেনমোহর দিতে হবে।
মামার বলার দরকার ছিলোনা, আমি এমনিতেই মুখে টেপ না হলেও রুমাল মেরে বসে ছিলাম। তবে মেয়ে একটু হালুয়া আছে। গাজরের না হলেও সুজির তো অবশ্যই।
মেয়ের খালা বললেন, মেয়ের বড়বোনের বিয়ে হয়েছে বিশ লাখে। ছোটবোন কি বানের জলে ভেসে আসছে?