ছোকরা দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলে, উ উ উ উ ডাক্তার সাব ব্যথা।
আমার প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেল এবার। এইরকম আজব পেশেন্ট আমার বিশ বছরের জীবনে দেখিনি। আর কসম খোদার আমি বিশ বছরের ডাক্তারি জীবনে নিতান্ত কম দেখিনি। একবার এক রোগী এসে কাঁচুমাচু হয়ে আধা ঘণ্টা বসে ছিল। বারবার জিজ্ঞেস করি সমস্যা কি। মিনমিন করে লাজুক গলায় কি যেন বলে। অবশেষে একটা ধমক খেয়ে একটু জোর গলায় বলে,
- ডাক্তার সাহেব আমার হিট হয়না।
- আপনের ঘটনা কি? গদ্য না পদ্য?
কাদের তার পাশে বসা বাবরী চুলের দুখী দুখী চেহারার লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো।
- পদ্য
- এহহে , তাইলে গেঞ্জাম বেশি। গদ্য হইলে আমি ওসি সাবরে বলে অল্পের উপর ঝামেলা শেষ করতে পারতাম। পদ্যের উপর মনে করেন রাগটা বেশি। পদ্য একটু হিন্দুয়ানী ব্যাপার না। বুঝেনই তো।
বাবরী চুল কিছুক্ষণ চুপ থেকে কাদেরকে জিজ্ঞেস করে,
- আপনার কি গদ্য?
তেত্রিশ বানর নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড হয়ে যাবার পর আবু ইউসুফ এদের বিদায় করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেল। ব্যাটা বদমাশ আমাকে বলে,
- তোর গত জন্মদিনে তো আমি কিছু দেইনি। এই তেত্রিশ বানর আমি তোর জন্মদিনের উপহার দিলাম
আমি বললাম,
- শুধু গত না বিগত কোন জন্মদিনেই তুই আমাকে কিছু দেস নাই। আগত কোন জন্মদিনেও কিছু দেয়া লাগবে না। আমারে মাফ কর।
১
একজন মানুষের বাসায় যে তেত্রিশটা বানর থাকতে পারে সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। আবু ইউসুফ এর কাজ কর্ম সবসময়েই উল্টাপাল্টা। বিজ্ঞানী মানুষ অবশ্য একটু পাগলাটে না হলে মানায় না। এর আগে ইউসুফ যখন কোমল সাহিত্য মেশিন বানিয়েছিল, তখন ওটার ডেমো দেখানোর জন্য আমাকে ডেকেছিল। বলে, তুই তো ব্লগে নানা উল্টা পাল্টা কথা লিখিস, তোর কিছু লেখা দে, আমার মেশিনে ঢুকিয়ে দেখি কেমন কাজ করে। আমি ওকে ভালোবেসে মুড়ি খা বলে চলে এসেছিলাম। পরে ওর মেশিন এর দুর্গতির কাহিনী শুনে সমবেদনা জানাতে বাসায় গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। এক রুমের ভিতর নানা আকারের নানা জাতের তেত্রিশটা বানর পুরে রেখেছে। ঘটনা প্রথমে চেপে যাবার চেষ্টা করলেও পরে অনেক পীড়াপীড়ির পর ব্যাটা মুখ খুলল। কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম। সে তার বানরের পালকে কবিতা লেখা শিখাতে চায়। বলে, বিজ্ঞানী সফদর আলী যদি গিনিপিগ ট্রেনিং দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করাতে পারে তবে আমি কেন বানর দিয়ে কবিতা লিখাতে পারব না? সফদর আলী যে একটা গল্পের চরিত্র এটা কিছুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। এরপরে বানর দিয়ে কবিতা লেখানর কি দরকারটা কি সেটা বুঝার চেষ্টা করে নৌকাই ছেড়ে দিলাম।
আমাদের ক্লাসের অপু আর দীপুর নাম কিভাবে লছাগু গছাগু হয়ে গেল সেই গল্প বলি। অপু আর দীপুর মধ্যে মিলের চেয়ে অমিলই বেশী ছিল। অপু লম্বা, চিকন। অপুর বুদ্ধিশুদ্ধিও বেশ লম্বা লম্বা, চিকন চিকন। ক্লাসের ফার্স্ট বয় না হলেও পড়াশোনায় ভালোভাবেই উতরে যেত। খেলাধুলায় ভালো। আবার বিতর্ক করতো বেশ। দীপু গোলগাল, বেঁটে। বুদ্ধিও বেশ গোলগাল। পাশ ফেল ছাড়াও বিবেচনায় উত্তীর্ণ বলে যে একটা গ্রেড আছে সেটা আমরা দীপুকে দেখে
কিছু কিছু দিন আসে যার পুরোটাই খারাপ। এমন দিনের শুরু হয় ঘড়ির অ্যালার্ম ঠিকমতো না বেজে। এরপরে তাড়াহুড়ো করে শেভ করতে গিয়ে গাল কেটে যায়। গাড়ীতে উঠে দেখা যায় তেলের কাটা শূন্যের কাছে। স্টারবাকস এ কফি নিতে গিয়ে দেখা যায় রুম ফর ক্রিম বলার পরেও ব্যাটারা টইটুম্বুর করে কফি ভরে দিয়েছে। পেছনের গাড়ীটা অযথাই হর্ন দিয়ে মেজাজ খারাপ করে দেয়। কিউবে যাবার পথে বসের সাথে দেখা হয়ে যায়, আড়চোখে একবার ঘড়ি
তোমারা যারা শিবির কর লিখে ডক্টর জাফর ইকবাল ব্যাপক নন্দিত নিন্দিত হয়েছেন। শিবির কি জিনিস সেটা এতদিনে ডক্টর জাফর ইকবালের ভালো করেই জেনে যাবার কথা। সুতরাং তোমার যারা শিবির কর বলে সুন্দর কিছু কথা বলা মাত্র শিবিরের দুষ্টু ছেলেরা আমার সোনার পূর্ব পাকিস্তান আমি তোমায় ভালোবাসি গাইতে গাইতে লাইনে চলে আসবে, এটা কষ্ট কল্পনা। যাইহোক, কিছু অন্যরকমের মানুষ তবুও ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়, উলুবনে মুক্তো ছড়ায়
মানুষ সাঁতারু হয়, দাবাড়ু হয়, একুশ বছর বয়সে আমরা হয়েছিলাম দুর্ধর্ষ চ্যাটারু। একুশ বছর বয়সে IRC এর যুগে চ্যাট করা শুরু। এ যুগের গেঁদা বাচ্চাদের জন্য IRC কি ছিল সেটা আগে ব্যাখ্যা করি। Internet Relay Chat (IRC) is a protocol for real-time Internet text messaging (chat) or synchronous conferencing...
আজাদের মা
১৯৮৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মা। তার ঠিক ১৪ বছর আগে ৭১ এর আগস্টে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পরে আজাদ। এই পুরা ১৪ বছর আজাদের মা ভাত না খেয়ে কাটিয়েছেন। কারণ শেষ দেখার সময় আজাদ তার কাছে ভাত চেয়ে পায়নি। ১৪ বছর কোন বিছানায় ঘুমাননি, তার ছেলে মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি বলে।
ইয়াসিন এর মা
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!