হাবিয়াতে বৈঠকে বসেছিলেন সবাই একসাথে।
আলেকজান্ডার (বো না গ্রেট) সজোরে টেবিল চাপড়ে বললেন,
- সত্যপীরের ফাঁসি চাই। শালা টাউটের টাউট আমাদের নামে হাবিজাবি লিখে আমাদের সবার কাছা খুলে দিচ্ছে।
আওরঙ্গজেব তাল দিলেন,
- আমিও চাই। সুনা ব্লগের সুনার ছেলেরা না থাকলে আজকে এই বদমাইশ পীর আমার সুনা কেটে ফানা বানায়ে দিতো।
বড় বুশ আর ছোট বুশ দাঁত কেলিয়ে বলল,
প্রবাসের প্রথম ইংরেজি নববর্ষে ওশিলভ হতভাগার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছিলাম। ব্যাটা থার্টি ফার্স্ট পালন করতে আটলান্টায় তুর্কী বন্ধুদের কাছে যাবে। অগাস্ট এ আমেরিকা এসে ডিসেম্বর পর্যন্ত চুল কাটেনি। চুল কাটতে ২০ ডলার লাগে। ১৮ ডলার দিয়ে চুল কাটার মেশিন কিনে এনে আমাকে আচ্ছাসে পেপার মুড়িয়ে ফটাফট আমার চুল কেটে দিলো। খানিকটা এবড়ো থেবড়ো হলেও মোটের উপর চলনসই ছিল সেটা। এরপর আমার হাতে মেশিন দিয়ে বলে, এব
- আমাকে কি আপনার বেহায়া মনে হয়?
কাতর স্বরে মতিন বদরুল ভাইকে প্রশ্ন করে।
- ইট ডিপেন্ডস। ফার্স্ট আমাদের জানতে হবে হায়া কথাটার মানে কি? হায়া জিনিসটার মানে জানোস নাকি কেউ?
-ধুরো, আপনে খালি ত্যানা প্যাঁচান। সোজাসুজি বলেন না।
- তুমি শিওর এটা কাজ করবে?
বিশাল যন্ত্রটির সামনে দাড়িয়ে ভুরু কুঁচকে বদি ভাই প্রশ্ন ছুড়ে মারেন কঠিন ও কোমল সম্ভার বিশেষজ্ঞ আবু ইউসুফকে।
- আমি কি তবে বলদ?
- ধুর ব্যাটা, তাই কইলাম নাকি?
- তবে কি আমি পাঁঠা?
- উহু
- তাইলে আমারে মুড়ি খেতে বলেন কেন?
- জীবন মানেই মুড়ি খাওয়া রে মূর্খ। ভাগ্যবানে ইয়ে করে মুড়ি খায় আর অভাগা এমনে এমনেই খায়।
বদরুল ভাই মতিনকে জীবনের মানে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
- আমি কি তবে বলদ?
- ধুর ব্যাটা, তাই কইলাম নাকি?
- তবে কি আমি পাঁঠা?
- উহু
ডাক্তার বন্ধু কামরুল বদরুলের হাত চেপে ধরে বললেন, আর মাত্র ছয় মাস।
বদরুল ক্ষেপে গিয়ে বলে, ফাতরামির আর জায়গা পাস না? পরক্ষণেই বুঝতে পারে এটা ফাতরামি না জীবনের পরম সত্য।
হাত ছেড়ে ডাক্তার বলে, যা ব্যাটা যা জিলে তেরি জিন্দেগী।
বদরুল আবারও ক্ষেপে গিয়ে বলে,
- জিন্দেগীই তো শেষ।
- ইয়ে মাত সোচ জিন্দেগিমে কিতনে পাল হ্যাঁয়, ইয়ে সোচ কিতনে পাল ম্যায় জিন্দেগী হ্যাঁয়।
রূপকথা
তারা ছিল তিন রাজ্যের যমজ কুমার,
প্রথম রাজ্যের যমজ কুমার আনন্দ ও দুঃখ,
দ্বিতীয় রাজ্যের যমজ কুমার রাগ ও অভিমান,
তৃতীয় রাজ্যের যমজ কুমার বুদ্ধিমান আর বোকা।
একদিন তারা সবাই শুনল ঢেঁড়া পিটিয়ে ঘোষণা হচ্ছে
সুন্দর রাজ্যের রাজকন্যা ভালোবাসা স্বয়ংবরা হবে
ছয় কুমার প্রস্তুত হল রাজকন্যার স্বয়ংবর সভায় যাবার জন্য।
এসেছিলাম পাত্রী দেখতে। তিন বোন সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার আর নাজমুন্নাহার। সবাই মিলে আমাকে বলে, বেছে নাও।
ছোটভাই বলে,
- ASL Plz
তিনজনেই লাজুক হেসে বলে, এইট্টিন এফ মালিবাগ চৌধুরীপাড়া
দুলাভাই অ্যাসট্রেতে পানের পিক ফেলতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে কুত করে গিলে ফেলে বলে,
-মেয়ে কি গান জানে?
আনু
[justify] শরীফের মতো তেলতেলা লোক আমি জীবনে আর মাত্র একটিই দেখেছি। আমাদের জনৈক মন্ত্রী, যিনি কিনা সব ব্যাপারেই খালি দন্ত বিকশিত করে হেসে যান। শরীফের লেখার যত সমালোচনাই করা হোক না কেন, ও শুনে মুখে একটা তেলতেলে হাসি ঝুলিয়ে রাখে। গত বছর যখন ওর "সোনালি জোছনা এবং কালো জোনাকি" বাজারে আসে, উদাস বইমেলাতে একদিন কিছু উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণীকে অটোগ্রাফ দেয়া অবস্থায় শরীফকে পা
আনু